গোপালগঞ্জে এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিশুকে (৯) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার ঘোষেরচর উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত নূর ইসলাম (২০) একই গ্রামের বাসিন্দা ও সম্পর্কে শিশুটির চাচা হয়। এদিকে, এ ঘটনায় এলাকার প্রভাবশালীরা থানায় অভিযোগ না করে মীমাংসার জন্য চাপ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। ফলে, ভুক্তভোগীর পরিবার এখন পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দায়ের করতে পারেনি।

ভুক্তভোগীর মা জানান, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েকে বাড়িতে রেখে মঙ্গলবার সকালে সে ও তার স্বামী কাজে চলে যান। সন্ধ্যায় বাড়িতে ফিরে মেয়েকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান তিনি। এ সময় জিজ্ঞাসা করলে শিশুটি জানায়, তাকে নূর ইসলাম ধর্ষণ করেছেন। রাতে অবস্থার অবনতি হলে শিশুটিকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আরো পড়ুন:

দুই তরুণী ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার আসামি কারাগারে

কুমিল্লায় দলবদ্ধ ধর্ষণে অভিযুক্ত মহসিন আ.

লীগ কর্মী: যুবদল

তিনি অভিযোগ করে বলে, ‘‘এ ঘটনায় প্রভাবশালীরা থানায় অভিযোগ না করে মীমাংসার জন্য চাপ দিচ্ছেন। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’’

গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জীবিতেশ বিশ্বাস বলেন, ‘‘ধর্ষণের আলামত নিয়ে গতকাল রাতে শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।’’

গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর সাজেদুর রহমান বলেন, ‘‘এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত তরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ঢাকা/বাদল/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ প লগঞ জ এ ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল

১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।

১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।

১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।

মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।

বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে  গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।

আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে

২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।

কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।

ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি

সম্পর্কিত নিবন্ধ