রিমান্ডে শেখ হাসিনার সাবেক সামরিক সচিব মিয়াজী
Published: 19th, February 2025 GMT
শেখ হাসিনার সাবেক সামরিক সচিব ও ঝিনাইদহ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সালাহউদ্দিন মিয়াজীর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সদর আমলি আদালতের বিচারক মো. ফারুক আযম রিমান্ড মঞ্জুর করেন। কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. মুক্তার হোসেন এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন: ঝিনাইদহের সাবেক এমপি সালাউদ্দিন যশোরে গ্রেপ্তার
আরো পড়ুন:
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে ভারতকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠিয়েছে ঢাকা
শেখ হাসিনাসহ আ.
মো. মুক্তার হোসেন জানান, আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তাকে (সালাহউদ্দিন মিয়াজী) ঝিনাইদহ আদালতে হাজির করা হয়। ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সদর থানায় দায়েরকৃত নাশকতা মামলার আসামি সালাহউদ্দিন মিয়াজী।
এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার রাতে যশোরের রুদ্রপুর এলাকার শ্যামলছায়া পার্ক থেকে সালাহউদ্দিন মিয়াজীকে গ্রেপ্তার করে যৌথবাহিনী।
২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে ঝিনাইদহ-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সালাহউদ্দিন মিয়াজী। এর আগে ২০১৫ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক সচিবের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ স ল হউদ দ ন ম য় জ ঝ ন ইদহ
এছাড়াও পড়ুন:
চা শ্রমিকদের জীবন: সামান্য বেতনে বেঁচে থাকার সংগ্রাম
চা বাগানে নারী শ্রমিকরাই বেশি কাজ করেন। সকাল থেকে ছাতা, চুপড়ি নিয়ে বের হন, রোদে পুড়ে আর বৃষ্টিতে ভিজে তারা টিলায় টিলায় কাজ করেন দিনভর। ১৬৮টি চা বাগানে রয়েছেন দেড় লাখ চা শ্রমিক। তারা পাচ্ছেন না ন্যায্য মজুরি। তাদের জীবনে রয়েছে নানা বঞ্চনার গল্প। জীবন যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। তাদের সংগ্রামী জীবনের বাঁকে বাঁকে সৃষ্টি হয় নতুন উপাখ্যান।
তবে বৈষম্য ছেড়ে দেয়নি তাদের। নতুন করে চা শিল্পে নানা সংকট দেখা দিয়েছে। বৃদ্ধি পাচ্ছে উৎপাদন খরচ। এর মধ্যে বাজারে চায়ের দাম কমে যাওয়ায় বাগান চালাতে মালিকপক্ষ হিমশিম খাচ্ছেন।
চা শ্রমিকরা জানান, তাদের জীবনমান উন্নয়নে কর্তৃপক্ষের নেই কোনো উদ্যোগ। উপযুক্ত মজুরি না পাওয়ায় দেড়শ বছর ধরে তারা বৈষম্যের শিকার। চা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চা উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাজারে চায়ের দাম কমে গেছে। বাজার দখল করে নিয়েছে চোরাই পথে আসা নিম্নমানের চা। ভোক্তারা না জেনেই নিম্নমানের চা কিনছেন।
আরো পড়ুন:
সমান কাজ করেও কম মজুরি পান আদিবাসী নারীরা
গাজীপুরে পেশা বদলাচ্ছেন অনেক শ্রমিক
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) মৌলভীবাজার কুলাউড়া লংলাভ্যালীর বিভিন্ন চা বাগান ঘুরে শ্রমিকদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, শ্রমিক দিবস নিয়ে তাদের কোনো আগ্রহ নেই। কাজ করতে পারলেই ভালো থাকেন তারা।
কথা হয় করিমপুর চা বাগানে কর্মরত শ্রমিক শেফালী গোয়ালার সাথে। তিনি বলেন, “আমার স্বামী নেই। ১৭০ টাকা মজুরি পেয়ে কষ্টে চলে সংসার। দু্ই মেয়ে লেখাপড়া করে। তাদের খরচ জোগাতে অনেক কষ্ট হয়।”
ইটা চা বাগানের চা শ্রমিক রুবি মৃগধা বলেন, “বাজারে চায়ের দাম বৃদ্ধি পেলে আমাদেরও মজুরি বাড়বে। বর্তমান মজুরি দিয়ে চলতে কষ্ট হয়।” একই ভ্যালীর উত্তর ভাগ চা বাগানের শ্রমিক ভারতী গোড়াইত বলেন, “ম্যানেজার বলেন চা পাতার দাম নেই। বাজারে পাতার দাম বাড়লে আমাদেরও মজুরি বাড়বে। এই মজুরি দিয়ে সংসার চালানো কঠিন।”
লংলাভ্যালীর সভাপতি শ্রমিক নেতা শহিদুল ইসলাম বলেন, “চা শ্রমিকরা যুগ যুগ ধরে বৈষম্যের শিকার। নানা অজুহাত দেখিয়ে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করে না।”
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক দীপংকর ঘোষ বলেন, “দেড়শ বছর ধরে চা শ্রমিকরা বৈষম্যের শিকার। ১৬৮টি চা বাগানে রয়েছেন দেড় লাখ চা শ্রমিক। ১৫ বছর পর ফ্যাসিবাদের অবসান ঘটলেও শ্রমিকদের ন্যূনতম একটা মজুরি বৃদ্ধি হয়নি। বাগান কর্তৃপক্ষ নানা অজুহাত দেখিয়ে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করছে না।”
কথা হয় চা বিশেষজ্ঞ ও উত্তরভাগ চা বাগানের সিনিয়র ম্যানেজার মো. লোকমান চৌধুরীর সাথে। তিনি বলেন, “১ কেজি চা পাতা উৎপাদন খরচ বর্তমানে ২০০ থেকে ২২০ টাকা। আর বিক্রি করতে হয় ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা। শ্রমিকের মজুরি দিয়ে বাগান চালানো দিন দিন কঠিন হয়ে আসছে। অনেক বাগানই বন্ধ হওয়ার পথে। বাজারে চায়ের দাম কমে গেছে, বাজার দখল করে নিয়েছে চোরাই পথে আসা ভারতের নিম্নমানের চা। ভোক্তারা না জেনেই নিম্নমানের চা ক্রয় করছেন। আমরা চায়ের সঠিক মূল্য পাচ্ছি না।”
ঢাকা/সাইফ