Samakal:
2025-11-03@19:57:09 GMT

দাবাড়ুদের মধ্যে অসন্তোষ

Published: 24th, January 2025 GMT

দাবাড়ুদের মধ্যে অসন্তোষ

জাতীয় দাবায় চ্যাম্পিয়ন খেলোয়াড়ই অংশ নিয়ে থাকেন বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে। সে হিসেবে গত বছরের জুলাইয়ে জাতীয় দাবায় শিরোপা জেতা আন্তর্জাতিক মাস্টার মনন রেজা নীড়েরই খেলার কথা ওয়ার্ল্ড দাবায়। কিন্তু এই প্রক্রিয়া নিয়ে অসন্তুষ্ট বেশ কয়েকজন দাবাড়ু।

তাদের কথা হলো, ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় খেলা পাঁচ দাবাড়ু ইতোমধ্যে দাবা অলিম্পিয়াডে খেলেছিলেন। সেই হিসেবে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের সর্বশেষ আসরের ফলাফল দিয়ে ভবিষ্যতে টুর্নামেন্টের জন্য দাবাড়ু চূড়ান্ত করার বিপক্ষে অনেকে। নিয়ম অনুযায়ী, ২০২৫ সালের অক্টোবর-নভেম্বর ভারতে অনুষ্ঠেয় ফিদে দাবা বিশ্বকাপে খেলার কথা মনন রেজা নীড়ের। অন্য দাবাড়ুরা চাচ্ছেন, বিশ্বকাপে খেলার জন্য তাদের যেন সুযোগ দেওয়া হয়। সে জন্য দাবা বিশ্বকাপের আগে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ করার দাবি বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের কাছে তুলে ধরেছেন দাবাড়ুরা। ফেডারেশন থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে, বিশ্বকাপের আগে জাতীয় দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজনের চেষ্টা করছেন তারা।

নানা কারণে ২০২৩ সালে জাতীয় দাবা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়নি। পরের বছর হয়েছিল জাতীয় দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ। সেই হিসেবে এই বছরও হওয়ার কথা ঘরোয়ার দাবার সর্বোচ্চ আসরটি। কিন্তু শুরুতে ফেডারেশন একটু ধীরে চলো নীতিতে হাঁটতে থাকে। কারণ, আগের সূচি অনুযায়ী জুলাইয়ে হওয়ার কথা ছিল বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ। এই কয়েক মাসের মধ্যে জাতীয় দাবা আয়োজন করাও কঠিন হতো বলে মনে করেন দাবা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ড.

মো. তৈয়বুর রহমান। তাই টুর্নামেন্টটি পিছিয়ে যাওয়ায় জাতীয় দাবা প্রতিযোগিতা আয়োজন করে সবার জন্য বিশ্বকাপ টিকিট কাটার পথ উন্মুক্ত করা হবে বলে গতকাল সমকালকে জানান তিনি, ‘এটা স্বাভাবিক ব্যাপার, যে খেলোয়াড় জাতীয় দাবায় চ্যাম্পিয়ন হবে, সেই খেলবে বিশ্বকাপে। যদি জুলাইয়ে টুর্নামেন্ট হতো, তাহলে আমাদের জাতীয় দাবায় সেরা প্লেয়ারকেই পাঠাতে হতো। এখন যেহেতু অক্টোবর-নভেম্বরে চলে গেছে দাবা বিশ্বকাপ, সেহেতু আমরা জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ করব। সেটা কবে নাগাদ আয়োজন করব, সে ব্যাপারে সবাই আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।’

দাবা বিশ্বকাপ টিকিটের লড়াই এবার হবে জমজমাট। মনন রেজা নীড়, আন্তর্জাতিক মাস্টার ফাহাদ রহমান, তাহসিন তাজওয়ারসহ 
আরও অনেকের সামনে সুযোগ ফিদে দাবা বিশ্বকাপ খেলার।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ