শামীম-তানিয়ার ‘শ্বশুর আব্বার টি-স্টল’
Published: 2nd, February 2025 GMT
ছোটপর্দার ব্যস্ত তারকা শামীম হাসান সরকার ও তানিয়া বৃষ্টি। জাকিউল ইসলাম রিপনের পরিচালনায় এই জুটি ‘শ্বশুর আব্বার টি-স্টল’ শিরোনামে একটি একক নাটকে অভিনয় করলেন।
পারিবারিক ঝগড়া, সামাজিক টানাপড়েন আর হাস্যরসে ভরপুর নাটকটি কালবেলা ড্রামা চ্যানেলে প্রকাশিত হয়েছে। জুয়েল এলিনের লেখা এই নাটকের গল্পের কেন্দ্রবিন্দু এক সদ্য বিবাহিত দম্পতি। প্রেমের টানে বাবার আদর ছেড়ে নতুন একটি জীবনের পথে পা বাড়ায় তারা। পালিয়ে বিয়ে করে দুই পরিবার থেকেই বঞ্চিত হন নবদম্পতি। ছেলের একমাত্র সম্বল ব্যাটারিচালিত রিকশা ও মেয়ে কাজ নেয় মানুষের বাসাবাড়িতে। নানা ঘটনায় এগিয়ে যায় নাটকটির গল্প।
নাটকের মূল চরিত্র রূপায়নকারী শামীম হাসান সরকার বলেন, “এটা এমন এক গল্প, যা দেখলে মানুষ মন খারাপ ভুলে হাসতে বাধ্য হবেন। সঙ্গে সামাজিক বার্তাও রয়েছে। আশা করি, দর্শকরা নাটকটি পছন্দ করবেন। শুটিং সেটে কাজের সময় ইউনিটের সবাই হেসেছি। দর্শকরাও না হেসে পারবেন না।”
আরো পড়ুন:
তাহসানের সঙ্গী নাদিয়া
সড়ক দুর্ঘটনায় আহত খুশি, সেলাই পড়েছে ১০টি
নাটকটি নিয়ে আত্মবিশ্বাসী তানিয়া বৃষ্টি। তার ভাষায়, “নাটকে আমি হাওয়া চরিত্রে অভিনয় করেছি। মজার একটি গল্পে নাটকটি নির্মিত হয়েছে। এত মজার গল্প আমরা শুটিং সেটে নিজেরাই অনেক মজা পেয়েছি। দর্শকরা উপভোগ করবেন গ্রামীণ পরিবেশে নির্মিত নাটকটি।”
নির্মাতা জাকিউল ইসলাম রিপন বলেন, “গল্পটি যেমন হাসায়, তেমনই পরিবারের জটিলতাগুলো নিয়ে ভাবতে বাধ্য করে। ‘শ্বশুর আব্বার টি-স্টল’ দেখার পর দর্শকরা উপলব্ধি করবেন, জীবনের বড় সমস্যাগুলো কখনো কখনো ছোট মজার মধ্যেই লুকিয়ে থাকে।”
শামীম-তানিয়া ছাড়াও নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আবদুল্লাহ রানা, সিদ্দিক মাস্টার, মিলি বাসার, বাপ্পি বাসার, কামরুন নাহার, সোহেল হাসান, হিরা মনি প্রমুখ।
আশিয়ান সিটি নিবেদিত ‘শ্বশুর আব্বার টি-স্টল’ নাটকটি কালবেলা ড্রামার দ্বিতীয় নাটক। এর আগে চ্যানেলটির প্রথম নাটক ‘পাগলের সুখ মনে মনে’ দর্শকমহলে ব্যাপক সাড়া ফেলে।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক ন টকট
এছাড়াও পড়ুন:
নড়াইলে সরকারি গাছ বিক্রির অভিযোগে চেয়ারম্যানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়নে সড়কের পাশে সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে শাহবাদ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মশিউর রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি করেন।
মামলায় ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানসহ ১৩ জন আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকা ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন ও প্রশিকার গঠিত সংগঠন প্রভাতী যুব সংঘের সভাপতি নড়াইল সদর উপজেলার তুজরডাঙ্গা এলাকার মুজিবুর রহমান, সদস্য একই এলাকার জরিনা বেগম, রজব আলী, মো. আজিবর, মো. ইলিয়াছ, ইমান আলী, মো. ওমর, মো. হায়দার, আবু সাঈদ, মো. এনামুল ও মো. শরিফুল।
এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মামলার এজহারে বাদী অভিযোগ করেছেন, গত ২৯ এপ্রিল নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ বাজার থেকে হাজির বটতলা পর্যন্ত সরকারি রাস্তার জায়গা থেকে গাছ কাটা ও চুরি করে বিক্রির সংবাদ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। উপস্থিত হয়ে দেখেন, কাটা গাছবোঝাই একটি ট্রাক এবং নছিমন জব্দ করেছেন নড়াইল সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার দেবাশীষ অধিকারী। তখন ঘটনাস্থলে শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদ ও খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, মামলার আসামিরা কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই খাসজমি থেকে গাছ কেটে বিক্রি করেছেন। এর আগেও একবার তাঁরা ওই জমি থেকে গাছ বিক্রি করেছিলেন। জব্দ করা গাছের লগ, ডালপালা এবং আগে কাটা গাছের অবশিষ্ট ভূমিসংলগ্ন গুঁড়ি পর্যবেক্ষণ করে বোঝা গেছে, ওই স্থান থেকে আনুমানিক পাঁচ লাখ টাকার অধিক গাছ চুরি করে কাটা ও বিক্রি হয়েছে।
প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকার ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন বলেন, ২০০৯ সালে প্রশিকা, ইউনিয়ন পরিষদ ও প্রভাতী যুব সংঘের যৌথ উদ্যোগে একটি চুক্তির মাধ্যমে সড়কের পাশে গাছগুলো রোপণ করেছিল। সে সময় সড়কটি খাস খতিয়ানভুক্ত ছিল না। বর্তমানে তা সরকারের আওতায় পড়ায় গাছ কাটার অনুমতি চেয়ে ইউএনওর কাছে আবেদন করা হয়েছিল, তবে প্রশাসন কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। কিছুদিন আগে ইউপি সদস্য ইব্রাহিম তাঁকে ফোনে জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালা বিক্রি করতে চান চেয়ারম্যান। বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালাগুলো পড়ে থেকে নষ্ট হবে ভেবে তিনি বিক্রিতে সম্মতি দেন। পরে গাছ কীভাবে বা কারা কেটেছে, তা তিনি জানেন না।
মামলা করার আগে অবৈধভাবে গাছ কাটার অভিযোগের ব্যাপার জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, প্রশিকার সঙ্গে চুক্তির একটি পক্ষ ছিল ইউনিয়ন পরিষদ। সেই হিসেবে গাছ কাটার অনুমতি নিতে ইউএনও বরাবর প্রশিকার আবেদন তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে সুপারিশ করেছিলেন। তবে গাছ কেটেছে প্রশিকা আর তাদের সংগঠন। এখানে চেয়ারম্যান-মেম্বরের কিছু নেই।
নড়াইল সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ অধিকারী বলেন, প্রশিকার চুক্তির সময় সড়কটি ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে ছিল, পরে ২০১৫ সালে এটি খাস খতিয়ানভুক্ত হয়। খাসজমি থেকে গাছ কাটা বেআইনি। এ কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।