৬ দিন পর হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলেন সাইফ
Published: 21st, January 2025 GMT
৬ দিন পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খান। আজ বিকেলে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তাকে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আপাতত ভালো আছেন অভিনেতা। যেহেতু তার অস্ত্রোপচার হয়েছে, কিছুদিন বিশ্রামে থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বান্দ্রায় সাইফের বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে ঢুকে ডাকাতির চেষ্টা চালায় আততায়ী। এ সময় সাইফ আলি খান তাকে বাধা দিতে গেলে হামলার শিকার হন। রাত আড়াইটার দিকে জখম সাইফকে অটোতে করে হাসপাতালে নিয়ে যায় তার ছেলেরা।
এরপর হাসপাতালে জরুরি অস্ত্রোপচার করা হয় নায়ককে। তার মেরুদণ্ড থেকে ছুরির ৩ ইঞ্চি লম্বা একটি টুকরো বের করা হয় এবং স্পাইনাল ফ্লুইড লিক বন্ধ করা হয়। হাসপাতাল পরে অস্ত্রোপচারের সময় পাওয়া ওই ধারালো বস্তুটির ছবিও প্রকাশ করে।
এদিকে হামলাকারীকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশি তদন্তে জানা যায়, অভিযুক্তের নাম শরিফুল ইসলাম শেহজাদ। তাকে নিয়ে ২০ জন পুলিশ কর্মকর্তার একটি দল চারটি পুলিশের ভ্যানে করে সাইফের বান্দ্রায় বাসায় পৌঁছায়, অভিযুক্তকে নিয়ে পুরো ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে। সূত্র: হিন্দুন্থান টাইমস ও এনডিটিভি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লায় ডাইং কারখানা ও বাসা-বাড়ির ৩ শতাধিক অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন, জরিমানা
ফতুল্লায় শাসনগাঁও চাঁদনী হাউজিং এলাকায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টা ৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এক বিশেষ মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মিল্টন রায়।
অভিযানে প্রথমে শাসনগাঁও এলাকার শিল্পপ্রতিষ্ঠান মেসার্স এম. আর. ইয়ার্ণ ডাইং এ অভিযান চালানো হয়। সেখানে ১ টন ক্ষমতাসম্পন্ন একটি এবং ৩০০ কেজি ক্ষমতাসম্পন্ন আরেকটি মোট দুটি বয়লারে অবৈধভাবে পূর্বে বিচ্ছিন্নকৃত গ্যাস সংযোগ ব্যবহার করা হচ্ছিল।
কর্তৃপক্ষ দ্রুত সংযোগগুলো পুনরায় বিচ্ছিন্ন করে কিল (স্থায়ীভাবে বন্ধ) করে দেয়। এসময় অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করার অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে ৮০ হাজার টাকা নগদ জরিমানা আদায় করা হয়।
শুধু শিল্পপ্রতিষ্ঠানই নয়, আশপাশের আবাসিক এলাকা চাঁদনী হাউজিং ও শাসনগাঁওয়ের প্রায় ৫০টি বাড়িতে ৩০০টিরও বেশি গ্যাসচুলা অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে চালানো হচ্ছিল। অভিযান চলাকালে এসব সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে কিল করা হয়। ফলে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৭৬০০ ঘনফুট গ্যাস সাশ্রয় হবে, যা মাসিক হিসাবে প্রায় ৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার সমমূল্যের গ্যাস অপচয় রোধ করবে।
অভিযান শেষে জোবিঅ-এনায়েতনগর-কাশিপুর ফতুল্লা শাখার ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো: আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা নিয়মিতভাবেই এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করছি এবং ভবিষ্যতেও এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। অবৈধ সংযোগের কারণে রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি হচ্ছে, তাই কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
এই অভিযানের ফলে এলাকায় গ্যাস ব্যবহারে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা প্রকাশ করেছেন।