দুদকের মামলায় খুলনা-২ আসনের সাবেক এমপি মিজান কারাগারে
Published: 23rd, January 2025 GMT
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ২০১৯ সালে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক মুহা. আবু তাহের আসামির জামিন বাতিল করে এ আদেশ দেন। মিজান খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
সাবেক সংসদ সদস্য মিজানের বোন অ্যাডভোকেট সুলতানা রহমান শিল্পী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আজ আদালতে মামলাটির যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য তারিখ ধার্য্য ছিল। এ সময় আসামি আদালতে হাজিরা দিতে গেলে আদালত আসামির জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠান। একইসঙ্গে মামলার রায় ঘোষণার জন্য আগামী ৩০ জানুয়ারি তারিখ ধার্য্য করেন বিচারক।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৬ আগস্ট জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত ঢাকা জেলা কার্যালয়-১-এ মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির তৎকালীন পরিচালক মো.
অভিযোগপত্রে আসামির বিরুদ্ধে ১ কোটি ৫৮ লাখ ৫৭ হাজার ৯৮১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ২০ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছিল।
সাবেক এমপি মিজানের বোন সুলতানা রহমান শিল্পী বলেন, হয়রানির উদ্দেশ্যে ২০১৯ সালে আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছিল। আয়কর অফিস থেকেও বলেছিল তার কোনো জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ নেই। তিনি দাবি করেন, আমার ভাই নির্দোষ।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক মন্ত্রী মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ মঙ্গলবার তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন বলেন, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১০ কোটি ৩৪ লাখ ৫৭ হাজার ৪২৭ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তাঁর তিনটি ব্যাংক হিসাবে ৮ কোটি ৩২ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করা হয়েছে।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, এসব অর্থ তিনি জ্ঞাতসারে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের কাজে ব্যবহার করেছেন। এ প্রেক্ষিতে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২–এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭–এর ৫(২) ধারায় মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
দুদক জানিয়েছে, শিগগিরই এই মামলার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হবে এবং আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।