সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. আব্দুল আজিজকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১২। সোমবার রাতে ঢাকার বাংলামোটর এলাকার পদ্মা জেনারেল হাসপাতাল থেকে তাকে আটক করা হয়।

র‍্যাব-২ এর মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার খান আসিফ তপু জানিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা রয়েছে। এছাড়া, র‍্যাবের একটি সূত্র জানায়, তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রাত ১১টার দিকে প্রথমে একদল সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য হাসপাতাল ঘিরে ফেলে। এরপর ১০ মিনিটের মধ্যে র‍্যাবের ইউনিফর্ম পরা সদস্যরা এসে অধ্যাপক আব্দুল আজিজকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। 

এর আগে, ২০২৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তাড়াশ থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন বারুহাস ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো.

আসাদুজ্জামান আসাদ।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপির প্রার্থী আব্দুল মান্নান তালুকদার বিনোদপুর বাজারে একটি নির্বাচনী পথসভা করতে গেলে, আওয়ামী লীগের প্রার্থী অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজের প্রত্যক্ষ নির্দেশে তার সমর্থকরা হামলা চালান। এতে বিএনপির প্রচারণার গাড়িবহর ভাঙচুর করা হয়, ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয় এবং শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী আহত হন।

এ ঘটনায় অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজসহ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ৯৯ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া, আরও ৩০০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে মামলার অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

গ্রেপ্তারের পর অধ্যাপক ডা. আজিজকে র‍্যাবের হেফাজতে রাখা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এমপ স র জগঞ জ ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস

আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়

সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।

সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।

সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।

সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।

সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।

সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।

সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।    

সম্পর্কিত নিবন্ধ