সৌদি প্রো লিগের ম্যাচে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি, ২০২৫) রাতে আল রায়েদের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল আল নাসর। রায়েদের ঘরের মাঠ কিং আব্দুল্লাহ স্পোর্ট সিটি স্টেডিয়ামে এ রাতে সমর্থকরা একসাথে গলা ফাটাতে লাগলেন ‘মেসি-মেসি’ বলে। নিশ্চিতভাবেই তারা প্রতিপক্ষ শিবিরের সবচেয়ে বড় তারকা রোনালদোকে ক্ষেপানোর জন্যই এই কাজ করছিলেন। সবাইকে অবাক করে দিয়ে আওয়াজ আরও বাড়ানোর জন্য রোনালদো দর্শকদের উদ্দেশ্যে আহ্বান জানালেন! রোনালদো তো বহু আগেই বলে দিয়েছিলেন, “আপনাদের ঘৃণা আমাকে অদম্য করে।”

হলোও তাই, প্রতিপক্ষ সমর্থকদের অপমান রোনালদোকে শানিত করল। ম্যাচে আল নাসর ২–১ গোলে জয় লাভ করল আল রায়েদের বিপক্ষে। অসাধারণ একটি গোল করে এই জয়ে দারুণ অবদান রেখেছেন নাসরের সবচেয়ে বড় তারকা রোনালদো। তাতে এই পর্তুগিজ মহাতারকার রেকর্ডের মুকুটে যুক্ত হয়েছে আরেকটি পালক। তবে, গোল করিয়ে নয় বরং ম্যাচটি জিতে তিনি একটি মাইলফলক স্পর্শ করেছেন।

আরো পড়ুন:

নারী ফুটবলাররা বাটলারকে কোচ হিসেবে না চাওয়ার যত কারণ

চ্যাম্পিয়নস লিগের প্লে-অফে কে কার প্রতিপক্ষ

 

স্পোর্টিং লিসবনের হয়ে ক্যারিয়ার শুরু করা রোনালদো পর্তুগিজ ক্লাবটির হয়ে ১৩টি ম্যাচ জিতেছিলেন। এরপর দুই দফায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে ২১৪টি ম্যাচে জয় লাভ করেন। তবে রোনালদো সব রেকর্ড এলোমেলো করে দেন রিয়াল মাদ্রিদে জার্সি গায়ে তুলে। লস ব্ল্যাঙ্কসদের হয়ে তিনি সবচেয়ে বেশি ৩১৬টি ম্যাচে জয়ী হন। রিয়াল ছেড়ে রোনালদো ২০১৮ সালে যোগ দেন জুভেন্টাসে। ‘তুরিনের বুড়িদের’ হয়ে তিনি ৯১ ম্যাচে জয়লাভ করেন।

বর্তমানে আল নাসরের হয়ে রোনালদো ৬৬ ম্যাচে জয় লাভ করেছেন। সব মিলিয়ে, তার ক্লাব ক্যারিয়ারে মোট ৭০০ ম্যাচের জয় একটি অপ্রতিদ্বন্দ্বী মাইলফলক, যা এখনও অন্য কোনো ফুটবলার অর্জন করতে পারেনি। উল্লেখ্য আল নাসরের হয়ে ৯৪ ম্যাচে রোনালদোর গোল পেয়েছেন ৮৫টি। এই পর্তুগিজ মহাতারকার ক্যারিয়ারের গোল সংখ্যা এখন ৯২১টি। ‘১০০০’ থেকে ৭৯ কদম পেছনে তিনি।  

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ল ভ কর র কর ড

এছাড়াও পড়ুন:

হাজার কোটি টাকা নিট মুনাফার মাইলফলকে সিটি ব্যাংক

২০২৪ সালে এক অনন্য মাইলফলক স্থাপন করেছে দেশীয় মালিকানাধীন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সিটি ব্যাংক। গত বছর ব্যাংকটি সমন্বিতভাবে ১,০১৪ কোটি টাকা নিট মুনাফা করেছে যা এখন পর্যন্ত ব্যাংকের ৪২ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। সিটি ব্যাংক এককভাবে ১,০৮৫ কোটি টাকা নিট মুনাফা অর্জন করলেও সহযোগী দুটি প্রতিষ্ঠানের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের বাজারমূল্য হ্রাস পাওয়ায় প্রভিশন ব্যয় হওয়ার কারণে ব্যাংকের সমন্বিত নিট মুনাফা ১,০১৪ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। সিটি ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

২০২৩ সালে ব্যাংকটির সমন্বিত নিট মুনাফা ছিল ৬৩৮ কোটি টাকা। সে তুলনায় ২০২৪ সালে সমন্বিত মুনাফা বেড়েছে ৩৭৬ কোটি টাকা বা ৫৯ শতাংশ- যা সিটি ব্যাংকের ইতিহাসে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি।

মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের সভায় ২০২৪ সালের আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করে ব্যাংকটি। সেই সঙ্গে ঘোষণা করা হয় ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ, যার মধ্যে ১২.৫ শতাংশ নগদ এবং ১২.৫ শতাংশ বোনাস। গত বছরও একই হারে লভ্যাংশ দিয়েছিল সিটি ব্যাংক। শেয়ারধারীদের অনুমোদনের পর এই লভ্যাংশ বার্ষিক সাধারণ সভায় বিতরণ করা হবে। ঘোষিত নগদ লভ্যাংশে ব্যয় হবে প্রায় ১৭০ কোটি টাকারও বেশি। পাশাপাশি বোনাস হিসেবে প্রতি ১০০ শেয়ারের বিপরীতে ১২.৫টি নতুন শেয়ার দেওয়া হবে।

রেকর্ড মুনাফার প্রভাব পড়েছে ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয়েও। ২০২৩ সালের ৪.৭৪ টাকার তুলনায় ২০২৪ সালে ইপিএস বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭.৫৩ টাকায়, অর্থাৎ প্রবৃদ্ধি ৫৮.৯ শতাংশ। একইভাবে শেয়ারপ্রতি প্রকৃত সম্পদমূল্য বেড়ে হয়েছে ৩৪.৩৯ টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় ৫.৩৮ টাকা বা ২০.৪১ শতাংশ বেশি।

রেকর্ড মুনাফার কারণ জানতে চাইলে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফিন বলেন, ‘মানুষ আমাদের ওপর আস্থা রেখে আমানত রেখেছে। আয়-ব্যয়ের অনুপাত ৬০ শতাংশ থেকে কমে ৪২ শতাংশে নেমে এসেছে। ফলে মুনাফায় বড় উল্লম্ফন ঘটেছে। আমরা কর্মীদের বেতন বাড়িয়ে ৩০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় করেছি, যা কর্মীদের উৎসাহিত করেছে। আমাদের পরিচালনা পর্ষদ সৎ ও মেধাবী। ব্যাংকে ঈর্ষণীয় পর্যায়ের সুশাসন বিদ্যমান। এসবই রেকর্ড মুনাফার পেছনের মূল কারণ।’

২০২৪ সালে ব্যাংকের আমানত বেড়েছে ৩১ শতাংশ বা ১২,১৭৭ কোটি টাকা, যেখানে ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ১২ শতাংশ বা ৪,৮৩১ কোটি টাকা। এই উদ্বৃত্ত তহবিলের বড় একটি অংশ সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করা হয়েছে, যা আগের বিনিয়োগ থেকে ৬,১৫০ কোটি টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২,৪৮৮ কোটি টাকায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দুই হাজারি ক্লাবে গিয়ে মিরাজের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি
  • এবার হাজার কোটি টাকার মুনাফার ক্লাবে সিটি ব্যাংক
  • হাজার কোটি টাকা নিট মুনাফার মাইলফলকে সিটি ব্যাংক