ছিনতাই হওয়া তেলবাহী জাহাজ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৫
Published: 18th, January 2025 GMT
মুন্সীগঞ্জে ছিনতাই হওয়া জ্বালানি তেলবাহী জাহাজটি সিরাজগঞ্জের চৌহালী থেকে উদ্ধার করেছে নৌপুলিশ। এ সময় একটি বাল্কহেড জব্দ এবং পাঁচ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মুন্সীগঞ্জ ও সিরাজগঞ্জের পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে চৌহালীর যমুনা নদীর চরসলিমাবাদ ভূতের মোড় নৌঘাট থেকে জাহাজটি উদ্ধার করে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন– বরগুনার সড়কগাছিয়া গ্রামের হানিফের ছেলে সুমন সেখ, খাগবুনিয়া গ্রামের চান খানের ছেলে রিয়াজ খান, লাকুরতলা গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মো.
চৌহালী নৌপুলিশ ফাঁড়ির ওসি আরিফ হোসেন জানান, গত ১০ জানুয়ারি ভোরে মুন্সীগঞ্জের ধলেশ্বরী-শীতলক্ষ্যা মোহনায় ওটি বিন জামান-১ নামে তেলবাহী জাহাজের ৬ কর্মচারীকে জিম্মি করে ৩৫০ টন ফার্নেস অয়েল লুট করে বালুবাহী বাল্কহেডে ভর্তি করে নিয়ে যায় ডাকাত দল। এ ঘটনায় জাহাজটির মালিকানা প্রতিষ্ঠান কিং ফিশার শিপিং লাইন্সের ম্যানেজার (অপারেশন) ফজলে খোদা বাদী হয়ে ১১ জানুয়ারি মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেন। নৌপুলিশ মামলাটির তদন্ত করছে। অভিযানে ২৬০ টন ফার্নেস অয়েল ভর্তি একটি বাল্কহেড জব্দ এবং পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার ফার্নেস অয়েলের দাম প্রায় ৩ কোটি টাকা। বাল্কহেডটি দু’দিন আগ থেকে চৌহালীর ভূতের মোড় নৌঘাটে অবস্থান করছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
টাঙ্গাইল অঞ্চলের নৌপুলিশ সুপার সোহেল রানা বলেন, মুন্সীগঞ্জ থেকে ফার্নেস অয়েল বোঝাই জাহাজটি সয়দাবাদের কড্ডা এলাকার সামিট পাওয়ার প্লান্টে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে জাহাজটি ডাকাতদের কবলে পড়ে। ঘটনার পর থেকে নদীতে নৌপুলিশের অভিযান চলছিল। এর সাত দিন পর যমুনা নদীর চৌহালী এলাকা থেকে লুট হওয়া ফার্নেস অয়েলসহ একটি বাল্কহেড জব্দ ও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে নৌপুলিশের প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।