ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানের নিরাপত্তায় ৮ হাজার পুলিশ মোতায়েন
Published: 16th, January 2025 GMT
ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন। তার শপথ গ্রহণের আগে কর্তৃপক্ষ সম্ভাব্য হুমকি মোকাবেলা এবং শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর নিশ্চিত করতে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো ৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ৭ ফুট লম্বা কালো ব্যারিকেড তৈরি করেছে, যা রাজধানীতে দেখা এ পর্যন্ত সবচেয়ে দীর্ঘ ব্যারিকেড। সারা দেশ থেকে ২৫ হাজার পুলিশ অফিসারের পাশাপাশি ৭ হাজার ৮০০ ন্যাশনাল গার্ড সেনাকে মোতায়েন করা হয়েছে। ক্যাপিটল এবং হোয়াইট হাউসের মধ্যবর্তী প্রধান রাস্তাগুলো - যা ২ কিলোমিটারেরও বেশি বিস্তৃত - তা অবরুদ্ধ করা হবে। অপ্রত্যাশিত হামলা প্রতিরোধের জন্য কংক্রিটের প্রতিবন্ধক এবং ভারী যানবাহন দিয়ে এলাকা সুরক্ষিত করা হবে।
সিক্রেট সার্ভিসের স্পেশাল এজেন্ট ইন চার্জ ম্যাট ম্যাককুল এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, “আমরা একটি উচ্চ হুমকিপূর্ণ পরিবেশে আছি।”
২০২৪ সালের নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্পের উপর হামলা হয়েছিল। তাকে হত্যার চেষ্টার কয়েক মাস পরেই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানটি হবে। যদিও কোনো বিশ্বাসযোগ্য সমন্বিত হুমকি নেই। এরপরেও কর্মকর্তারা একাকী আক্রমণকারীদের সম্পর্কে সতর্ক রয়েছেন।
মার্কিন ক্যাপিটল পুলিশ প্রধান থমাস ম্যাঙ্গার বলেছেন, “এই উচ্চ সতর্কতামূলক পরিস্থিতিতে আমাদের থাকার জন্য একমাত্র ব্যক্তিটির হুমকিই সবচেয়ে বড় যুক্তি।”
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’