সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে বন্ধুর বাড়ি বেড়াতে এসে ফুলজোড় নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ হয়েছেন তিন স্কুলছাত্র। শনিবার বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার ভদ্রঘাট ইউনিয়নের ঝাঁটিবেলাই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

নিখোঁজ স্কুলছাত্ররা হলেন- ঝাঁটিবেলায় গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে রাফি ইসলাম (১৫), সিরাজগঞ্জ শহরের বাসিন্দা কৃষ্ণ কুমার (১৫) ও সারজিল হোসেন (১৫)। তারা সবাই সিরাজগঞ্জ কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঝাঁটিবেলাই গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক রঞ্জুর নাতি জারিফের বাড়িতে পাঁচ বন্ধু বেড়াতে আসেন। তারা শনিবার দুপুরে ফুলজোড় নদীতে গোসল করতে নামে। গোসলের এক পর্যায়ে তিনজন নদীতে ডুবে যায়। অপর তিনজন সাঁতরে উঠে আসে। বিকেল সোয়া ৫টা পর্যন্ত পর্যন্ত নিখোঁজদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। 

কামারখন্দ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের ওয়ার হাউস ইন্সপেক্টর অপু কুমার মন্ডল বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। তবে নদীর পানির গভীরতা ২০ থেকে ২৫ ফুট হওয়ায় নিখোঁজদের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। 

তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের রাজশাহী ডুবুরি টিমকে খবর দেওয়া হয়েছে। খুব দ্রুত তারা ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার অভিযান শুরু করবেন।

কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.

মোখলেসুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা রয়েছেন। এখন পর্যন্ত নিখোঁজদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স র জগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।

মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ