গাজার চেকপয়েন্ট পরিচালনায় সহায়তা করার জন্য ১০০ জন সেনা নিয়োগ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতির সময় চেকপয়েন্ট পরিচালনার জন্য তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে রয়টার্স।

একটি ছোট মার্কিন নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের মুখপাত্র এবং রয়টার্সের দেখা একটি নিয়োগ ইমেল অনুসারে, সশস্ত্র আমেরিকান ঠিকাদারদের বিশ্বের সবচেয়ে সহিংস সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলগুলোর কেন্দ্রস্থলে নিয়ে আসা হয়েছে।

ইমেলটিতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এবং উত্তর ক্যারোলিনার ডেভিডসনে অবস্থিত লো-প্রোফাইল কোম্পানি ইউজি সলিউশনস অভিজ্ঞ সেনাদের জন্য দৈনিক ১ হাজার ১০০ ডলার পারিশ্রমিকের প্রস্তাব দিচ্ছে। একইসঙ্গে ১০ হাজার ডলার অগ্রিম হিসেবে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। 

ইমেলের সত্যতা নিশ্চিত করে মুখপাত্র বলেন, গাজার অভ্যন্তরে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে তারা চেকপয়েন্টে কর্মী মোতায়েন করবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মুখপাত্র বলেন, কিছু লোককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং তারা ইতিমধ্যেই চেকপয়েন্টে রয়েছেন। 

রয়টার্স জানুয়ারিতে জানিয়েছিল, আমিরাতি কর্মকর্তারা গাজায় যুদ্ধোত্তর শান্তিরক্ষী বাহিনীর অংশ হিসেবে বেসরকারি ঠিকাদারদের ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছিলেন। তবে এই ধারণা পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছিল।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ