পেনাল্টি মিস করায় ফুটবলারের পরিবারকে হত্যার হুমকি
Published: 14th, January 2025 GMT
ফুটবল, যা কেবল একটি খেলা, সেখানে জয়-পরাজয় স্বাভাবিক বিষয়। ফুটবলাররা কখনও ভুল করবেন, আবার সেই ভুল শুধরেও নেবেন। কিন্তু কিছু সমর্থকের কাছে হার-জিত যেন জীবন-মরণ প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায়। এমনই এক ঘটনার শিকার হয়েছেন আর্সেনালের জার্মান ফরোয়ার্ড কাই হাভার্টজ। এফএ কাপের ম্যাচে পেনাল্টি মিস করার পর তার পরিবারকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে।
রবিবার এমিরেটস স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এফএ কাপের ম্যাচে নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় শেষে স্কোর ছিল ১-১। টাইব্রেকারে ৫-৩ গোলে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় আর্সেনাল। ম্যাচে বল দখলে ৭০ শতাংশ আধিপত্য বিস্তার করলেও আর্সেনাল গোলের জন্য ২৬টি শট নিয়ে টার্গেটে রাখতে পেরেছিল মাত্র ৭টি। দুইটি সহজ সুযোগ নষ্ট করার পর টাইব্রেকারেও ব্যর্থ হন হাভার্টজ। এই কারণেই কিছু সমর্থক পরাজয়ের দায় তার ওপর চাপিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাভার্টজের স্ত্রী সোফিয়া জানান, তিনি এবং তার অনাগত সন্তান হত্যার হুমকি পেয়েছেন। সোফিয়া লিখেছেন, ‘আমাদের পরিবারকে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কেউ বলেছে আমাদের বাড়িতে এসে হত্যা করবে। আবার কেউ প্রার্থনা করছে যেন আমার সন্তান নষ্ট হয়ে যায়। এসব হুমকিতে আমরা আতঙ্কিত। খেলায় হার-জিত থাকবেই। কেউ ইচ্ছা করে হারে না। খেলোয়াড়দেরও পরিবার ও ব্যক্তিগত জীবন রয়েছে। একটু সম্মান প্রদর্শন করুন এবং বোঝার চেষ্টা করুন, এমন পরিস্থিতি একজন ফুটবলারের মনে কতটা চাপ ফেলে।’
এদিকে সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, আর্সেনাল এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তারা শিগগিরই ব্যবস্থা নেবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’