অপহৃত ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা রবিউল কলাপাড়ায় পরিবারের কাছে ফিরেছেন
Published: 10th, February 2025 GMT
পটুয়াখালীর কলাপাড়া থেকে অপহৃত ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা রবিউল আউয়াল (অন্তর) পরিবারের কাছে ফিরেছেন। গতকাল রোববার রাত সাড়ে আটটার দিকে কলাপাড়া থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল ইসলাম তাঁকে তাঁর পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেন।
এ সময় রবিউল আউয়ালের স্ত্রী তানজিলা আক্তার, বাবা সোলায়মান মৃধা, বড় ভাই তুষার আল মামুনসহ অন্য স্বজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
রবিউল আউয়ালের বাড়ি পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের লোন্দা গ্রামে। তিনি গণ অধিকার পরিষদের ছাত্রসংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতাবিষয়ক সহসম্পাদক। কলাপাড়া পৌরসভার শহীদ সুরেন্দ্র মোহন চৌধুরী সড়কের কলাপাড়া প্রেসক্লাবের মার্কেটে তাঁর ‘গ্রাফিকস ওয়াল’ নামে ডিজিটাল প্রেসের একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে রবিউল আউয়াল মোটরসাইকেলে করে লোন্দা গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এর পর থেকে তাঁকে আর খুঁজে পাচ্ছিলেন না স্বজনেরা।
এদিকে নিখোঁজের ৫৪ ঘণ্টা পর গতকাল রোববার পুলিশ রবিউলকে ঢাকার কামরাঙ্গীর চর এলাকার আশরাফাবাদ নবীনগরের নার্সারি গলির নুর হোসেন বাবুলের বাসা থেকে উদ্ধার করে। গতকাল বিকেলে তাঁকে পটুয়াখালীর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আনা হয়। সেখানে পুলিশ সুপার আনোয়ার জাহিদ ওই ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে বিস্তারিত তুলে ধরেন। পুলিশ সুপার এ সময় বলেন, অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা সাদা মাইক্রোবাসে করে এসে অন্তরের (রবিউল) মোটরসাইকেল চাপা দিয়ে ফেলে দেন। তাঁরা মাইক্রোবাস থেকে নেমে জোর করে অন্তরকে তুলে নিয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা এলাকায় ফেলে দেন। সেখান থেকে তিনি বাসে করে ঢাকায় বন্ধু আল-আমিনের কাছে যান। পরে তিনি কামরাঙ্গীরচর এলাকায় তাঁর বন্ধু নুর হোসেন বাবুলের বাসায় যান।
আরও পড়ুনপটুয়াখালী থেকে ‘নিখোঁজ’ ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা অন্তর ঢাকায় উদ্ধার২০ ঘণ্টা আগেআজ সোমবার সকালে কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাতে অন্তরকে (রবিউল) পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় তাঁর ভাই বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুনছাত্র অধিকার পরিষদ নেতা রবিউলকে কলাপাড়া থেকে অপহরণ করে ভাঙ্গায় ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা১৪ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ব র র কল প ড় গতক ল
এছাড়াও পড়ুন:
আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য
এশিয়া কাপে আজকের রাত যেন এক নাটকীয় অধ্যায়। ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে আবুধাবির মাঠে মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হওয়া এই লড়াই কেবল দুই দলের নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের ভাগ্যও। কোটি টাইগার সমর্থক তাই আজ তাকিয়ে থাকবে টিভি পর্দায়। কারণ, এই ম্যাচেই নির্ধারিত হবে, বাংলাদেশ কি সুপার ফোরে উড়াল দেবে, নাকি গ্রুপ পর্বেই শেষ হবে স্বপ্নযাত্রা।
গ্রুপের সমীকরণ এখন টানটান নাটকের মতো। তিন ম্যাচে পূর্ণ ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে শ্রীলঙ্কা। সমান ৪ পয়েন্ট থাকলেও রান রেটে পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের ঝুলিতে আছে ২ পয়েন্ট; এক জয় ও এক হারের ফল। হংকং অবশ্য তিন ম্যাচেই হেরে অনেক আগেই বিদায় নিয়েছে।
আরো পড়ুন:
আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান
আরব আমিরাতকে ১৪৭ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান
এখন হিসাবটা এমন—
আফগানিস্তান হেরে গেলে বাংলাদেশ নিশ্চিতভাবেই সুপার ফোরে।
আফগানিস্তান জিতলে সমীকরণ জটিল হবে। তখন শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের পয়েন্ট সমান ৪ হলেও নেট রান রেটে স্পষ্ট এগিয়ে থাকবে আফগানরা (২.১৫০)। শ্রীলঙ্কার রান রেট ১.৫৪৬, আর বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে -০.২৭০-তে।
অর্থাৎ আফগানিস্তান যদি জেতে, তবে বাংলাদেশকে তাকিয়ে থাকতে হবে এক অসম্ভব সমীকরণের দিকে। সেটা হলো- লঙ্কানদের অন্তত ৭০ রানের ব্যবধানে হারতে হবে এবং তা করতে হবে ৫০ বল হাতে রেখে। অন্যথায় রান রেটের খেলায় পিছিয়েই থাকতে হবে টাইগারদের। তবে বৃষ্টি যদি হানা দেয় কিংবা ম্যাচ কোনো কারণে পরিত্যক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা দু’দলই নিশ্চিতভাবেই চলে যাবে সুপার ফোরে।
ম্যাচকে ঘিরে দুই শিবিরেই চাপ-উত্তেজনার আবহ। আফগানিস্তানের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার গুলবাদিন নাইব মনে করেন, চাপটা আসলে শ্রীলঙ্কার ওপরই বেশি, “আমরা এসব টুর্নামেন্ট খেলতে অভ্যস্ত, আমাদের কোনো চাপ নেই। শ্রীলঙ্কা ভালো দল ঠিকই, তবে তারাও চাপে থাকবে। আমার মনে হয় দারুণ একটা ম্যাচ হবে।”
অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডার দাসুন শানাকা বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “প্রতিটি ম্যাচই আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। হ্যাঁ, বাংলাদেশের সমর্থকরা আমাদের জয়ের জন্য অপেক্ষা করছে। আমরাও জয়ের লক্ষ্যেই মাঠে নামব।”
হংকংয়ের বিপক্ষে জিতলেও শ্রীলঙ্কাকে ঘাম ঝরাতে হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতা বলছে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়টা সহজ হবে না তাদের জন্যও। শেষ পর্যন্ত কারা হাসবে জয়ের হাসিতে, আর কোন সমীকরণে দাঁড়াবে বাংলাদেশের ভাগ্য; এই প্রশ্নের উত্তরই দেবে আজকের আবুধাবির রাত।
ঢাকা/আমিনুল