ফরিদপুরের ভাঙ্গায় কলেজছাত্রী ও সাংবাদিক পরিচয়ে মাদক বহনের সময় দুই নারীকে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার রাত সাড়ে ৮দিকে ঢাকা-ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের মুনসুরাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে আটক করা হয় তাদের। 

এ তথ্য নিশ্চিত করে ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মোকছেদুর রহমান জানান, গাড়িটি তল্লাশির সময়ে আটক দুই নারী তাদেরকে সাংবাদিক ও কলেজছাত্রী পরিচয় দিয়ে তাদের আইডিকার্ড প্রদর্শন করে পুলিশের কাছে। কিন্তু তাদের আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় গাড়ির মধ্যে তল্লাশি চালানোর পর গাজার কয়েকটি বান্ডেল পাওয়া যায়। 

আটকরা হলেন, বরিশাল বেতাগী থানার বেতাগী গ্রামের আসিফ মল্লিকের স্ত্রী সামিয়া বেগম ও বাগেরহাটের কচুয়া থানার মো: সোহাগের স্ত্রী মারিয়া বেগম। 

ওসি জানান, ঢাকা-ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়ক সংলগ্ন ভাঙ্গা পৌর সভার সামনে পুলিশের একটি চেকপোস্ট বসানো হয়। এসময় ঢাকা থেকে ভাঙ্গা ইন্টারচেঞ্জ এরিয়া অতিক্রম করার পর একটি নোয়া গাড়িকে থামানোর সংকেত দেয় পুলিশ। এসময় পুলিশের চেকপোস্ট অতিক্রম করে গাড়িটি পালানোর চেষ্টা চালায়। পুলিশ গাড়ির পিছু নিয়ে ধাওয়া করার এক পর্যায়ে মুনসুরাবাদ বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছে গাড়ির গতিরোধ করে। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়েই গাড়ির চালক পালিয়ে যায়।  

তিনি জানান, গাড়িটি তল্লাশি করার পর ১৫ কেজি গাজা, ৩টি মোবাইল পাওয়া যায়। তাদের বিরুদ্ধে মাদক মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার ফরিদপুর কোর্টে তাদের প্রেরণ করা হবে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আটক

এছাড়াও পড়ুন:

ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে সীতা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে বিগত এক মাস ধরে অবস্থান করছেন একদল বন্যহাতি। ১৭ (সতের) দলের এই বন্যহাতির তাণ্ডবে এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগান শ্রমিকদের ঘরবাড়ি, গাছপালা এবং বাগানের অভ্যন্তরে অবস্থিত কাঁচা সড়ক। 

 এদের তাণ্ডবে বাগানের ২নং সেকশনে বসবাসকারী চা শ্রমিকরা এরইমধ্যে নিজ নিজ বসতবাড়ি ছেড়ে কর্ণফুলি নদীর উত্তর পাড়ে অবস্থান নিয়েছে। এই সেকশনে থাকা বহু ঘর হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ওয়াগ্গা টি লিমিটেডের পরিচালক খোরশেদুল আলম কাদেরী বলেন, “হাতির তাণ্ডবে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগানের নিজস্ব বোট চালক সানাউল্লাহর বসতবাড়ি। এসময় তিনিসহ তার স্ত্রী-সন্তানেরা ঘর হতে বের হয়ে কোনরকমে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।”

বোট চালক সানাউল্লাহ বলেন, “সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আমি হাতির গর্জন শুনতে পাই। এসময় একটি বড় হাতি আমার ঘর ভাঙার চেষ্টা চালায়। আমি হতবিহ্বল হয়ে যাই। সেসময় স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে ঘরের পেছন দিয়ে কোন রকমে পালিয়ে বোটে করে এপারে চলে আসি।” 

চা বাগানের টিলা বাবু চাথোয়াই অং মারমা বলেন, “বিগত এক মাস ধরে ১৭টি হাতির একটি দল বাগানে অবস্থান করছে। মাঝে মাঝে দলটি সীতা পাহাড়ে চলে গেলেও হঠাৎ বাগানে চলে এসে আসে এবং বাগানের গাছপালা, বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমাদের চা শ্রমিকরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।”

ওয়াগ্গা চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরী বলেন, “বিগত এক মাস ধরে হাতির একটি দল ওয়াগ্গা চা বাগানে অবস্থান নিয়েছে। তাদের দলে সদস্য সংখ্যা সতেরো ১৭টি। সম্প্রতি দুটি নতুন শিশু জন্ম নিয়েছে। শিশু হস্তী শাবককে আশীর্বাদ করার জন্য সীতা পাহাড়ের গভীর অরণ্য থেকে আরো একদল হাতি যোগদান করেছে।” 

হাতি খুবই শান্তিপ্রিয় জীব। নিরিবিলি পরিবেশ পছন্দ করে। অনেকে বলে থাকেন, মামারা বেরসিক বাদ্য বাজনা, বাঁশির সুর, গলাফাটা গান, গোলা বারুদ, ড্রামের শব্দ পছন্দ করে না। তারা কোলাহল এড়িয়ে চলে। 

গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্বচক্ষে দেখা হলো। আমাদের টিলা বাবু চাই থোয়াই অং মারমা শ্রমিকদের নিয়ে পাহাড়ের উপর বাঁশির সুর তুলেছে। সুর ও বাদ্য বাজনা এড়িয়ে মামারা (হাতি) চা বাগান পেরিয়ে সদলবলে বাঁশবনের গভীর থেকে গভীরে হারিয়ে গেলো। হয়তো আবার ফিরে আসবে।

কাপ্তাই বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ অফিসার ওমর ফারুক স্বাধীন বলেন, “দিন দিন হাতির আবাসস্থল ধ্বংস হওয়ার ফলে হাতি খাবারের সন্ধানে প্রায়ই লোকালয়ে এসে হানা দিচ্ছে। আমাদের উচিত হাতির আবাসস্থল ধ্বংস না করা।”

ঢাকা/রাঙামাটি/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ১৩ ঘণ্টা পর রংপুরের রেল যোগাযোগ সচল
  • ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব
  • হেরোইন বিক্রির অভিযোগে ধামরাইয়ে গ্রেপ্তার ৩