বন্ধুর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যেতে লাগবে প্রবেশ ফি
Published: 2nd, February 2025 GMT
যদি এমন হয়— বন্ধুর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে প্রবেশ ফি দিয়ে ঢুকতে হয়, তাহলে কী করবেন? নিশ্চয় কিছুটা বিব্রত হবেন। তাইতো হওয়ার কথা। এরকমই বিব্রত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের এক নারী। তিনি বন্ধুর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছেন ঠিকই কিন্তু শর্ত ছিল ৪৯৯ ডলার (প্রায় ৬০ হাজার টাকা) দিয়ে অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া যাবে। আর সঙ্গে অতিথি নিতে চাইলে আরও ২৪০ ডলার (প্রায় ৩০ হাজার) টাকা গুণতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম রেডিটে একটি পোস্ট দিয়েছেন এক নারী। তিনি নিজের নাম–পরিচয় প্রকাশ করেননি। ওই পোস্টে তিনি একটি আমন্ত্রণপত্রের ছবি দিয়েছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বন্ধুদের দিতে হবে ৪৯৯ মার্কিন ডলার। আর সঙ্গে অতিথি আনতে চাইলে জনপ্রতি আরও ৩০ হাজার টাকা (২৫০ ডলার) দিতে হবে।
ওই পোস্টের শিরোনামে লেখা, ‘এক বান্ধবীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে দাওয়াত পেয়েছি। মাত্রই দাওয়াতপত্র পেলাম এবং আমাকে এ জন্য ৪৯৯ ডলার দিতে হবে। আমি যদি সঙ্গে একজন অতিথি নিতে চাই, তবে গুনতে হবে আরও ২৫০ ডলার।’
ওই নারী আরও বলেছেন, তার বান্ধবী সম্প্রতি সিটি কাউন্সিলে নির্বাচিত হয়েছেন, একটি নতুন বাড়িও কিনেছেন। ওই নারী আরও লেখেন, ‘কোনোভাবে তার কাছে এটা হয়তো যুক্তিসংগত মনে হয়েছে। তিনি হয়তো যেকোনো উপায়ে বাড়িবন্ধকের অর্থ পরিশোধ করতে চাইছেন।’
সোমবার(৩ ফেব্রুয়ারি) ওই নারীর বান্ধবীর জন্মদিনের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে।বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ওই অনুষ্ঠান চলবে। এদিকে ওই নারীর দেওয়া পোস্টটি মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। ৭০ হাজারের বেশি মানুষ প্রতিক্রিয়া জানান। একজন লিখেছেন, ‘অনুষ্ঠানে “পাগলেরা” আমন্ত্রিত।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘জন্মদিনের অনুষ্ঠান হলেও এটা আসলে তহবিল সংগ্রহের উদ্যোগ।’
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ফরিদপুর জেলা এনসিপি’র কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আ’লীগ সভাপতি মেয়ে
ফরিদপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর কমিটি গঠনের দায়িত্ব পেয়েছেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহ্মুদা বেগমের মেয়ে সৈয়দা নীলিমা দোলা।গত মঙ্গলবার এনসিপির সদস্যসচিব আক্তার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ওই চিঠিতে ফরিদপুর অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক করা হয়েছে মো. আব্দিুর রহমানকে এবং সংগঠক করা হয়েছে মো. রাকিব হোসেনকে।
এছাড়া ফরিদপুর অঞ্চলের পাঁচটি জেলা, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী জেলার দু’জন করে ব্যক্তিকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
ফরিদপুর জেলার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে যে দু’জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাদের একজন হলেন সৈয়দা নীলিমা দোলা। তিনি জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহ্মুদা বেগমের মেয়ে এবং জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোহাম্মদ নাসিরের ভাগনি। দোলার বাবা সৈয়দ গোলাম দস্তগীর পেশায় ব্যবসায়ী।
সৈয়দা নীলিমা ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংগীত বিভাগে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি কিছুদিন একটি মোবাইল ফোন কোম্পানিতে চাকরি করেন। বর্তমানে ‘সিনে কার্টেল’ নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী।
এ বিষয়ে সৈয়দা নীলিমা দোলা বলেন, ‘আমার পরিবারের সদস্যদের আওয়ামী রাজনীতি করা সংক্রান্ত কিছু পোস্ট আপনাদের সামনে আসতে পারে। আমি নিজে এর একটা ব্যাখ্যা রাজপথের সহযোদ্ধাদের দিয়ে রাখতে চাই। আমি ১০ বছর ধরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন করছি। নো মেট্রো অন ডিইউ মুভমেন্ট, রামপাল বিরোধী আন্দোলন, ডিএসএ বাতিলের আন্দোলন, সুফিয়া কামাল হলকে ছাত্রলীগ মুক্ত করাসহ অন্যান্য সকল আন্দোলনে আমি পরিচিত মুখ। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমার লেখালেখিও পুরনো। ২০১২ সালে পরিবার ছাড়ার পর রাজপথই আমার আসল পরিবার। জুলাইয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অন্যতম মামলা তাহির জামান প্রিয় হত্যা মামলার একজন প্রত্যক্ষদর্শী আমি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরাসরি ছাত্রলীগ করে অনেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন। আমি কখনও ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না, তাই আমার নাগরিক কমিটির সদস্য হতে বাধা কোথায়? এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা জেনে-বুঝে এবং আমি ‘লিটমাস’ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরই আমাকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগ নেত্রীর মেয়ে দায়িত্ব পেয়েছেন জেলার এনসিপি কমিটি গঠনে-এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব সোহেল রানা বলেন, ‘তার (সৈয়দা নীলিমা) পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড আওয়ামী লীগ। আমরা দেখেছি, গত জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে তার মামা গোলাম নাসির কিভাবে আমাদের ওপর নির্বিচার গুলি ছুড়েছিল। তার মায়ের কর্মকাণ্ডও আমাদের অজানা নয়।’
সৈয়দা নীলিমা দোলার সঙ্গে আমাদের পরিচয় পর্যন্ত নেই মন্তব্য করে সোহেল রানা বলেন, ‘আসলে দায়িত্ব দেওয়ার আগে সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে নেওয়া হলে ভাল হতো। যাচাই-বাছাই করা হলে এ রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না।’