চারজন ছয়টি করে প্রশ্নের উত্তর দিলেন। বিশেষ কিছু নয়, ভারত-পাকিস্তানের মতো বড় কোনো ম্যাচের আগে যে প্রশ্নগুলো ঘুরেফিরে আসে, সেগুলোই। যেমন এই ম্যাচে সর্বোচ্চ রান আসবে কার ব্যাট থেকে? কে নেবেন সবচেয়ে বেশি উইকেট?

এমন ছয়টি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ভারতের দুই সাবেক ক্রিকেটার নভজ্যোত সিং সিধু ও যুবরাজ সিং আর পাকিস্তানের ইনজামাম–উল–হক ও শহীদ আফ্রিদি।

চার ক্রিকেটারের উত্তরেই একটা জায়গায় মিল আছে। কেউই নিজের দেশের বাইরের কোনো ক্রিকেটারকে বাছাই করেননি। এই যেমন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক কে হবেন, এই প্রশ্নে শুবমান গিলকে বেছে নিয়েছেন যুবরাজ সিং। সিধুর পছন্দ রোহিত শর্মা।

আর আফ্রিদি ও ইনজামামের পছন্দ একজনই—বাবর আজম। তাঁদের মধ্যে দারুণ ছন্দে আছেন গিল। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজে গিলের সর্বনিম্ন রানের ইনিংসও ছিল ৬০। রোহিতও এই সিরিজে একটি সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। তবে বাবর সেই অর্থে ছন্দে নেই। সর্বশেষ ২১ ইনিংসে কোনো সেঞ্চুরি নেই বাবরের।

এই ম্যাচে সবচেয়ে বেশি উইকেট কে নেবেন? যুবরাজ মনে করেন, চোট থেকে ফেরা মোহাম্মদ শামিই হবেন সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। সিধু নির্দিষ্ট করে কোনো বোলারের নাম বলেননি, তবে সাবেক এই ক্রিকেটারের মতে ভারতের কোনো স্পিনারই পাকিস্তান ম্যাচে বেশি উইকেট নেবেন। এই প্রশ্নে আফ্রিদি ও ইনজামাম ভিন্ন উত্তর দিয়েছেন। আফ্রিদি বেছে নিয়েছেন তাঁর জামাতা পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদিকে আর ইনজামাম আরেক পেসার হারিস রউফকে।

আরও পড়ুন‘আমার কথা লিখে রাখুন, পাকিস্তান আর বাবর ভালো করবে’৩ ঘণ্টা আগে

ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে পারফর্ম করবেন কে? যুবরাজ এই প্রশ্নে বলেছেন হার্দিক পান্ডিয়া আর সিধু ঋষভ পন্তের রানের কথা। আফ্রিদির পছন্দ পাকিস্তান অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান আর ইনজামাম বেছে নিয়েছেন ব্যাটিং পাওয়ারপ্লেতে পাকিস্তানের ভরসা ফখর জামানকে।

চমক হিসেবে ভারতের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে ঢুকেছেন বরুণ চক্রবর্তী.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইনজ ম ম য বর জ উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

নড়াইলে সরকারি গাছ বিক্রির অভিযোগে চেয়ারম্যানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়নে সড়কের পাশে সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে শাহবাদ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মশিউর রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি করেন।

মামলায় ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানসহ ১৩ জন আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকা ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন ও প্রশিকার গঠিত সংগঠন প্রভাতী যুব সংঘের সভাপতি নড়াইল সদর উপজেলার তুজরডাঙ্গা এলাকার মুজিবুর রহমান, সদস্য একই এলাকার জরিনা বেগম, রজব আলী, মো. আজিবর, মো. ইলিয়াছ, ইমান আলী, মো. ওমর, মো. হায়দার, আবু সাঈদ, মো. এনামুল ও মো. শরিফুল।

এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মামলার এজহারে বাদী অভিযোগ করেছেন, গত ২৯ এপ্রিল নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ বাজার থেকে হাজির বটতলা পর্যন্ত সরকারি রাস্তার জায়গা থেকে গাছ কাটা ও চুরি করে বিক্রির সংবাদ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। উপস্থিত হয়ে দেখেন, কাটা গাছবোঝাই একটি ট্রাক এবং নছিমন জব্দ করেছেন নড়াইল সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার দেবাশীষ অধিকারী। তখন ঘটনাস্থলে শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদ ও খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, মামলার আসামিরা কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই খাসজমি থেকে গাছ কেটে বিক্রি করেছেন। এর আগেও একবার তাঁরা ওই জমি থেকে গাছ বিক্রি করেছিলেন। জব্দ করা গাছের লগ, ডালপালা এবং আগে কাটা গাছের অবশিষ্ট ভূমিসংলগ্ন গুঁড়ি পর্যবেক্ষণ করে বোঝা গেছে, ওই স্থান থেকে আনুমানিক পাঁচ লাখ টাকার অধিক গাছ চুরি করে কাটা ও বিক্রি হয়েছে।  

প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকার ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন বলেন, ২০০৯ সালে প্রশিকা, ইউনিয়ন পরিষদ ও প্রভাতী যুব সংঘের যৌথ উদ্যোগে একটি চুক্তির মাধ্যমে সড়কের পাশে গাছগুলো রোপণ করেছিল। সে সময় সড়কটি খাস খতিয়ানভুক্ত ছিল না। বর্তমানে তা সরকারের আওতায় পড়ায় গাছ কাটার অনুমতি চেয়ে ইউএনওর কাছে আবেদন করা হয়েছিল, তবে প্রশাসন কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি।  কিছুদিন আগে ইউপি সদস্য ইব্রাহিম তাঁকে ফোনে জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালা বিক্রি করতে চান চেয়ারম্যান। বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালাগুলো পড়ে থেকে নষ্ট হবে ভেবে তিনি বিক্রিতে সম্মতি দেন। পরে গাছ কীভাবে বা কারা কেটেছে, তা তিনি জানেন না।

মামলা করার আগে অবৈধভাবে গাছ কাটার অভিযোগের ব্যাপার জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, প্রশিকার সঙ্গে চুক্তির একটি পক্ষ ছিল ইউনিয়ন পরিষদ। সেই হিসেবে গাছ কাটার অনুমতি নিতে ইউএনও বরাবর প্রশিকার আবেদন তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে সুপারিশ করেছিলেন। তবে গাছ কেটেছে প্রশিকা আর তাদের সংগঠন। এখানে চেয়ারম্যান-মেম্বরের কিছু নেই।

নড়াইল সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ অধিকারী বলেন, প্রশিকার চুক্তির সময় সড়কটি ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে ছিল, পরে ২০১৫ সালে এটি খাস খতিয়ানভুক্ত হয়। খাসজমি থেকে গাছ কাটা বেআইনি। এ কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ