মিঠুনের সঙ্গে বিয়ে ভাঙার পর কী শর্ত দিয়েছিলেন মমতার স্বামী?
Published: 30th, January 2025 GMT
ভারতীয় বাংলা সিনেমার গুণী অভিনেত্রী মমতা শঙ্করের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। বিয়ের দিন-তারিখও চূড়ান্ত হয়েছিল। ছাপানো হয়েছিল বিয়ের কার্ড। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সাতপাকে বাঁধা পড়েননি এই যুগল। মিঠুনের সঙ্গে বিয়ে ভাঙার পর মমতা চন্দ্রোদয়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
তবে মমতাকে বিয়ে করার আগে তিনটি শর্ত দিয়েছিলেন চন্দ্রোদয় ঘোষ। একটি কাগজে এসব লিখে দিয়েছিলেন তিনি। এ বিষয়ে মমতা শঙ্কর বলেন, “আমাকে যখন প্রথম প্রপোজ করেছিল, তখন তিনটি শর্ত দিয়ে প্রপোজ করেছিল চন্দ্রোদয়। এক.
১৯৭৮ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়েন মমতা শঙ্কর ও চন্দ্রোদয় ঘোষ। এ দম্পতির দুই সন্তান। তারা হলেন— রাতুল শঙ্কর ঘোষ, রজিত শঙ্কর ঘোষ। মমতা-চন্দ্রোদয়ের ৪৭ বছরের দাম্পত্য জীবন। আবার জন্ম নিয়ে পৃথিবীতে এলে স্বামী চন্দ্রোদয় ঘোষকেই বিয়ে করতে চান মমতা।
এই ইচ্ছা প্রকাশ করে ‘মৃগয়া’খ্যাত অভিনেত্রী মমতা শঙ্কর বলেন, “আমি নিশ্চয়ই আবার জন্ম নেব। কারণ আমি অত বড় মাপের মানুষ হয়ে যাইনি যে, আমার আর জন্ম হবে না। আমি যদি আবার জন্ম নিই তাহলে ওকেই (চন্দ্রোদয়) বিয়ে করতে চাই। আমাদের অনেক দ্বিমত আছে; অনেক কিছু আছে যেটা মেলে না। কিন্তু বন্ডিং আছে।”
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
ঢাকা/শান্ত
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা
আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।
শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।
অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’
স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।
ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’
আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।