বিদ্যালয়ে ঢুকে শিক্ষককে পদত্যাগে চাপ, আতঙ্কে স্ট্রোক
Published: 5th, February 2025 GMT
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার শাহজাহানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ঢুকে পদত্যাগে চাপ দেওয়ায় প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম ‘ভয়ে স্ট্রোক’ করেছেন বলে জানা গেছে। পরে তাকে সহকর্মীরা দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে শাহজাহানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।
শাহজাহানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে শাহজাহানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০-১৫ জন যুবক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলার প্রবেশ করে প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিমকে পদত্যাগ করতে চাপ দেন। এ সময় তারা প্রধান শিক্ষককে আড়াই লাখ টাকার অনিয়ম ও দুর্নীতির হিসেব দেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। একপর্যায়ে প্রধান শিক্ষক অচেতন হয়ে পড়েন। পরে ফয়সল নামে এক যুবক তার ফেসবুক আইডিতে এ ঘটনার একটি ভিডিও ছেড়ে দেন। তবে তাতে তিনি দাবি করেন, শিক্ষককে পদত্যাগের কথা বলায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
ওই ভিডিও ফয়সাল জানান, শিক্ষকের সঙ্গে কেউ খারাপ ব্যবহার করেনি। পদত্যাগের কথা বলায় তিনি অচেতন হয়ে পড়েন।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবুল কাসেম বলেন, বিদ্যালয়ে ঢুকে শিক্ষককে মানসিকভাবে নাজেহাল করে এক দল যুবক। চাপ সইতে না পেরে তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
মাধবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেকেুর জরুরি বিভাগের চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ট তদন্ত করা দরকার।
শিক্ষক আবুল কাসেম জানান, প্রধান শিক্ষক পুরোপুরি সুস্থ নন।
বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদ বিন কাসেম বলেন, এ ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। যারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাধবপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ ঘটনায় থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে দেখবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শ ক ষকক পদত য গ ম ধবপ র এ ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
পঞ্চগড়ে বিবাহবিচ্ছেদের চার দিনের মাথায় লাউখেত থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
পঞ্চগড়ে স্বামীর মৃত্যুর দুই বছর পর সন্তানদের রেখে গোপনে বিয়ে করে ঘর ছেড়েছিলেন এক নারী। দ্বিতীয় বিয়ের প্রায় এক মাস পর বিবাহবিচ্ছেদ হয় তাঁদের। এ ঘটনার চার দিনের মাথায় বাড়ির পাশের লাউখেত থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার দুপুরে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার ধামোর ইউনিয়নের ধামোর মধ্যপাড়া এলাকার একটি লাউখেত থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। তাঁর নাম তানজিনা আক্তার (৩৫)। তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তানজিনার দ্বিতীয় স্বামী মিনাল হোসেনের বাবা দিলু হোসেনকে (৫৫) হেফাজতে নিয়েছে আটোয়ারী থানার পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, তানজিনা আক্তারের প্রথম স্বামী মজিবর রহমান প্রায় দুই বছর আগে মারা যান। তাঁদের দুটি ছেলে আছে। এর মধ্যে প্রায় এক মাস আগে স্থানীয় যুবক মিনাল হোসেনকে (২৭) গোপনে বিয়ে করে পার্শ্ববর্তী মির্জাপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর বাজার এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন তাঁরা। এর পর থেকেই মিনালকে ছেড়ে দিতে তানজিনার ওপর চাপ দিতে থাকে মিনালের পরিবার। গত ৩০ অক্টোবর তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এর পর থেকেই মিনালকে এলাকায় দেখা যায়নি।
পুলিশ জানায়, আজ সকালে ধামোর-মধ্যপাড়া এলাকার একটি লাউখেতে কয়েকজন লাউ তুলতে গিয়ে এক নারীর লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দাদের জানান। এ সময় স্বজনেরা সেখানে গিয়ে লাশটি তানজিনার বলে শনাক্ত করেন। খবর পেয়ে বারঘাটি পুলিশ তদন্তকেন্দ্র ও আটোয়ারী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। প্রাথমিক সুরতহাল শেষে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম সরকার মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক সুরতহালে ওই নারীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর মৃত্যুর কারণ জানতে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে থানায় আনা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।