ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন। তার শপথ গ্রহণের আগে কর্তৃপক্ষ সম্ভাব্য হুমকি মোকাবেলা এবং শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর নিশ্চিত করতে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো ৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ৭ ফুট লম্বা কালো ব্যারিকেড তৈরি করেছে, যা রাজধানীতে দেখা এ পর্যন্ত সবচেয়ে দীর্ঘ ব্যারিকেড। সারা দেশ থেকে ২৫ হাজার পুলিশ অফিসারের পাশাপাশি ৭ হাজার ৮০০ ন্যাশনাল গার্ড সেনাকে মোতায়েন করা হয়েছে। ক্যাপিটল এবং হোয়াইট হাউসের মধ্যবর্তী প্রধান রাস্তাগুলো - যা ২ কিলোমিটারেরও বেশি বিস্তৃত - তা অবরুদ্ধ করা হবে। অপ্রত্যাশিত হামলা প্রতিরোধের জন্য কংক্রিটের প্রতিবন্ধক এবং ভারী যানবাহন দিয়ে এলাকা সুরক্ষিত করা হবে।

সিক্রেট সার্ভিসের স্পেশাল এজেন্ট ইন চার্জ ম্যাট ম্যাককুল এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, “আমরা একটি উচ্চ হুমকিপূর্ণ পরিবেশে আছি।”

২০২৪ সালের নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্পের উপর হামলা হয়েছিল। তাকে হত্যার চেষ্টার কয়েক মাস পরেই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানটি হবে। যদিও কোনো বিশ্বাসযোগ্য সমন্বিত হুমকি নেই। এরপরেও কর্মকর্তারা একাকী আক্রমণকারীদের সম্পর্কে সতর্ক রয়েছেন।

মার্কিন ক্যাপিটল পুলিশ প্রধান থমাস ম্যাঙ্গার বলেছেন, “এই উচ্চ সতর্কতামূলক পরিস্থিতিতে আমাদের থাকার জন্য একমাত্র ব্যক্তিটির হুমকিই সবচেয়ে বড় যুক্তি।”

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ রহণ

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের

ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে। 

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে  বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ