ঘরের মাঠে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে যেতে ৩৫৩ রানের পাহাড় টপকাতে হতো পাকিস্তানের। অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সালমান আঘার দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ওই রান ১ ওভার ও ৬ উইকেট হাতে থাকতে টপকে গেছে পাকিস্তান। নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে নিশ্চিত করেছে ফাইনাল। 

টস জিতে ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকা ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৫২ রান করে। দলটির ওপেনার ও অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা ৯৬ বলে ৮২ রানের ইনিংস খেলেন। তিনে নেমে ম্যাথিউ ব্রিটজকে ৮৩ বলে ৮৪ রান যোগ করেন। এছাড়া ৫৬ বলে ৮৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন হেনরিক ক্লাসেন। তিনি ১১টি চার ও তিনটি ছক্কা হাঁকান।

জবাব দিতে নেমে ৯১ রানে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারায় পাকিস্তান। ঝড়ো শুরু করা ফখর জামান ২৮ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলেন। ছয়টি চার ও একটি ছক্কা আসে তার ব্যাট থেকে। ১৯ বলে ২৩ রান করেন অন্য ওপেনার বাবর আজম। সূদ শাকিল ১৫ রান করে আউট হয়ে যান। 

সেখান থেকে রিজওয়ান ও সালমান ২৬০ রানের রেকর্ড জুটি গড়েন। অধিনায়ক রিজওয়ান ১২৮ বলে ১২২ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। নয়টি চার ও তিনটি ছক্কা মারেন তিনি। সালমান আঘা ১০৩ বলে যোগ করেন ১৩৪ রান। তার ব্যাট থেকে ১৬টি চার ও দুটি ছক্কা আসে। ওয়ানডেতে চতুর্থ উইকেটে পাকিস্তানের এটি সবচেয়ে বড় জুটি। যেকোন উইকেটে তৃতীয় সেরা। এছাড়া ওয়ানডেতে পাকিস্তান সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের কীর্তি গড়েছে।     

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প ক স ত ন ক র ক ট দল র জওয় ন উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ