চাপে পড়ে প্রেমিকার নাম প্রকাশ করলেন সিরাজ
Published: 29th, January 2025 GMT
সম্প্রতি মিডিয়ায় মোহাম্মদ সিরাজ ও কিংবদন্তি সঙ্গীত শিল্পী আশা ভোঁসলের নাতনি জনাই ভোঁসলের ছবি প্রকাশিত হয়। এরপর থেকে গুঞ্জন চলতে থাকে জনাইর সঙ্গে সিরাজের প্রেম চলছে। জনাইও তার ২৩তম জন্মদিনে সিরাজের সঙ্গে তোলা একটি ছবি শেয়ার দেন দুটি হাসির ইমোজি দিয়ে। সেটা ভাইরালও হয়।
এমন সময় বিতর্ক ও গুঞ্জন দূর করতে সিরাজ প্রকাশ্যে আনলেন তার প্রেমিকাকে। আজ বুধবার (২৯ জানুয়ারি, ২০২৫) ভারতের এই পেসার জানিয়েছেন তিনি ও অভিনেত্রী মাহিরা শর্মা সম্পর্কে আছেন। ২৯ বছর বয়সী এই পেসার বেশ কিছুদিন ধরে ডেটিং করছেন মাহিরার সঙ্গে।
এদিকে জনাইও বিষয়টি পরিস্কার করেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে। সেখানে তিনি সিরাজকে ভাই সম্বোধন করে লিখেন, ‘মেরি পেয়ারি ভাই’ (আমার প্রিয় ভাই)। ওই পোস্টে সিরাজ বোন লিখে কমেন্ট করেন। আর এর মধ্য দিয়ে জনাইর সঙ্গে তার প্রেমের যে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছিল সেটার ইতি টানেন তিনি।
আরো পড়ুন:
রেকর্ড ভেঙে ৩৭ বলে ঢাকাকে উড়িয়ে দিলো বরিশাল
ব্যাটিং বিভীষিকায় সর্বনিম্ন রানে অলআউট ঢাকা
জানা গেছে, মাহিরা শর্মাও সিরাজের সঙ্গে তার প্রেমের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এতোদিন তারা দুজন লুকিয়ে লুকিয়ে প্রেম করছিলেন। সম্পর্কের বিষয়টি গোপন রেখেছিলেন। গেল বছরের নভেম্বরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। তবে এও জানা গেছে, তারা দুজন সম্পর্কের প্রাথমিক পর্যায়ে আছেন। ভবিষ্যতে তারা দুজন এই সম্পর্ককে কতোদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে চান সে বিষয়ে কিছুই বলেননি।
মাহিরা শর্মা কে?
মাহিরা পরিচিত একজন অভিনেত্রী। তিনি হিন্দি ও পাঞ্জাবি টিভি শো’তে কাজ করেন। জম্মু ও কাশ্মিরে জন্ম নেওয়া মাহিরা খুব ছোটবেলা থেকে অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত আছেন। ২০১৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিনয় শুরু করেন। এরপর তিনি বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় টেলিভিশন ধারাবাহিকে কাজ করেছেন। বিশেষ করে নাগিন (২০১৮), বেপানাহ পেয়ার (২০১৯) ও কুন্দালি ভাগায়া (২০১৯)। এই সিরিজগুলোর মাধ্যমে তিনি জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।
২০২৩ সালে তিনি একটি পাঞ্জাবি সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয়ও করেন। বেশ কিছু ওয়েব সিরিজেও কাজ করেছেন মাহিরা। এ পর্যন্ত এই অভিনেত্রী পঞ্চাশটির অধিক মিউজিক ভিডিওতে কাজ করেছেন।
২০১৯ সালে তিনি বিগ বস-১৩’তে অংশ নিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর ছ ন ক জ কর
এছাড়াও পড়ুন:
১৭ মাস পর দেশের মাটিতে টেস্ট জয় বাংলাদেশের
প্রায় দেড় বছর পর দেশের মাটিতে টেস্ট জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্টে জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ও ১০৬ রানে হারিয়ে সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করল টাইগাররা। ঘরের মাঠে ১৭ মাস ও টানা ছয়টি টেস্টে জয়বিহীন থাকার হতাশা ভুলিয়ে দিল এই দুর্দান্ত সাফল্য।
বাংলাদেশের জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান মেহেদী হাসান মিরাজের। প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে তুলে নেন সেঞ্চুরি, এরপর বল হাতে দ্বিতীয় ইনিংসে শিকার করেন ৫ উইকেট। টেস্ট ক্রিকেটে এটি তার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স। মিরাজ ছাড়াও ৯ উইকেট শিকার করে ম্যাচে বড় অবদান রাখেন তাইজুল ইসলাম, আর ওপেনার সাদমান ইসলামও তুলে নেন দারুণ এক সেঞ্চুরি।
প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ে করে ২২৭ রান। জবাবে টাইগাররা তোলে ৪৪৪ রান, পায় ২১৭ রানের লিড। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১১১ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। ফলে মাত্র তিন দিনেই টেস্ট জয়ের উৎসবে মাতে স্বাগতিকরা।
বল হাতে টাইগারদের শুরুটা এনে দেন তাইজুল ইসলাম। ইনিংসের সপ্তম ওভারে ব্রায়ান বেনেটকে ফেরান স্লিপে সাদমানের হাতে ক্যাচ করিয়ে। একই ওভারে এলবিডব্লিউ করেন নিক ওয়েলচকে, রিভিউ নিয়ে পান উইকেটটি। এরপর উইলিয়ামসকেও বিদায় করেন অফ স্পিনার নাঈম ইসলাম, দ্বিতীয় স্লিপে সাদমানের হাতেই ধরা পড়েন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার।
চতুর্থ উইকেটে আরভিন-কারেন জুটি কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও, মিরাজ এসে ভেঙে দেন সেই জুটি। এক ওভারেই ফেরান আরভিন ও মাদেভারেকে। এরপর তাফাদওয়া সিগা, মাসাকাদজা ও কারেনকে ফিরিয়ে ইনিংসে নিজের ফাইফার পূর্ণ করেন মিরাজ। তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে এক টেস্টে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন তিনি, সাকিব আল হাসান ও সোহাগ গাজীর পাশে নাম লেখান।
শেষ দিকে আবার বল হাতে ফিরে রিচার্ড এনগারাভাকে ফেরান তাইজুল। এরপর রানআউটের মাধ্যমে শেষ হয় জিম্বাবুয়ের ইনিংস। এই জয়ে শুধু সিরিজে সমতায়ই ফিরেনি বাংলাদেশ, বরং দেশের মাটিতে দীর্ঘ দিনের টেস্ট জয়ের অপেক্ষাও ঘুচিয়েছে।