ভালোবাসা দিবস হলো এমন একটি দিন, যেদিন আপনি আপনার প্রিয় মানুষ যেমন মা-বাবা, ভাইবোন, বন্ধু কিংবা জীবনসঙ্গীর প্রতি ভালোবাসা আরও গভীরভাবে প্রকাশ করতে পারেন। এদিন ছোট একটি উপহার কিংবা মনের কথা বলার মাধ্যমে সম্পর্কগুলোকে আরও মজবুত করা যায়। ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে আমাদের প্রিয় এবং কাছের মানুষগুলোকে আমরা যা দিতে পারি–
মা-বাবার জন্য আদর আর যত্ন
মা-বাবা জীবনের প্রতিটি ধাপে আপনার পাশে থেকেছেন, তাদের জন্য ভালোবাসা দেখানোর দিন এটি। আপনার ব্যস্ত জীবনে তারা যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটি বুঝতে দিন। পারিবারিক কোনো পুরোনো ছবির অ্যালবাম হাতে নিন। একসঙ্গে বসে সেই স্মৃতিগুলো নিয়ে কথা বলুন। পুরোনো দিনের গল্প শুনে তাদের চোখে যে আনন্দ ফুটে উঠবে সেটি যে কোনো উপহারের চেয়ে দামি। তাদের জন্য একটি সাদামাটা কার্ড বানিয়ে দিন, যেখানে থাকবে আপনার মনের কথা। প্রিয় খাবার রান্না করে তাদের মুখে হাসি ফোটান। একসঙ্গে বসে খেতে খেতে পুরোনো গল্পগুলো আবার মনে করুন। যদি সময় থাকে, তাদের পছন্দের কোনো জায়গায় নিয়ে যান। এসব ছোট ছোট মুহূর্তই তাদের জন্য একটি বিশেষ দিন হয়ে উঠবে।
প্রেমিক-প্রেমিকার জন্য ভালোবাসা
প্রেমিক বা প্রেমিকার জন্য উপহার মানে দামি কিছু কিনে দেওয়া নয়। বরং এমন কিছু দিন, যা আপনার মনের গভীরে ভালোবাসা দেখাবে। একটি চিঠি লিখুন, যেখানে থাকবে আপনার অনুভূতি। আপনার হাতের লেখার মধ্যে থাকা আন্তরিকতা তাদের মন ভরিয়ে তুলবে। প্রিয় ফুলের তোড়া, হাতে বানানো কার্ড বা তাদের পছন্দের গিফট আইটেম হতে পারে সেরা উপহার। যদি একটু ভিন্ন কিছু করতে চান, তাহলে তাদের নিয়ে যান সূর্যাস্তের সময় কোনো নিরিবিলি জায়গায়। আকাশের নিচে বসে গল্প করুন কিংবা একসঙ্গে একটি সিনেমা দেখুন। এমন মুহূর্তগুলো তাদের মনে চিরদিনের জন্য জায়গা করে নেবে।
বন্ধুদের জন্য
বন্ধুরা আমাদের জীবনের রং। তাদের সঙ্গে বসে পুরোনো দিনের গল্প করুন। পুরোনো ভুল বোঝাবুঝি থাকলে মিটিয়ে ফেলুন। সময়ের অভাবে যেসব কথা বলা হয়নি, সেগুলো এই দিনে বলার সুযোগ হাতছাড়া করবেন না।
আরও যা হতে পারে ভালোবাসার প্রকাশ
সবসময় উপহারই ভালোবাসা প্রকাশের একমাত্র উপায় নয়। প্রিয়জনের সঙ্গে কিছু সময় কাটানো, কথা শোনা আর তাদের প্রতি যত্নশীল হওয়া– এসবই ভালোবাসার নিদর্শন। আপনি যদি তাদের জীবনে থাকার গুরুত্ব বোঝাতে পারেন, সেটিই হবে সবচেয়ে বড় উপহার। v
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপহ র দ র জন য উপহ র আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শন করলেন দুই বিদেশি পর্যটক
‘এটি খুবই আনন্দায়ক খবর যে এই স্কুলে আদিবাসী ও বাঙালি শিক্ষার্থীরা একসঙ্গেই বসে শান্তিপূর্ণভাবে পাঠ গ্রহণ করে। যেখানে ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরাও একই আসনে বসে পাঠ নিচ্ছে। সম্প্রীতি-ভালোবাসার এ দৃশ্য আমাদের বিমোহিত করেছে।’
আজ সোমবার দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শনে এসে জার্মান নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক মাথিয়াস রিচার্ড এ মন্তব্য করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সুইজারল্যান্ডের নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত রসায়নবিদ সিলভিয়া মাউরিজিও। ‘দেশ ঘুরি’ নামের একটি ট্যুরিস্ট সংস্থার মাধ্যমে তাঁরা এ বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন।
বেলা সাড়ে ১১টায় তাঁরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপস্থিত হলে ফুলের তোড়া ও মালা দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁদের বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষ ঘুরিয়ে দেখান প্রধান শিক্ষক আলী উজ্জামান নূর। তাঁরা শ্রেণিকক্ষগুলোতে গিয়ে পাঠ উপস্থাপন দেখেন। কথা বলেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। শিক্ষার্থীরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাঁদের সঙ্গে ভাববিনিময় করে।
এ সময় দুই পর্যটক জানতে পারেন, এ বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও বাঙালি শিশুরা একসঙ্গে পড়াশোনা করে। ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ না করে একবেঞ্চে বসে পাঠ গ্রহণ করে। বিষয়টি জানতে পেরে তাঁরা খুবই খুশি হন।
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাসুমা খাতুন দুজনকে একটি গান গেয়ে শোনায়। বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক দলের শিক্ষার্থীরা তাঁদের সামনে ঐতিহ্যবাহী নাচ-গান প্রদর্শন করে। সিলভিয়াও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নাচে অংশ নেন। সৃষ্টি হয় একটি আনন্দদায়ক পরিবেশের। এ সময় বাঙালি ও কোল ক্ষুদ্র জাতিসত্তার শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্প্রীতি-ভালোবাসা ও বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ দেখে খুশি হন।
বিদেশি দুই পর্যটকের সামনে আলোর স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা