ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাইয়ের পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, “বাংলাদেশের কল্যাণের জন্য কোনো কাজ করেনি আওয়ামী লীগ। তাদের কাজ ছিল ভারতকে খুশি করা। গোপনে বাংলাদেশের জনগণকে না জানিয়ে বাংলাদেশের ক্ষতি হয় এমন বহু চুক্তি করেছে ফ্যাসিস্ট সরকার। সেই আওয়ামী লীগকে হটাতে বহু মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে, বহু মানুষকে পঙ্গু হতে হয়েছে।”

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে পটুয়াখালীর কলাপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ মাঠে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কলাপাড়া উপজেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, “ভারত স্বাধীনতার পর থেকেই বন্ধুত্বের পরিবর্তে অশান্তির পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে। যখনই ভারত অশান্তি করার চেষ্টা করেছে, তখনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা তাদের প্রতিহত করেছে।” 

তিনি বলেন, “ইসলামী আন্দোলন গতানুগতিক রাজনৈতিক কোনো দল নয়। যখনই দেশের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাই, তখনি আমরা লংমার্চসহ আন্দোলন করি। ৫ আগস্ট সর্বপ্রথম আমরা ব্যানার নিয়ে স্লোগান দিয়ে মাঠে নামি বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের পক্ষে কাজ করার জন্য। বর্তমানে বিএনপি বলছে, তারা নাকি সর্বপ্রথম বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সমর্থন করেছে।”

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কলাপাড়া উপজেলা ও পটুয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি মুফতি হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মুহাম্মাদ মাহবুবুর রহমান, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক উপাধ্যক্ষ মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা কাজী গোলাম সরোয়ার ও পটুয়াখালী জেলা শাখার সেক্রেটারি মাওলানা মো.

নজরুল ইসলাম। 

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, সাপের কামড়ে মৃত্যু

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।

নিহত কিশোরীর নাম নাঈমা আকতার (১৩)। সে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।

পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাঈমা। রাত তিনটার দিকে সাপের ছোবলে তার ঘুম ভাঙে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে চাইলে নাঈমার চাচা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন বলেন, ‘সাপে কামড় দিয়েছে জানার পর আমরা নাঈমাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’

আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়ছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ