Samakal:
2025-06-16@05:37:27 GMT

প্রিয়জনের জন্য উপহার

Published: 11th, February 2025 GMT

প্রিয়জনের জন্য উপহার

ভালোবাসা দিবস হলো এমন একটি দিন, যেদিন আপনি আপনার প্রিয় মানুষ যেমন মা-বাবা, ভাইবোন, বন্ধু কিংবা জীবনসঙ্গীর প্রতি ভালোবাসা আরও গভীরভাবে প্রকাশ করতে পারেন। এদিন ছোট একটি উপহার কিংবা মনের কথা বলার মাধ্যমে সম্পর্কগুলোকে আরও মজবুত করা যায়। ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে আমাদের প্রিয় এবং কাছের মানুষগুলোকে আমরা যা দিতে পারি– 
মা-বাবার জন্য আদর আর যত্ন 
মা-বাবা জীবনের প্রতিটি ধাপে আপনার পাশে থেকেছেন, তাদের জন্য ভালোবাসা দেখানোর দিন এটি। আপনার ব্যস্ত জীবনে তারা যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটি বুঝতে দিন। পারিবারিক কোনো পুরোনো ছবির অ্যালবাম হাতে নিন। একসঙ্গে বসে সেই স্মৃতিগুলো নিয়ে কথা বলুন। পুরোনো দিনের গল্প শুনে তাদের চোখে যে আনন্দ ফুটে উঠবে সেটি যে কোনো উপহারের চেয়ে দামি। তাদের জন্য একটি সাদামাটা কার্ড বানিয়ে দিন, যেখানে থাকবে আপনার মনের কথা। প্রিয় খাবার রান্না করে তাদের মুখে হাসি ফোটান। একসঙ্গে বসে খেতে খেতে পুরোনো গল্পগুলো আবার মনে করুন। যদি সময় থাকে, তাদের পছন্দের কোনো জায়গায় নিয়ে যান। এসব ছোট ছোট মুহূর্তই তাদের জন্য একটি বিশেষ দিন হয়ে উঠবে। 
প্রেমিক-প্রেমিকার জন্য ভালোবাসা 
প্রেমিক বা প্রেমিকার জন্য উপহার মানে দামি কিছু কিনে দেওয়া নয়। বরং এমন কিছু দিন, যা আপনার মনের গভীরে ভালোবাসা দেখাবে। একটি চিঠি লিখুন, যেখানে থাকবে আপনার অনুভূতি। আপনার হাতের লেখার মধ্যে থাকা আন্তরিকতা তাদের মন ভরিয়ে তুলবে। প্রিয় ফুলের তোড়া, হাতে বানানো কার্ড বা তাদের পছন্দের গিফট আইটেম হতে পারে সেরা উপহার। যদি একটু ভিন্ন কিছু করতে চান, তাহলে তাদের নিয়ে যান সূর্যাস্তের সময় কোনো নিরিবিলি জায়গায়। আকাশের নিচে বসে গল্প করুন কিংবা একসঙ্গে একটি সিনেমা দেখুন। এমন মুহূর্তগুলো তাদের মনে চিরদিনের জন্য জায়গা করে নেবে।  
বন্ধুদের জন্য 
বন্ধুরা আমাদের জীবনের রং। তাদের সঙ্গে বসে পুরোনো দিনের গল্প করুন। পুরোনো ভুল বোঝাবুঝি থাকলে মিটিয়ে ফেলুন। সময়ের অভাবে যেসব কথা বলা হয়নি, সেগুলো এই দিনে বলার সুযোগ হাতছাড়া করবেন না। 
আরও যা হতে পারে ভালোবাসার প্রকাশ 
সবসময় উপহারই ভালোবাসা প্রকাশের একমাত্র উপায় নয়। প্রিয়জনের সঙ্গে কিছু সময় কাটানো, কথা শোনা আর তাদের প্রতি যত্নশীল হওয়া– এসবই ভালোবাসার নিদর্শন। আপনি যদি তাদের জীবনে থাকার গুরুত্ব বোঝাতে পারেন, সেটিই হবে সবচেয়ে বড় উপহার। v

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপহ র দ র জন য উপহ র আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

আইএমএফের পর্ষদ বৈঠক ২৩ জুন, এরপর মিলতে পারে দুই কিস্তি অর্থ

২৩ জুন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্বাহী পর্ষদের বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেই বৈঠকে বাংলাদেশের সঙ্গে আইএমএফের চলমান ঋণ কর্মসূচির দুই কিস্তির অর্থ ছাড়ের বিষয়টি উত্থাপনের কথা রয়েছে। বৈঠকে অনুমোদন হলে চলমান ঋণ কর্মসূচির আওতায় একসঙ্গে দুই কিস্তির অর্থ পাবে বাংলাদেশ। আইএমএফ গতকাল শুক্রবার তার কার্যসূচিতে নির্বাহী পর্ষদের বৈঠকের এ তারিখ নির্ধারণসংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করেছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, আইএমএফের এ বৈঠকে চলমান ঋণ কর্মসূচির তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যালোচনার (রিভিউ) প্রতিবেদন উপস্থাপনের কথা রয়েছে। এ প্রতিবেদন পর্ষদ অনুমোদন করলে বাংলাদেশ একসঙ্গে পেয়ে যাবে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ। দুই কিস্তির অর্থ একসঙ্গে হতে পারে ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার।

এর আগে ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি আইএমএফ বাংলাদেশের জন্য সাড়ে তিন বছর মেয়াদি ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করে। ঋণ অনুমোদনের সময় আইএমএফ বলেছিল, বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, ঝুঁকিতে থাকা ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেওয়া এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ও পরিবেশসম্মত প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করবে এ ঋণ কর্মসূচি। চলতি হিসাবের ঘাটতি বেড়ে যাওয়া, টাকার দরপতন ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়া—মূলত এ তিন কারণে ওই সময় আইএমএফের কাছে ঋণ চেয়েছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার।

আইএমএফের ঋণ কর্মসূচির মধ্যে বর্ধিত ঋণসহায়তা (ইসিএফ) ও বর্ধিত তহবিলসহায়তা (ইএফএফ) বাবদ ঋণ রয়েছে ৩৩০ কোটি ডলার। আর রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি (আরএসএফ) বাবদ ঋণ রয়েছে ১৪০ কোটি ডলার। আরএসএফ আইএমএফের একটি নতুন তহবিল, যেখান থেকে এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশকেই প্রথম ঋণ দেওয়া হচ্ছে। ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আইএমএফের কাছ থেকে প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার পায় বাংলাদেশ। একই বছরের ডিসেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ও ২০২৪ সালের জুনে তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ তিন কিস্তিতে আইএমএফ থেকে এখন পর্যন্ত ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। বাকি আছে ঋণের ২৩৯ কোটি ডলার।

আইএমএফের ঋণের চতুর্থ কিস্তির অর্থ গত বছরের ডিসেম্বরে পাওয়ার কথা থাকলেও তা আর পাওয়া যায়নি। আইএমএফের সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে অবস্থিত। প্রায় প্রতিবছর ওয়াশিংটনসহ প্রতিবেশী রাজ্যগুলোতে বড় ধরনের তুষারপাত হয়। গত বছরও তাই হয়েছে। অতিমাত্রার বরফের কারণে অচল হয়ে যায় জনজীবন। মার্কিন প্রশাসন সতর্কবার্তা জারি করে। তুষারপাতের কারণে আইএমএফসহ অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল অনেক দিন।

পরে আইএমএফের পক্ষ থেকে প্রথমে এ বছরের ফেব্রুয়ারি ও পরে মার্চে পর্ষদ বৈঠকের কথা বলা হয়। গত এপ্রিলে আইএমএফের একটি দল পর্যালোচনা করতে ঢাকায় আসে দুই সপ্তাহের জন্য। এর মধ্যে শর্ত পরিপালন নিয়ে দর–কষাকষিতে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড় আটকে যায়। এরপর ওয়াশিংটনে গত ২১ থেকে ২৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত আইএমএফ-বিশ্বব্যাংকের বসন্তকালীন বৈঠকে এ বিষয়ে আরও আলোচনা হলেও কোনো সুরাহা হয়নি। তখন দর-কষাকষি হচ্ছিল মূলত মুদ্রা বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করা নিয়ে। আইএমএফ তা চাইলেও করতে চাইছিল না সরকার।

সবশেষে গত মাসে এ নিয়ে আইএমএফের সঙ্গে কয়েকটি ভার্চ্যুয়াল বৈঠক করে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ১২ মে দুই পক্ষ চূড়ান্ত সমঝোতায় পৌঁছায় ও বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করে বাংলাদেশ। ১৪ মে আইএমএফ ওয়াশিংটন থেকে এক বিবৃতিতে জানায়, দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে এবং ঋণের অর্থ ছাড় করা হবে জুনে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সাধারণত পর্ষদ বৈঠকে অনুমোদন হওয়ার দুই থেকে তিন দিনের মাথায় আইএমএফ অর্থ ছাড় করে দেয়। এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তদন্ত প্রতিবেদন দিতে এক মাস সময় বাড়ালেন ট্রাইব্যুনাল
  • কেন এবার একসঙ্গে পেকে যাচ্ছে ক্ষিরশাপাতি, আম্রপালি, ল্যাংড়া
  • শরীরের পাঁচ থেকে সাতটি অঙ্গ একসঙ্গে ব্যথা হয় যে কারণে
  • বাবাকে একটি সুন্দর দিন উপহার দিতে যা যা করতে পারেন
  • ফেনীতে একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম দিলেন গৃহবধূ 
  • আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশের কিস্তির প্রস্তাব উঠছে আইএমএফ পর্ষদে
  • আইএমএফের পর্ষদ বৈঠক ২৩ জুন, এরপর মিলতে পারে দুই কিস্তি অর্থ
  • এবার বাগ্‌দানের কথা নিজেই জানালেন ডুয়া
  • দেশের ক্রিকেট নিয়ে সাকিবের সঙ্গে যে আলোচনা হয়েছে মিরাজের
  • নিজের সিনেমা দেখারও টিকিট পাননি জয়া আহসান