জাতিসংঘের প্রতিবেদন: আওয়ামী লীগের সামনে কী অপেক্ষা করছে?
Published: 17th, February 2025 GMT
জুলাই–আগস্টের গণ–আন্দোলন ঠেকাতে আওয়ামী লীগ সরকারের দমন–পীড়ন নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক কমিশন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেই প্রতিবেদন ভয়ংকর বীভৎসতার তথ্যসংবলিত। প্রতিবেদনে পরিষ্কারভাবে আওয়ামী লীগের নেতাদের বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ উত্থাপন করেছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘ কাউকে নিষিদ্ধ করা বা মৃত্যুদণ্ডের বিপক্ষে। তাই তারা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করার পরামর্শ দিয়েছে। কিন্তু একই সঙ্গে শেখ হাসিনাসহ ভারতে পালিয়ে থাকা আওয়ামী লীগ নেতাদের ফিরিয়ে আনতে আন্তর্জাতিক উদ্যোগের কথা বলেছে। প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে সহায়তার কথাও বলেছে। প্রশ্নটা তাই জোরালোভাবে উঠেছে, আওয়ামী লীগে কি শেষের শুরু হয়ে গেল?
আওয়ামী লীগের ওপর এই প্রতিবেদন কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে? জাতিসংঘের এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ হত্যাযজ্ঞ পরিচালনাকারী দল হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে চিহ্নিত হয়েছে। এর আগে মূলত দেশের ভেতরেই আওয়ামী লীগের অপরাধের আলোচনা সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু জাতিসংঘের এই প্রতিবেদনের কারণে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আওয়ামী লীগ সম্পর্কে নেতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি হবে। এতে আন্তর্জাতিক যোগাযোগে আওয়ামী লীগ বাধার সম্মুখীন হবে। লবিং করা আওয়ামী লীগের জন্য কঠিন ও ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়াবে। কারণ, গণহত্যাকারী কোনো দলের পক্ষে সহজে কেউ কাজ করতে চাইবে না। রাজনৈতিক দল হিসেবে সারা বিশ্বেই গ্রহণযোগ্যতা হারাবে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অভিযোগ তদন্ত করতে সরকার জাতিসংঘকে সম্পৃক্ত করে বেশ মুনশিয়ানার পরিচয় দিয়েছে। উল্লেখ্য, জাতিসংঘ বেশ দ্রুত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। আওয়ামী লীগ দিল্লি থেকে প্রচার করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সব অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু জাতিসংঘের তৈরি এই প্রতিবেদন নিয়ে অযথা বিতর্ক সৃষ্টি করার কোনো সুযোগ নেই। এই সুযোগ বন্ধ করার জন্যই সরকার জাতিসংঘের সহায়তা নিয়েছে।
জাতিসংঘকে সরকার দায়িত্ব দিয়েছিল মানবাধিকার লঙ্ঘন ও হত্যাযজ্ঞের আদ্যোপান্ত তুলে আনতে। আওয়ামী লীগ পরিষ্কারভাবে সরকার, বিশেষ করে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কৌশলের কাছে পরাজিত হয়েছে। দেশের ভেতরে নিজস্ব জনবল দিয়ে তদন্ত করলে আওয়ামী লীগ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা কুতর্ক সৃষ্টি করার সুযোগ পেত। সরকার এই সুযোগ বন্ধ করে দিয়েছে।
সরকার এই প্রতিবেদনকেই আদালতে উপস্থাপন করে আওয়ামী লীগের বিচার শুরু করতে পারে। এটা আওয়ামী লীগের নৃশংসতার আন্তর্জাতিক প্রমাণ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারকার্যে এই প্রতিবেদন রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। এই প্রতিবেদন মানতে কেউ আইনগতভাবে বাধ্য নয়, কিন্তু তা সারা বিশ্বে জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
কোনো ধরনের উসকানিতে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের আর পা না দেওয়াই মঙ্গলজনক হবে। যদিও তাঁদের মধ্যে অনুশোচনা বা অনুতাপের লেশমাত্র দেখা যাচ্ছে না। তাঁরা বরং দাবি করছেন যে জুলাই–আগস্টের হত্যাযজ্ঞ ছাত্র ও বিএনপি–জামায়াত পরিচালনা করেছে। তাঁরা আয়নাঘরকেও স্বীকার করতে চান না।মনে রাখতে হবে, প্রতিবেদনটি ঢাকায় প্রকাশ করা হয়নি বা সরকারের কাছে আগে হস্তান্তর করা হয়নি। ঢাকা থেকে আমাদের সরকার প্রকাশ করলে এর গ্রহণযোগ্যতা কম হতে পারত। কিন্তু জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক কমিশনার ভলকার টুর্ক নিজে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন।
আওয়ামী লীগ ছাড়াও শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ার কারণে ভারতও সংকটের মুখোমুখি হতে পারে। এতে মানবাধিকার সূচকে ভারতের পয়েন্ট কমে যেতে পারে। কারণ, ভারত জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকৃত গুরুতর মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে যুক্ত অপরাধীকে আশ্রয় দিয়েছে। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ শেখ হাসিনাকে ফিরত দেওয়ার জন্য ভারতকে অনুরোধ করেছে। এখন বাংলাদেশ যদি জাতিসংঘকে এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত করে তবে ভারতের ওপর চাপ সৃষ্টি হবে।
তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি হতে পারে। প্রবাসী শিখকে কানাডায় হত্যা করার শক্ত অভিযোগ নিয়ে এমনিতেই ভারত বিপাকে আছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর অবৈধ ভারতীয়দের ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এমন অবস্থায় শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে নিয়ে ভারত ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিবাদে জড়ালে সংকট আরও ঘনীভূত হবে। এই প্রতিবেদনের কারণে শুধু আওয়ামী লীগই না, ভারতেরও বিপাকে পড়ার শঙ্কা আছে।
সব মিলিয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন আওয়ামী লীগের জন্য বড় ধরনের হতাশার সংবাদ। এর ফলে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ফেরা আরও কঠিন হতে পারে। ভারতে অবস্থান করে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতারা শান্তি এড়াতে পারবেন; কিন্তু বিচার এড়াতে পারবেন না। সম্প্রতি আইন উপদেষ্টা ড.
জাতিসংঘের হিসাবে জুলাই–আগস্টের অভ্যুত্থানে ১৪০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে ১১৮ জনই শিশু। শেখ হাসিনার নির্দেশেই নির্বিচারে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি গুলি করে হত্যাযজ্ঞ পরিচালনা করেছে। এসব হামলা করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী স্বয়ংক্রিয় ও আধা স্বয়ংক্রিয় মারণাস্ত্র ব্যবহার করেছে নিরস্ত্র মানুষের ওপর।
এর আগে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনেও একই ধরনের অভিযোগ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, টার্গেট কিলিং করেছে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি। হামলার সাক্ষী না রাখতে রাস্তার পাশে বিভিন্ন বাসাবাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করেছে র্যাব–পুলিশ। এমনকি আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারীদের হত্যা করে গুম করে দিতে বলেছিলেন শেখ হাসিনা।
এই মানবতাবিরোধী হত্যাযজ্ঞের অভিযোগ থেকে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের পক্ষে আর বের হয়ে আসা সম্ভব না। এটা হয়তো আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা বুঝতে পারছেন না। তাঁরা এখনো আশায় বুক বেঁধে আছেন, সম্ভবত শেখ হাসিনা আবারও ফিরে আসবেন! শেখ হাসিনাও ভারতে বসে বিভিন্ন ধরনের উসকানিমূলক কথাবার্তা বলে নেতা–কর্মীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন।
কোনো ধরনের উসকানিতে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের আর পা না দেওয়াই মঙ্গলজনক হবে। যদিও তাঁদের মধ্যে অনুশোচনা বা অনুতাপের লেশমাত্র দেখা যাচ্ছে না। তাঁরা বরং দাবি করছেন যে জুলাই–আগস্টের হত্যাযজ্ঞ ছাত্র ও বিএনপি–জামায়াত পরিচালনা করেছে। তাঁরা আয়নাঘরকেও স্বীকার করতে চান না। তাঁরা সত্যকে আড়াল করার পাশাপাশি মিথ্যা তথ্য প্রচার করছেন। পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে তাঁরা নিজেদের মিলাতে পারছেন না। তাঁদের সামনে আরও কঠিন পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে।
ড. মারুফ মল্লিক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জ ল ই আগস ট র ম নবত ব র ধ র জন য ধরন র করছ ন অপর ধ আওয় ম সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানের হামলায় ২০ ইসরায়েলি নিহত
ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের পাল্টাপাল্টি হামলা চারদিন ধরে চলছে। এসব হামলায় উভয় দেশের মধ্যে নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। ইসরায়েলের জাতীয় পরিষেবা জানিয়েছে, আজ সোমবার ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে গত শুক্রবার থেকে আজ সোমবার পর্যন্ত ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা ২০ জনে পৌঁছুল। আজ সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
অন্যদিকে আল-জাজিরা বলছে, ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় রোববার পর্যন্ত ইরানে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২৪ জনে পৌঁছেছে।
ইসরায়েলের জাতীয় জরুরি পরিষেবার প্রধান ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডমের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, মধ্য ইসরায়েলজুড়ে ইরানের হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুইজন নারী।
এর আগে সিএনএন ইসরায়েলের ১৫ জন নিহত হওয়ার খবর দেয়। ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম কানের খবর বলছে, বন্দরনগরী হাইফায় অন্তত দুইজন আহত হয়েছেন। এছাড়া, তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন।
রোববার ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, ইরান থেকে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু হয়েছে। একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে ইসরায়েল। বর্তমানে হামলা প্রতিহত করার কাজ চলছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ।
আজ সিএনএনের এক খবরে বলা হয়েছে, তেল আবিব ও জেরুজালেমসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে জরুরি সতর্ক সংকেত (সাইরেন) বাজতে শুরু করেছে। আইডিএফ সতর্ক করে বলেছে, তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি অভেদ্য নয়।
সিএনএনের একজন প্রযোজক জেরুজালেমে সাইরেন এবং একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। তার তোলা ভিডিওতে আকাশে বহু ক্ষেপণাস্ত্র ছুটে যেতে দেখা গেছে।
ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড আদোম জানিয়েছে, তাদের দলগুলো আক্রান্ত এলাকার দিকে রওনা দিয়েছে।
সারা দেশের নাগরিকদের আশ্রয়কেন্দ্রে ঢুকতে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেখানে থাকার আহ্বান জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছে, বর্তমানে বিমানবাহিনী হামলা প্রতিহত করার পাশাপাশি পাল্টা হামলা চালানোর কাজ করছে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেট নিউজ জানিয়েছে, মধ্য ইসরায়েলের পেতাহ টিকভা শহরের একটি ভবনে একটি ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি আঘাত হেনেছে। হামলার ফলে ওই স্থানে আগুন ধরে যায়। তবে এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে মধ্য ইরানে একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাবাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর দাবি, বিভিন্ন ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনা লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি বিমানবাহিনী সফলভাবে মধ্য ইরানে অবস্থিত একাধিক স্থাপনায় আঘাত হেনেছে। আমাদের গোয়েন্দা তথ্য বলছে, এসব স্থাপনা থেকে ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হচ্ছিল।’
তবে ইসরায়েলের এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরান এখনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।
এদিকে ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় রোববার পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২৪ জনে পৌঁছেছে।
বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৯০ শতাংশেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক। হামলায় ১ হাজার ২৭০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
এপির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত ১৩ জুন ইরানে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ওই হামলায় ইরানের নাতাঞ্জ ও ইসফাহান অঞ্চলের পারমাণবিক স্থাপনা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হন। ইরানে বর্তমানে মসজিদ ও মেট্রো স্টেশনগুলোকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলের তিন শিশুসহ অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। রোববার ইসরায়েল সরকারের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ বলেছে, এছাড়া ইরানের হামলায় কমপক্ষে ৩৮৫ জন আহত হয়েছেন, যার মধ্যে সাত জনের অবস্থা গুরুতর।
এদিকে ইসরায়েলি পুলিশের বরাতে আল জাজিরা জানিয়েছে, তেল আবিবের দক্ষিণে অবস্থিত বাত ইয়াম শহরে ৬ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে দুই শিশু রয়েছে। এছাড়া সাতজন এখনও নিখোঁজ। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন জরুরি সেবাদানকারীরা।