স্কুলছাত্রকে যৌন নিপীড়নের মামলায় সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলা বিএনপির বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক ফকির মো. জুয়েল রানাকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। আজ রোববার সকালে আত্মগোপনে থাকা সিরাজগঞ্জ শহর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব-১২ সিরাজগঞ্জ সদর কোম্পানি কমান্ডার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপংকর ঘোষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিএনপি নেতা জুয়েল রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে চৌহালী থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এর আগে, ১১ ডিসেম্বর রাতে পূর্ব পরিচয়ের সূত্রধরে চৌহালী উপজেলা সদরের চর সলিমাবাদ বাজার এলাকায় ডেকে নিয়ে বিএনপি নেতা জুয়েল রানা ওই স্কুলছাত্রকে যৌন নিপীড়ন করেন। পরে ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রের বাবা বাদী হয়ে জুয়েল রানার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। 

এদিকে জুয়েল রানাকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করে জেলা বিএনপি। এরপর থেকে তিনি আত্মগোপন করেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স র জগঞ জ ব এনপ ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।

মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ