ভারত–পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে অনেক প্রশ্নের উত্তর দিলেন দুই দেশের সাবেকেরা
Published: 16th, February 2025 GMT
চারজন ছয়টি করে প্রশ্নের উত্তর দিলেন। বিশেষ কিছু নয়, ভারত-পাকিস্তানের মতো বড় কোনো ম্যাচের আগে যে প্রশ্নগুলো ঘুরেফিরে আসে, সেগুলোই। যেমন এই ম্যাচে সর্বোচ্চ রান আসবে কার ব্যাট থেকে? কে নেবেন সবচেয়ে বেশি উইকেট?
এমন ছয়টি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ভারতের দুই সাবেক ক্রিকেটার নভজ্যোত সিং সিধু ও যুবরাজ সিং আর পাকিস্তানের ইনজামাম–উল–হক ও শহীদ আফ্রিদি।
চার ক্রিকেটারের উত্তরেই একটা জায়গায় মিল আছে। কেউই নিজের দেশের বাইরের কোনো ক্রিকেটারকে বাছাই করেননি। এই যেমন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক কে হবেন, এই প্রশ্নে শুবমান গিলকে বেছে নিয়েছেন যুবরাজ সিং। সিধুর পছন্দ রোহিত শর্মা।
আর আফ্রিদি ও ইনজামামের পছন্দ একজনই—বাবর আজম। তাঁদের মধ্যে দারুণ ছন্দে আছেন গিল। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজে গিলের সর্বনিম্ন রানের ইনিংসও ছিল ৬০। রোহিতও এই সিরিজে একটি সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। তবে বাবর সেই অর্থে ছন্দে নেই। সর্বশেষ ২১ ইনিংসে কোনো সেঞ্চুরি নেই বাবরের।
এই ম্যাচে সবচেয়ে বেশি উইকেট কে নেবেন? যুবরাজ মনে করেন, চোট থেকে ফেরা মোহাম্মদ শামিই হবেন সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। সিধু নির্দিষ্ট করে কোনো বোলারের নাম বলেননি, তবে সাবেক এই ক্রিকেটারের মতে ভারতের কোনো স্পিনারই পাকিস্তান ম্যাচে বেশি উইকেট নেবেন। এই প্রশ্নে আফ্রিদি ও ইনজামাম ভিন্ন উত্তর দিয়েছেন। আফ্রিদি বেছে নিয়েছেন তাঁর জামাতা পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদিকে আর ইনজামাম আরেক পেসার হারিস রউফকে।
আরও পড়ুন‘আমার কথা লিখে রাখুন, পাকিস্তান আর বাবর ভালো করবে’৩ ঘণ্টা আগেম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে পারফর্ম করবেন কে? যুবরাজ এই প্রশ্নে বলেছেন হার্দিক পান্ডিয়া আর সিধু ঋষভ পন্তের রানের কথা। আফ্রিদির পছন্দ পাকিস্তান অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান আর ইনজামাম বেছে নিয়েছেন ব্যাটিং পাওয়ারপ্লেতে পাকিস্তানের ভরসা ফখর জামানকে।
চমক হিসেবে ভারতের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে ঢুকেছেন বরুণ চক্রবর্তী.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইনজ ম ম য বর জ উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’