যদি এমন হয়— বন্ধুর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে প্রবেশ ফি দিয়ে ঢুকতে হয়, তাহলে কী করবেন? নিশ্চয় কিছুটা বিব্রত হবেন। তাইতো হওয়ার কথা। এরকমই বিব্রত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের এক নারী। তিনি বন্ধুর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছেন ঠিকই কিন্তু শর্ত ছিল ৪৯৯ ডলার (প্রায় ৬০ হাজার টাকা) দিয়ে অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া যাবে। আর সঙ্গে অতিথি নিতে চাইলে আরও ২৪০ ডলার (প্রায় ৩০ হাজার) টাকা গুণতে হবে। 

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম রেডিটে একটি পোস্ট দিয়েছেন এক নারী। তিনি নিজের নাম–পরিচয় প্রকাশ করেননি। ওই পোস্টে তিনি একটি আমন্ত্রণপত্রের ছবি দিয়েছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বন্ধুদের দিতে হবে ৪৯৯ মার্কিন ডলার। আর সঙ্গে অতিথি আনতে চাইলে জনপ্রতি আরও ৩০ হাজার টাকা (২৫০ ডলার) দিতে হবে।

ওই পোস্টের শিরোনামে লেখা, ‘এক বান্ধবীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে দাওয়াত পেয়েছি। মাত্রই দাওয়াতপত্র পেলাম এবং আমাকে এ জন্য ৪৯৯ ডলার দিতে হবে। আমি যদি সঙ্গে একজন অতিথি নিতে চাই, তবে গুনতে হবে আরও ২৫০ ডলার।’

ওই নারী আরও বলেছেন, তার বান্ধবী সম্প্রতি সিটি কাউন্সিলে নির্বাচিত হয়েছেন, একটি নতুন বাড়িও কিনেছেন। ওই নারী আরও লেখেন, ‘কোনোভাবে তার কাছে এটা হয়তো যুক্তিসংগত মনে হয়েছে। তিনি হয়তো যেকোনো উপায়ে বাড়িবন্ধকের অর্থ পরিশোধ করতে চাইছেন।’

সোমবার(৩ ফেব্রুয়ারি) ওই নারীর বান্ধবীর জন্মদিনের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে।বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ওই অনুষ্ঠান চলবে। এদিকে ওই নারীর দেওয়া পোস্টটি মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। ৭০ হাজারের বেশি মানুষ প্রতিক্রিয়া জানান। একজন লিখেছেন, ‘অনুষ্ঠানে “পাগলেরা” আমন্ত্রিত।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘জন্মদিনের অনুষ্ঠান হলেও এটা আসলে তহবিল সংগ্রহের উদ্যোগ।’

তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সব্যসাচী কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন

প্রথিতযশা অধ্যাপক ও পরিসংখ্যানবিদ কাজী মোতাহার হোসেন ছিলেন একজন সব্যসাচী মানুষ। তিনি নিজের কাজের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন। তাঁর ঐতিহ্য শিক্ষার্থীদের ধারণ করতে হবে।

জ্ঞানতাপস কাজী মোতাহার হোসেনের ১২৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথাগুলো বলেন।

অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তৃতা, বৃত্তি, পদক, পুরস্কার ও সনদ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের যৌথ আয়োজক কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগ এবং পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউট।

অনুষ্ঠানে ‘যুগলের বন্ধন: কাজী নজরুল ইসলাম-কাজী মোতাহার হোসেন’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা দেন অধ্যাপক ভীষ্মদেব চৌধুরী। তিনি দুই বন্ধুর সম্পর্কের রসায়নের নানা দিক তুলে ধরেন।

প্রধান অতিথি বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, এই অনুষ্ঠানের দুটো প্রাপ্তি আছে। প্রথমত, মানুষের অবদান ও মেধাকে স্বীকার করা হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, এই উপমহাদেশের একজন প্রথিতযশা সব্যসাচী মানুষের ঋণ স্বীকার করা হচ্ছে।

কাজী মোতাহার হোসেন যেকোনো বিবেচনায় একজন দার্শনিক বলে উল্লেখ করেন নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন। প্রথম সারির পরিসংখ্যানবিদ, বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা ছাড়াও তিনি অনেকগুলো সামাজিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, প্রভাব বিস্তার করেছেন। একজন মানুষের ছোট জীবদ্দশায় এত গুণ সন্নিবেশিত করা কঠিন। কিন্তু তিনি তা করে দেখিয়েছেন।

সবাইকে নিয়ে চলা, প্রতিষ্ঠান তৈরি করা, নিজের জগতের বাইরে নানা কিছুতে হাত বাড়িয়ে দেওয়ার মতো ঐতিহ্য কাজী মোতাহার হোসেন করে গেছেন বলে উল্লেখ করেন নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি বলেন, তাঁর সম্মানে যাঁরা আজ স্বীকৃতি পেলেন, তাঁরা এই ঐতিহ্যকে ধারণ করবেন। এটা (বিশ্ববিদ্যালয়) যে সামাজিক প্রতিষ্ঠান, সে বার্তা দেবেন। যেসব শিক্ষার্থী সম্মাননা পাচ্ছেন, তাঁদের ছোট প্রোফাইল তৈরি করে ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল মাজেদ বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন একজন সব্যসাচী মানুষ ছিলেন। বিজ্ঞানের এমন কোনো দিক নেই, যেখানে তাঁর পদচারণা ছিল না। তিনি দাবা খুব পছন্দ করতেন। দাবা খেলার কথা শুনলে তিনি ছুটে যেতেন। কাজী মোতাহার হোসেনকে নিয়ে তাঁর শোনা নানা গল্প তিনি স্মৃতিচারণা করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জাফর আহমেদ খান বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন পরিসংখ্যান চর্চার পথিকৃৎ ছিলেন। বিজ্ঞান, দাবাচর্চারও পথিকৃৎ ছিলেন। এমন কোনো পুরস্কার নেই যে, তিনি পাননি। তাঁর দেখানো পথে যেন শিক্ষার্থীরা নিজেদের আলোকিত করতে পারেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রওনাক হোসেন। এই আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের সেরা শিক্ষার্থীদের বই, নগদ অর্থ ও সনদ তুলে দেওয়া হয়। এ ছাড়া কাজী মোতাহার হোসেনকে নিয়ে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গঙ্গাচড়ায় হিন্দুবাড়িতে হামলা ঠেকাতে ‘পর্যাপ্ত’ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি
  • নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ-আ.লীগ নেতা–কর্মীদের ‘গোপন বৈঠক’ ঘিরে গ্রেপ্তার ২২, সেনা হেফাজতে মেজর
  • দেশের চারজনের একজন বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের শিকার
  • ফ্যাসিবাদ, উগ্রবাদ যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে
  • ডেঙ্গুতে দুজনের, করোনাভাইরাসে একজনের মৃত্যু
  • জাওয়াইদেহ বেদুইনদের মৌখিক সাহিত্য
  • রাবিতে আ.লীগ ট্যাগ দিয়ে চিকিৎসা কর্মীকে বিবস্ত্র করে মারধর
  • ইরানের সঙ্গে সংঘাত: ইসরায়েলকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা দিতে সৌদি সরকারকে অনুরোধ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র
  • সিরিজের শেষ ম্যাচে নেই স্টোকস, দায়িত্বে পোপ
  • সব্যসাচী কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন