শেখ হাসিনার বক্তব্য ব্যক্তিগতভাবে দেওয়া: ভারত
Published: 7th, February 2025 GMT
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্যগুলো তাঁর ব্যক্তিগত অবস্থান থেকে দেওয়া, তাতে ভারতের কোনো ভূমিকা নেই। তাঁর বক্তব্যের সঙ্গে ভারত সরকারের অবস্থানকে এক করে ফেললে তা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে কোনো ইতিবাচক মাত্রা যোগ করতে সহায়ক হবে না। আজ শুক্রবার নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলব করে এ কথা বলেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আজ বিকেল পাঁচটায় বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মো.
এরপর আজ নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলব করা হয়। এ নিয়ে গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়ালের বক্তব্য দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে তুলে ধরা হয়।
জয়সোয়াল বলেন, ‘বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে এই বার্তা দেওয়া হয়েছে যে ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে একটি ইতিবাচক, গঠনমূলক ও উভয়ের জন্য লাভজনক সম্পর্ক চায়, যা সম্প্রতি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকগুলোতে বেশ কয়েকবার পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে। তবে এটা দুঃখজনক যে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের নিয়মিত বিবৃতিতে ভারতকে নেতিবাচকভাবে চিত্রিত করা হচ্ছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ শাসনসংক্রান্ত বিষয়গুলোর জন্য আমাদের দায়ী করছে। বাংলাদেশের এসব বিবৃতি আসলে ক্রমাগত নেতিবাচক পরিস্থিতির জন্য দায়ী।’
জয়সোয়াল আরও বলেন, ‘ভারত সরকার যখন পারস্পরিক স্বার্থের সহায়ক সম্পর্কের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাবে, তখন আমাদের প্রত্যাশা থাকবে যে বাংলাদেশও পরিবেশের অবনতি না হয়, সে ব্যাপারে সচেষ্ট থেকে সম্পর্কের স্বার্থে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’