এখন সময় নতুন করে দেশ গড়ার: তারেক রহমান
Published: 16th, February 2025 GMT
স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ ২০১৪ সাল থেকে তিনটি তামাশার নির্বাচন করে সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, শুধু ক্ষমতায় থাকার জন্য শেখ হাসিনা হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছেন। স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকার অধিকারও তারা ধ্বংস করেছিল। জুলাই অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। এখন সময় এসেছে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার; এখন সময় নতুন করে দেশ গড়ার।
দীর্ঘ ১৬ বছর পর রোববার নড়াইল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তারেক রহমান।
তিনি বলেন, ক্রান্তিকাল এলেই বিএনপি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত থেকেছে। এখন রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য ৩১ দফা নিয়ে জনগণের দোরগোড়ায় যেতে হবে। এ রাষ্ট্র পুনর্গঠন করার দায়িত্ব আমাদের। আগামী প্রজন্ম যেন শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়াতে পারে, সে জন্য কাজ করতে হবে।
জেলা বিএনপি সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে সম্মেলেন উদ্বোধন করেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, সংস্কারের নামে সময়ক্ষেপণ না করে দ্রুত নির্বাচন দেন। সংস্কার নির্বাচিত সরকার করতে পারবে। বেশি দেরি করলে আবারও জনগণ রাস্তায় নামবে।
সম্মেলনে বক্তৃতা করেন বিএনপির খুলনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, জেলা বিএনপির সহসভাপতি জুলফিকার আলী, সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার রিজভী জর্জ প্রমুখ।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে জেলার চার থানা ও তিন পৌরসভার মোট সাতটি ইউনিটের ৭০৭ ভোটার ব্যালটে ভোট দিয়ে নেতা নির্বাচন করেন। বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম সভাপতি এবং মনিরুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন পুনরায়। ২০০৯ সালের নভেম্বরে জেলা বিএনপির সর্বশেষ দ্বিবার্ষিক সম্মেলন হয়েছিল।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ত র ক রহম ন ব এনপ ব এনপ র গঠন ক
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রাম্প কানাডাকে ‘ভেঙে ফেলতে’ চেয়েছিলেন
সাধারণ নির্বাচনে জয় পাওয়ার পরে সোমবার রাতে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি তার ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তুলোধুনো করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডাকে ‘ভেঙে ফেলতে’ চেয়েছিলেন।
লিবারেলদের এই বিজয় এক অলৌকিক রাজনৈতিক পুনরুত্থান এবং কার্নির জন্য একটি যুগান্তকারী বিজয় হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। কারণ কার্নির পূর্বসুরি জাস্টিন ট্রুডোর সরকারের ওপর সমর্থন তুলে নিয়েছিল জগমিত সিংয়ের নেতৃত্বাধীন মধ্য-বামপন্থি নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টি। এর পর গত বছরের ডিসেম্বরে হঠাৎ করে অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড পদত্যাগ করেন। এক সপ্তাহের মধ্যে লিবারেল পার্টির ২১ এমপি ট্রুডোকে পদত্যাগ করতে প্রকাশ্যে আহ্বান জানান। জনগণের চাপে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন ট্রুডো। পরে ঘোষণা আসে আগাম নির্বাচনের।
ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার পর কানাডার ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। কানাডার সার্বভৌমত্ব নিয়েও হুমকি দিতে ছাড়েননি তিনি। দেশটিকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য বানানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন ট্রাম্প।
কার্নি তার সমর্থকদের উদ্দেশে বলেছেন, ট্রাম্প “আমাদের ভেঙে ফেলতে চান, যাতে আমেরিকা আমাদের মালিক হয়। তবে এটা কখনও হবে না।”
তিনি বলেন, “আমেরিকান বিশ্বাসঘাতকতার ধাক্কা আমরা কাটিয়ে উঠেছি। কিন্তু আমরা কখনই শিক্ষা ভুলব না।”
নতুন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যদিও আমরা সরকারকে জবাবদিহি করার এবং আরও ভালো বিকল্প প্রস্তাব করার আমাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করব, তবুও আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শুল্ক এবং অন্যান্য দায়িত্বজ্ঞানহীন হুমকি উপেক্ষা করার সময় কানাডাকে সবসময় প্রথমে রাখব।”
দলের পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি বলেন, “রক্ষণশীলরা বিতর্কে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং আমরা সারা দেশে আমাদের জনগণের জীবন উন্নত করার জন্য সর্বোত্তম যুক্তিগুলো তুলে ধরতে থাকব।”
ঢাকা/শাহেদ