গাজার চেকপয়েন্ট পরিচালনায় ১০০ সেনা নিয়োগ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
Published: 30th, January 2025 GMT
গাজার চেকপয়েন্ট পরিচালনায় সহায়তা করার জন্য ১০০ জন সেনা নিয়োগ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতির সময় চেকপয়েন্ট পরিচালনার জন্য তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে রয়টার্স।
একটি ছোট মার্কিন নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের মুখপাত্র এবং রয়টার্সের দেখা একটি নিয়োগ ইমেল অনুসারে, সশস্ত্র আমেরিকান ঠিকাদারদের বিশ্বের সবচেয়ে সহিংস সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলগুলোর কেন্দ্রস্থলে নিয়ে আসা হয়েছে।
ইমেলটিতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এবং উত্তর ক্যারোলিনার ডেভিডসনে অবস্থিত লো-প্রোফাইল কোম্পানি ইউজি সলিউশনস অভিজ্ঞ সেনাদের জন্য দৈনিক ১ হাজার ১০০ ডলার পারিশ্রমিকের প্রস্তাব দিচ্ছে। একইসঙ্গে ১০ হাজার ডলার অগ্রিম হিসেবে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে।
ইমেলের সত্যতা নিশ্চিত করে মুখপাত্র বলেন, গাজার অভ্যন্তরে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে তারা চেকপয়েন্টে কর্মী মোতায়েন করবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মুখপাত্র বলেন, কিছু লোককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং তারা ইতিমধ্যেই চেকপয়েন্টে রয়েছেন।
রয়টার্স জানুয়ারিতে জানিয়েছিল, আমিরাতি কর্মকর্তারা গাজায় যুদ্ধোত্তর শান্তিরক্ষী বাহিনীর অংশ হিসেবে বেসরকারি ঠিকাদারদের ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছিলেন। তবে এই ধারণা পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছিল।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অধ্যাপক ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা থাকাকালে তাঁর ‘থ্রি জিরো’ তত্ত্বের উল্টো যাত্রা ঘটল: অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ‘থ্রি জিরো’ (তিন শূন্য) তত্ত্ব সমর্থন করেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। কিন্তু অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলে তার উল্টো যাত্রা হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তিনি থাকা অবস্থায় তাঁর থ্রি জিরো তত্ত্বের যে উল্টো যাত্রাটা ঘটল, এটা তাঁর খেয়াল করা দরকার। আমরা চাই, থ্রি জিরো তত্ত্বটাই অগ্রসর হোক।’
সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলোর কার্যালয়ে এক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়ে আনু মুহাম্মদ এ কথা বলেন। ‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর যেভাবে হতে পারে’ শিরোনামে যৌথভাবে এ বৈঠকের আয়োজন করে ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) ও প্রথম আলো।
বৈঠকে অর্থনীতির অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের “থ্রি জিরো” (তিন শূন্য) তত্ত্ব সারা পৃথিবীতে পরিচিত। আমি এটা খুবই সমর্থন করি যে শূন্য কার্বন নিঃসরণ, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য দারিদ্র্য। কিন্তু পুরো যাত্রাটা তো হচ্ছে উল্টো দিকে। অধ্যাপক ইউনূসের একটা সুযোগ ছিল যে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে থ্রি জিরো তত্ত্বের বাস্তবায়নের একটা মডেল হিসেবে বাংলাদেশকে দাঁড় করানোর কিছু চেষ্টা করা। কিন্তু আমরা দেখছি, কীভাবে কার্বন নিঃসরণ আরও বাড়ে, সেটার একটা চেষ্টা চলছে। গত ১০ মাসে লক্ষাধিক বেকারত্ব বেড়েছে শুধু কারখানা বন্ধ করার কারণে আর দারিদ্র্য বেড়েছে ২৫ থেকে ৩০ লাখ। প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তিনি থাকা অবস্থায় তাঁর থ্রি জিরো তত্ত্বের যে উল্টো যাত্রাটা ঘটল, এটা তো তাঁর একটু খেয়াল করা দরকার। এতে তো আমরা খুশি না। আমরা তো চাই যে থ্রি জিরো তত্ত্বটাই অগ্রসর হোক।’
‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর যেভাবে হতে পারে’ শীর্ষক গোলটেবিলে আলোচকদের একাংশ। সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে