ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরে প্রায় এক হাজার ‘অবৈধ’ বসতি স্থাপনকারী বাড়ি নির্মাণের পরিকল্পনা করছে ইসরায়েল। অধিকৃত পশ্চিম তীরের বেথলেহেমের দক্ষিণে অবস্থিত একটি কৌশলগত এলাকা ইফ্রাত বসতিতে নতুন এসব অবৈধ আবাসন ইউনিট নির্মাণের জন্য একটি দরপত্র জারি করেছে দেশটির সরকার। খবর মিডল ইস্ট আইয়ের।

জানা গেছে, এসব এলাকায় ৯৭৪টি আবাসন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে ইসরায়েলের। ইসরায়েলি ওয়াচডগ পিস নাউয়ের তথ্য অনুসারে, নতুন এসব আবাসন তৈরির ফলে ওই অঞ্চলে বাসিন্দাদের সংখ্যা প্রায় ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।

আল জাজিরা বলছে, ইফ্রাত বসতির ফলে দক্ষিণে একটি পরিকল্পিত বেথলেহেম মেট্রোপলিসের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হবে। ইসরায়েল যদি এলাকাটিকে সংযুক্ত করতে চায়, তবে এটি সমগ্র দক্ষিণ পশ্চিম তীরের অংশের সংগে বিচ্ছিন্ন হবে, যা হাইওয়ে ৬০-এর বেথলেহেমের মাধ্যমে উত্তরের সংযোগের ওপর নির্ভর করে।

পিস নাউ বলেছে, যখন ইসরায়েলের জনগণ জিম্মিদের মুক্তি এবং যুদ্ধের সমাপ্তির দিকে তাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ করছে, নেতানিয়াহু সরকার ‘স্টেরয়েডের ওপর’ কাজ করছে। তারা মাটিতে এমন তথ্য প্রতিষ্ঠা করতে যা শান্তি ও সমঝোতার সুযোগকে ধ্বংস করবে। এটা এখন স্পষ্ট যে একা সামরিক পদক্ষেপ ইসরায়েলের সংঘাত বা নিরাপত্তার সমাধান আনবে না। শেষ পর্যন্ত আমাদের ফিলিস্তিনিদের সাথে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে হবে। নেতানিয়াহু সরকার ইসরায়েলি স্বার্থের ক্ষতি করছে এবং টর্পেডো করছে। সমঝোতা একমাত্র সমাধান যা আমাদের নিরাপত্তা ও শান্তি আনতে পারে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল ইসর য

এছাড়াও পড়ুন:

কুবির সাবেক রেজিস্ট্রারকে চাকরি থেকে বরখাস্ত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) সাবেক রেজিস্ট্রার মো. মজিবুর রহমান মজুমদারকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে মো. মজিবুর রহমানের দাবি, ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিয়মবহির্ভূতভাবে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকেল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বরখাস্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

জানা যায়, গত ২৪ জুলাই ১০৫তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় তার (সাবেক রেজিস্ট্রার) বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তদন্ত করতে একটি উচ্চতর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটির তদন্ত কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত হয়েছে, যা গত ২৯ জুলাই রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে জানানো হয়।

আরো পড়ুন:

সঞ্চয় অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নাজমা আকতার বরখাস্ত

এনসিপির পোস্টার ছেঁড়ায় সিসিকের ৩ কর্মচারী বরখাস্ত

গত ২৪ জুলাই গঠিত উচ্চতর তদন্ত কমিটিতে আছেন, আহ্বায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম, সদস্য সচিব কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। এছাড়া সদস্য হিসেবে আছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান (জীবন) ও আইন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মু. আলী মুর্শেদ কাজেম। 

এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রেজিস্ট্রার মো. মজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, “আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের কোনো সত্যতা তারা (প্রশাসন) পায়নি। আর্থিক এবং প্রশাসনিক অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি হলেও তারা কিছু পায়নি। এখন আবার উচ্চতর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর সঙ্গে নিয়মবহির্ভূতভাবে আমাকে বরখাস্ত করেছে। এটি কর্তৃপক্ষের গায়ের জোরে করা হচ্ছে, ক্ষমতার চরম অপব্যবহার এটি।”

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও উচ্চতর তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, “সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক নতুন করে উচ্চ পর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।”

প্রক্রিয়া অনুসরণ না করার বিষয়ে তিনি বলেন, “তিনি (সাবেক রেজিস্ট্রার) যতদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিতে ছিলেন, তাকে অন্তত ১২ থেকে ১৫ বার শোকজ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় আর্থিক ক্ষতি হয় এমন বদনামও তিনি করেছেন। তার বিরুদ্ধে থাকা সব অভিযোগের প্রেক্ষিতেই উচ্চতর তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তাকে যখন বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়, তখন তিনি কোর্টে যান। কোর্ট যখন তার পক্ষে রায় দেন, তখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আবার সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। আপিল রিট না করা পর্যন্ত তিনি চাকরিতে যোগদান দিতে পারবেন না।”

গত ৩ মার্চ ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে রেজিস্ট্রার পদে থাকা মো. মজিবুর রহমানকে আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়মের অভিযোগ এনে বাধ্যতামূলক ছুটিতে প্রেরণ করা হয়। এ পদে নতুন দায়িত্ব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) দেওয়া হয় গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনকে।

বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর অফিস আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করেন মজিবুর রহমান। এরই পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত বাধ্যতামূলক ছুটির ওপর ৩ মাসের স্থিতির আদেশ জারি করেন। এরপর গত ১৬ জুলাই অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বরাবর ১৭ জুলাই থেকে নিজ পদে যোগদানের আবেদন করেন তিনি।

ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ