অগ্নি নির্বাপণে বিশেষ অবদান রাখায় পুরস্কার পেলেন ওয়ালটনের গৌরীপুর সার্ভিস পয়েন্টের কর্মকর্তারা।   সম্প্রতি তাদের পুরস্কার দেওয়া হয়। 

গত বছরের ১৮ নভেম্বর ওয়ালটন সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতাধীন গৌরীপুর সার্ভিস পয়েন্টের ভবনে ইলেকট্রিক শট সার্কিট থেকে আগুন লাগে। ওই সার্ভিস পয়েন্টে কর্মরত কর্মীরা বিচক্ষণতার সঙ্গে তাৎক্ষণিক আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তাদের এই পদক্ষেপের কারণে  প্রাণহানী ও বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি। 

অগ্নি নির্বাপণ ও দুর্ঘটনা রোধে গৌরীপুর সার্ভিস পয়েন্টের কর্মীদের বিচক্ষণতা ও দায়িত্বশলতার কারণে তাদের সবাইকে বিশেষ প্রশংসাপত্র ও আর্থিক প্রণোদনা প্রদান করে ওয়ালটন কাস্টমার সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট। 

গত ২৮ জানুয়ারি ওয়ালটন ওয়ালটন কাস্টমার সার্ভিস ম্যানেজমেন্টের চিফ সার্ভিস অফিসার মো.

নিয়ামুল হক, হেড অব ইনভেস্টিগেশন ম্যানেজমেন্ট অরুপ সাহা, ইনভেস্টিগেশন ম্যানেজমেন্ট প্রতিনিধি রুহুল ইসলাম রনি, হেড অব ইএইচএস (সিএসএম) মো. মাহমুদুর রহমান, ডিভিশনাল সার্ভিস অফিসার মনিসংকর সিকদার উপস্থিত থেকে গৌরীপুর সার্ভিস পয়েন্টের কর্মরত সবার হাতে পুরষ্কার তুলে দেন।

ঢাকা/আকরাম/ইভা 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

দেশে গাছপালা নিধনের জন্য বন বিভাগ কম দায়ী নয়: উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা

পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশে বনভূমি উজাড় ও গাছপালা কমে যাওয়ার জন্য বন বিভাগের দায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে রাঙামাটি শহরের জিমনেশিয়াম মাঠে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন তিনি।

সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে যদি বলা হয় যে আর কোনো কিছু অবশিষ্ট নেই, তাহলে খুব বেশি ভুল হবে না। ৮০ সাল পর্যন্ত এখানে বন ছিল, গাছপালা ছিল, ঝোপঝাড় ছিল। এই অঞ্চলে বা দেশে গাছপালা নিধনের জন্য বন বিভাগ কোনো অংশ কম দায়ী নয়।

সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের চেয়ে বড় আকারের বনভূমি এখন মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী কিংবা সিলেটে দেখা যায়। পার্বত্য অঞ্চলে এই অবস্থা কেন সৃষ্টি হলো সবার ভাবতে হবে।

পার্বত্য উপদেষ্টা আরও বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে সাধারণত ভাদ্র মাসের প্রথম দিকে শীতের অনুভূতি পাওয়া যেত। এখন কার্তিক মাসেও শীতের অনুভূতি পাওয়া যায় না। যারা আদিকাল থেকে এই অঞ্চলে বসবাস করে আসছে, তারা প্রকৃতি সচেতন ছিল। তাই তাদের ওপর খুব বেশি ভূমি ধস হয়েছে শোনা যায় না। তাদের বাড়িঘরেও হয়নি। প্রকৃতিকে যারা চেনে না, তাদের ওপর ভূমিধস হয়।

বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ। এ ছাড়া বক্তব্য দেন পরিকল্পনা কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব এ কে এম আকমল হোসেন আজাদ, রাঙামাটি সার্কেলের বন সংরক্ষক মো. আবদুল আওয়াল সরকার, জেলা পুলিশ সুপার এস এম ফরহাদ হোসেন, সিভিল সার্জন নূয়েন খীসা, দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এসম সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ। এর আগে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করা হয়। ৮ আগস্ট পর্যন্ত এই মেলা চলবে। বৃক্ষমেলায় ২১টি স্টল অংশগ্রহণ করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ