ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে ওয়াশিংটন যাচ্ছেন নেতানিয়াহু
Published: 28th, January 2025 GMT
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটন যাচ্ছেন। নির্বাচনে জয়ের পর থেকে এখন পর্যন্ত ট্রাম্পের সঙ্গে অন্য দেশের কোনো রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানের সাক্ষাৎ ঘটেনি। নেতানিয়াহু ওয়াশিংটনে গেলে তা হবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে প্রথম কোনো বিদেশি সরকারপ্রধানের সাক্ষাৎ।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলের দৈনিক টাইমস অব ইসরায়েল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সব ঠিক থাকলে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি রোববার ওয়াশিংটন যাবেন নেতানিয়াহু এবং ফিরে আসবেন বৃহস্পতিবারের মধ্যেই। সূত্র : রয়টার্স।
২০২৪ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে পরাজিত করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তারপর দেশটির সাংবিধানিক বিধি অনুসারে গত ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণ করেছেন তিনি।
ইসরায়েলের সবচেয়ে বিশ্বস্ত মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলের জন্মলগ্ন থেকেই বিশ্বের একমাত্র এই ইহুদি রাষ্ট্রকে আর্থিক, সামরিক, কূটনৈতিক ও গোয়েন্দা সহযোগিতা ও সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণের পর বিশ্বের সব দেশে অর্থ সহায়তা প্রদান স্থগিত করেছেন ট্রাম্প, কিন্তু ইসরায়েল ও মিসরকে সামরিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে এজন্য ধন্যবাদও জ্ঞাপন করেছেন নেতানিয়াহু। গত ২৬ জানুয়ারি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে পোস্ট করা এক বার্তায় ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে নেতানিয়াহু বলেন, “আমাদের উভয়েরই কমন শত্রুদের সম্ভাব্য হামলা থেকে সুরক্ষা নিশ্চিতের জন্য আপনি ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।”
.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল র
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’