আট বছরেও মেলেনি সাংবাদিক শিমুল হত্যার বিচার
Published: 2nd, February 2025 GMT
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে সাংবাদিক আব্দুল হাকিম শিমুল হত্যাকাণ্ডের আট বছরেও বিচার পায়নি তাঁর পরিবার। ২০১৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি শাহজাদপুর পৌর এলাকায় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। পরদিন ৩ ফেব্রুয়ারি তাঁর মৃত্যু হয়। হত্যার বিচার শেষ না হওয়ায় হতাশ স্বজন ও সহকর্মীরা।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পৌরসভার সাবেক মেয়র হালিমুল হক মিরুসহ ৪০ জনকে আসামি করে শাহজাদপুর থানায় মামলা করেন শিমুলের স্ত্রী। ২০১৭ সালের ২ মে ৩৮ জনকে আসামি করে পুলিশ অভিযোগপত্র দেয়। পরে মামলাটি শাহজাদপুর আমলি আদালত থেকে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তর করা হয়। এর পর আসামিদের নানা পদক্ষেপের কারণে অভিযোগ গঠন বিলম্বিত হতে থাকে। এর মধ্যে উচ্চ আদালতের আদেশে আসামি অনেক আগেই জামিনে ছাড়া পান। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মামলার জামিনপ্রাপ্ত আসামিরা শাহজাদপুর ছেড়ে পালিয়ে যায়।
শিমুলের স্ত্রী নুরন্নাহার বলেন, মিরুসহ ৩৮ আসামি জামিনে। উপজেলা চেয়ারম্যান হয়ে মামলা তুলে নিতে মিরু ও তার লোকজন প্রায় চাপ দেয়। পালিয়ে থেকেও মিরু ও তার দোসররা নানা কায়দায় চাপ দিচ্ছে। বর্তমানে বিচার পেতে অন্তর্বর্তী সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
শাহজাদপুর প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি বিমল কুমার কুণ্ডু জানান, ২০১৯ সালের ৩ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ ছয় সপ্তাহের মধ্যে শিমুল হত্যা মামলায় হাইকোর্টে স্থগিতাদেশের রুল নিষ্পত্তির আদেশ দেন। এর পরও বিচার কাজ স্থবির হয়ে আছে।
প্রতিবছর ৩ ফেব্রুয়ারি শিমুলকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন সহকর্মীরা। শাহজাদপুর প্রেস ক্লাবে স্মরণসভায় শিমুলের স্বজনকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়। এবারও এ আয়োজন করা হয়েছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে প্রেম করার আগে জেনে রাখুন
আমরা যাঁরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করি, তাঁদের দিনের বড় একটি অংশ সহকর্মীদের সঙ্গেই কাটে। আসা–যাওয়া আর ঘুমের সময়টুকু বাদ দিলে দেখা যাবে, পরিবারের সদস্যদের চেয়ে তাঁদের সঙ্গেই কাটছে বেশি সময়। স্বাভাবিকভাবেই সহকর্মীদের সঙ্গে একধরনের সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়, তাঁরা হয়ে ওঠেন বন্ধু, মনের কথা ভাগ করে নেওয়ার সঙ্গী। কখনো কখনো এই সম্পর্ক পেশাগত সীমারেখাও ছাড়িয়ে যায়।
প্রশ্ন হলো, সহকর্মীদের সঙ্গে আচরণের ক্ষেত্রে এই সীমারেখা কোথায় টানতে হবে? অফিসে বা বাইরে বিপরীত লিঙ্গের সহকর্মীর সঙ্গে কোন কথাটা বলা যাবে, কোন ঠাট্টাটা করা যাবে, মোটের ওপর কতটা মেলামেশা করা যাবে?
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে কোল্ডপ্লের কনসার্ট দেখতে গিয়ে অন্তরঙ্গ অবস্থায় ক্যামেরায় ধরা পড়েন মার্কিন সফটওয়্যার সংস্থা অ্যাস্ট্রোনোমার প্রধান নির্বাহী অ্যান্ডি বায়রন ও সংস্থাটির এইচআর প্রধান ক্রিস্টিন ক্যাবট। যাঁদের দুজনেরই রয়েছে আলাদা পরিবার। তাঁদের সম্পর্কের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই অফিসের ক্ষেত্রে সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক কেমন হবে, একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিদের মধ্যের সম্পর্ক নৈতিকতার কোন মানদণ্ড মেনে চলবে, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
সহকর্মীর সঙ্গে কেমন আচরণ করবেন সেসব নিয়ে প্রতিটি ভালো অফিসেই আচরণবিধি থাকে