ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক না হলেও শেরপুর জেলার তিনটি সংসদীয় আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণার পর বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ায় এলাকায় আলোচনা শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে জেলা জামায়াতের প্রচার বিভাগের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ সংক্রান্ত তথ্য প্রচার করা হয়। আর বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শেরপুর জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা হাফিজুর রহমান বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।

তিনটি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন, শেরপুর-১ (শেরপুর সদর) আসনে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি হাফেজ রাশেদুল ইসলাম, শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় বিতর্ক সম্পাদক ও জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মু.

গোলাম কিবরিয়া ও শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনে শেরপুর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আলহাজ নুরুজ্জামান বাদল।

শেরপুর সদর-১ আসনের মনোনীত প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘‘সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়ার ব্যাপারে কেন্দ্র থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আমি আগেই এই ব্যাপারে তথ্য পেয়েছি। আমাকে আমার এলাকায় সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে কাজ করতে বলা হয়েছে।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘তৃণমূল পর্যায়ে মানুষ জামায়াতের নেতৃত্ব দেখতে চাচ্ছে, যা আমাদের উৎসাহিত করেছে। আগেভাগে প্রার্থী দেয়ার ফলে প্রতিটি গ্রামের ওয়ার্ড পর্যায়ের মানুষ তাদের প্রার্থীদের চিনতে পারবে।’’

এ ব্যাপারে শেরপুর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ও শেরপুর-৩ আসনের প্রার্থী আলহাজ নুরুজ্জামান বাদল বলেন, ‘‘স্থানীয় মতামত ও মাঠপর্যায়ের জরিপের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় জামায়াতে ইসলামী সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী নির্বাচনের জন্য আমরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে তাদের দুঃখ-কষ্ট বুঝার চেষ্টা করছি। আমাদের প্রার্থী মনোনয়নে কোনো প্রতিযোগিতা নেই। তাই আমাদের মনোনয়ন প্রক্রিয়া সহজ।’’ 

ঢাকা/তারিকুল/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসল ম আসন র

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ