আর মাত্র একদিন এর পরেই আগামী চার বছরের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় বসতে যাচ্ছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন তিনি। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে ইতিমধ্যেই ট্রাম্প ওয়াশিংটনে পৌঁছেছেন। সঙ্গে রয়েছেন তার স্ত্রী মেলানিয়া, মেয়ে ইভাঙ্কা ও তার স্বামী জ্যারেড কুশনার।

বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পাঠানো বিমান বাহিনীর একটি স্পেশাল ফ্লাইটে ফ্লোরিডার পাম বিচের বাড়ি থেকে ওয়াশিংটনে পৌঁছেছেন ট্রাম্প। স্পেশাল ওই ফ্লাইটটি ট্রাম্পকে নিয়ে ভার্জিনিয়ার ডালস বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এরপর তাকে ওয়াশিংটনের ভার্জিনিয়ার স্টার্লিং গলফ ক্লাবে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এতে বলা হয়, শপথ গ্রহণের আগে রবিবার ওয়াশিংটনের ক্যাপিটাল ওয়ান এরিনায় সমর্থকদের সঙ্গে একটি সমাবেশে যুক্ত হবেন ৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্প। এছাড়া সোমবার শপথ গ্রহণের পরেও একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে তার।

আরো পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ হলো টিকটক 

টিউলিপকে দুর্নীতিবাজ বলে আখ্যা দিলেন ইলন মাস্ক

প্রসঙ্গত যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ম অনুযায়ী জানুয়ারি মাসের ২০ তারিখ নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠান হয়। এক্ষেত্রে স্থানীয় সময় সোমবার আগামী মেয়াদের জন্য প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ট্রাম্প।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ রহণ

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ