রিজওয়ান-সালমানের সেঞ্চুরিতে রান পাহাড় টপকে ফাইনালে পাকিস্তান
Published: 13th, February 2025 GMT
ঘরের মাঠে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে যেতে ৩৫৩ রানের পাহাড় টপকাতে হতো পাকিস্তানের। অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সালমান আঘার দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ওই রান ১ ওভার ও ৬ উইকেট হাতে থাকতে টপকে গেছে পাকিস্তান। নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে নিশ্চিত করেছে ফাইনাল।
টস জিতে ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকা ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৫২ রান করে। দলটির ওপেনার ও অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা ৯৬ বলে ৮২ রানের ইনিংস খেলেন। তিনে নেমে ম্যাথিউ ব্রিটজকে ৮৩ বলে ৮৪ রান যোগ করেন। এছাড়া ৫৬ বলে ৮৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন হেনরিক ক্লাসেন। তিনি ১১টি চার ও তিনটি ছক্কা হাঁকান।
জবাব দিতে নেমে ৯১ রানে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারায় পাকিস্তান। ঝড়ো শুরু করা ফখর জামান ২৮ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলেন। ছয়টি চার ও একটি ছক্কা আসে তার ব্যাট থেকে। ১৯ বলে ২৩ রান করেন অন্য ওপেনার বাবর আজম। সূদ শাকিল ১৫ রান করে আউট হয়ে যান।
সেখান থেকে রিজওয়ান ও সালমান ২৬০ রানের রেকর্ড জুটি গড়েন। অধিনায়ক রিজওয়ান ১২৮ বলে ১২২ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। নয়টি চার ও তিনটি ছক্কা মারেন তিনি। সালমান আঘা ১০৩ বলে যোগ করেন ১৩৪ রান। তার ব্যাট থেকে ১৬টি চার ও দুটি ছক্কা আসে। ওয়ানডেতে চতুর্থ উইকেটে পাকিস্তানের এটি সবচেয়ে বড় জুটি। যেকোন উইকেটে তৃতীয় সেরা। এছাড়া ওয়ানডেতে পাকিস্তান সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের কীর্তি গড়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প ক স ত ন ক র ক ট দল র জওয় ন উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
নড়াইলে সরকারি গাছ বিক্রির অভিযোগে চেয়ারম্যানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়নে সড়কের পাশে সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে শাহবাদ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মশিউর রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি করেন।
মামলায় ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানসহ ১৩ জন আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকা ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন ও প্রশিকার গঠিত সংগঠন প্রভাতী যুব সংঘের সভাপতি নড়াইল সদর উপজেলার তুজরডাঙ্গা এলাকার মুজিবুর রহমান, সদস্য একই এলাকার জরিনা বেগম, রজব আলী, মো. আজিবর, মো. ইলিয়াছ, ইমান আলী, মো. ওমর, মো. হায়দার, আবু সাঈদ, মো. এনামুল ও মো. শরিফুল।
এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মামলার এজহারে বাদী অভিযোগ করেছেন, গত ২৯ এপ্রিল নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ বাজার থেকে হাজির বটতলা পর্যন্ত সরকারি রাস্তার জায়গা থেকে গাছ কাটা ও চুরি করে বিক্রির সংবাদ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। উপস্থিত হয়ে দেখেন, কাটা গাছবোঝাই একটি ট্রাক এবং নছিমন জব্দ করেছেন নড়াইল সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার দেবাশীষ অধিকারী। তখন ঘটনাস্থলে শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদ ও খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, মামলার আসামিরা কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই খাসজমি থেকে গাছ কেটে বিক্রি করেছেন। এর আগেও একবার তাঁরা ওই জমি থেকে গাছ বিক্রি করেছিলেন। জব্দ করা গাছের লগ, ডালপালা এবং আগে কাটা গাছের অবশিষ্ট ভূমিসংলগ্ন গুঁড়ি পর্যবেক্ষণ করে বোঝা গেছে, ওই স্থান থেকে আনুমানিক পাঁচ লাখ টাকার অধিক গাছ চুরি করে কাটা ও বিক্রি হয়েছে।
প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকার ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন বলেন, ২০০৯ সালে প্রশিকা, ইউনিয়ন পরিষদ ও প্রভাতী যুব সংঘের যৌথ উদ্যোগে একটি চুক্তির মাধ্যমে সড়কের পাশে গাছগুলো রোপণ করেছিল। সে সময় সড়কটি খাস খতিয়ানভুক্ত ছিল না। বর্তমানে তা সরকারের আওতায় পড়ায় গাছ কাটার অনুমতি চেয়ে ইউএনওর কাছে আবেদন করা হয়েছিল, তবে প্রশাসন কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। কিছুদিন আগে ইউপি সদস্য ইব্রাহিম তাঁকে ফোনে জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালা বিক্রি করতে চান চেয়ারম্যান। বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালাগুলো পড়ে থেকে নষ্ট হবে ভেবে তিনি বিক্রিতে সম্মতি দেন। পরে গাছ কীভাবে বা কারা কেটেছে, তা তিনি জানেন না।
মামলা করার আগে অবৈধভাবে গাছ কাটার অভিযোগের ব্যাপার জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, প্রশিকার সঙ্গে চুক্তির একটি পক্ষ ছিল ইউনিয়ন পরিষদ। সেই হিসেবে গাছ কাটার অনুমতি নিতে ইউএনও বরাবর প্রশিকার আবেদন তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে সুপারিশ করেছিলেন। তবে গাছ কেটেছে প্রশিকা আর তাদের সংগঠন। এখানে চেয়ারম্যান-মেম্বরের কিছু নেই।
নড়াইল সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ অধিকারী বলেন, প্রশিকার চুক্তির সময় সড়কটি ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে ছিল, পরে ২০১৫ সালে এটি খাস খতিয়ানভুক্ত হয়। খাসজমি থেকে গাছ কাটা বেআইনি। এ কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।