‘বিশিষ্ট নাগরিকের নামে যারা খুনি হাসিনার প্রেতাত্মাদের পক্ষে দাঁড়াবার রাজনীতি করছেন’ তাঁদের হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেছেন, ‘বিশিষ্ট নাগরিকের নামে যারা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের ঘুরে দাঁড়ানোর বৈধতা দিতে চায় তাদের ধ্বংস করার জন্য বাংলাদেশের ছাত্র-জনগণই যথেষ্ট। আর কোনোভাবে যদি বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করার, ফিরিয়ে নিয়ে আসার চক্রান্ত করা হয়; রাজপথে বাংলাদেশের জনতা জবাব দেওয়ার জন্য তৈরি হয়ে আছে।’

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেটে জাতীয় নাগরিক কমিটির বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় আখতার হোসেন এ মন্তব্য করেন। নগরের রিকাবীবাজারস্থ কাজী নজরুল অডিটরিয়ামে এ সভার আয়োজন করে জাতীয় নাগরিক কমিটি সিলেট বিভাগ।
দল হিসেবে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল ও নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি জানিয়ে আখতার হোসেন বলেন, ‘কোনো সম্প্রদায়ের মানুষকেই আওয়ামী লীগ শান্তিতে থাকতে দেয়নি। তারা বিভাজনের রাজনীতিকে জিইয়ে রেখেছিল। আমরা বাংলাদেশে একটি মধ্যমপন্থী রাজনীতি চালু করতে চাই।’

নতুন রাজনৈতিক দলের প্রসঙ্গে আখতার হোসেন বলেন, ‘আমরা এমন এক রাজনৈতিক বন্দোবস্তের কথা বলছি, যেখানে কোনো বৈষম্য থাকবে না। ন্যায় ও ইনসাফের পলিসিই হবে নতুন বন্দোবস্ত। এখানে আর কোনো বাকশাল ও ফ্যাসিবাদকে জায়গা দেওয়া হবে না। কোনো রাজনৈতিক দল ভারতের তাঁবেদারি করবে, বাংলাদেশের মানুষ তা আর হতে দেবে না। পতিত আওয়ামী লীগারদের মতো বেহায়াদের, মানবতাবিরোধী অপরাধীদের মানুষ আর রাজনীতি করতে দেবে না। দল হিসেবে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল ও নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।’

জাতীয় নাগরিক কমিটির বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় অংশগ্রহণকারীরা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেট নগরের কাজী নজরুল অডিটরিয়ামে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আখত র হ স ন র জন ত ক র র জন ত আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’

তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’

অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’

সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’

পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’

তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’

সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’

আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’

ঢাকা/আসাদ/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ