সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে টেক্কা দিয়ে সরকারী বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) সহযোগী প্রতিষ্ঠান আইসিবি সিকিউরিটিজ ট্রেডিং কোং লিমিটেডের কাজ পেয়েছে দেশি প্রতিষ্ঠান কোয়ান্ট ফিনটেক লিমিটেড। কোয়ান্ট ফিনটেক লিমিটেডের তৈরি করা ওএমএস (অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) দিয়ে তাদের গ্রাহকদের সেবা দিবে সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটি।

আজ (১৯, ফেব্রুয়ারি) প্রতিষ্ঠান দুটির মধ্যে এই সংক্রান্ত একটি চুক্তি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আইসিবির প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত চুক্তিতে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সই করেন আইসিবি সিকিউরিটিজ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোঃ মফিজুর রহমান এবং কোয়ান্ট ফিনটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার নাতেক মিনার। এ সময়ে আরও উপস্থিতি ছিলেন, আইসিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান মো: আবুল হোসেন, কোয়ান্ট ফিনটেকের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার মোঃ জাবেদ হোসেন সহ উভয় প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

চুক্তি অনুযায়ী, আইসিবি সিকিউরিটিজ লিমিটেডের গ্রাহকদের ডিএসই ও সিএসই তে লেনদেন সম্পাদনের জন্য স্বয়ংক্রিয় ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের ব্যবস্থা করে দিবে। এর ফলে গ্রাহকরা পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে স্টক এক্সচেঞ্জে সরাসরি ট্রেডে অংশগ্রহণ করতে পারবে।

আইসিবি সিকিউরিটিজ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোঃ মফিজুর রহমান বলেন, গ্রাহকদের আরও সুন্দর পরিসরে সেবা দিতে আমরা নিজস্ব ট্রেডিং প্লাটফর্ম ওএমএস (অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) চালু করতে যাচ্ছি। ওএমএস এর জন্য পর্ষদ থেকে একটি কমিটি করে দিয়েছিলো, কমিটির সদস্য হিসেবে ছিলো, আইসিবি,ডিএসই,বুয়েটের ও বিসিসির প্রতিনিধিরা। আমাদের পর্ষদের একটি চাওয়া ছিলো কাজটি যাতে দেশি প্রতিষ্ঠান পায় এবং একই সাথে সব ধরণের মান যাতে ঠিক থাকে। এরই অংশ হিসেবে আমরা পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়ার মাধ্যমে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান থেকে আবেদন পেয়েছি। আবদেনগুলো যাচাই-বাছাই করে চারটি প্রতিষ্ঠানের নাম পর্ষদের পাঠানো হয়। সেখান সবাইকে ডেকে সব বিষয়ে জানার চেষ্টা করে পর্ষদ। পরে সব দিক থেকে প্রথম স্থান অর্জন করে দেশি প্রতিষ্ঠান কোয়ান্ট ফিনটেকে।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের কাস্টমারকে সর্বোৎকৃষ্ট সেবা দিতে চাই এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চিটাগাং স্টক এক্সচেঞ্জের ইন্টিগ্রেটেড প্লাটফর্মে যাতে সহজেই কাস্টমারগণ এক ক্লিকে প্রবেশ করতে পারে সে জন্যই আমাদের এই প্রচেষ্টা।

তিনি আরও  বলেন, তাদের টেকনোলজি নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা আর আমাদের বাংলাদেশের ক্যাপিটাল মার্কেটের অভিজ্ঞতা দিয়ে একযোগে কাজ করলে এই প্ল্যাটফর্ম শুধুমাত্র আমাদের গ্রাহকদেরই জন্য না সমগ্র ক্যাপিটাল মার্কেটে একটা পজিটিভ ইমপ্যাক্ট রাখতে পারবে, এছাড়াও আমাদের কিছু গ্রাহক বান্ধব ফিচার নিয়ে কাজ করছি যা সামগ্রিকভাবে আমাদের গ্রাহকসেবার মান বহুগুণে বাড়িয়ে দিবে সাথে বিনিয়োগের জন্য ইনফর্মড ডিসিশন নিতে সাহায্য করবে যা কিনা নতুন অনেক বিনিয়োগকারীকে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করবে।

কোয়ান্ট ফিনটেকের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার মোঃ জাবেদ হোসেন বলেন, সরকারী একমাত্র বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে পেরে আনন্দিত। আমরা সঠিক সময়ে তাদের কাজ বুঝিয়ে দিবো। আমি আশা করছি যে আমাদের উভয় পক্ষের সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যাবে এবং এটি একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে যে আমরা দেশি একটি ওএমএস প্রোভাইডার সরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিবদ্ধ হলাম। এটা দেখে হয়তবা উদাহরণ স্বরুপ আরও অনেকে আমাদের সাথে যুক্ত হবেন।

.

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: গ র হকদ র ক জ কর আম দ র টফর ম আইস ব সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

গোপালগঞ্জে সহিংসতার ঘটনায় গত চার দিনে ১২ শিশুর জামিন নামঞ্জুর

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পথসভাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে ১৮ জন শিশু রয়েছে। এর মধ্যে গত চার দিনে ১২ শিশুর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

গতকাল বৃহস্পতিবার সাত শিশুর জামিন আবেদনের শুনানি হয়। গোপালগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) সৈয়দ আরাফাত হোসেন তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। এর আগে সোম ও মঙ্গলবার পাঁচ শিশুর জামিন আবেদন করা হয়। তাদের জামিন নামঞ্জুর করা হয়। ওই পাঁচজনের জামিন আবেদন করা হয়েছিল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে।

কারাগার সূত্র জানায়, গত ১৬ জুলাই সংঘর্ষের পর ১৭ ও ১৮ জুলাই জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৮ শিশুকে আটক করে পুলিশ। ১৮ জুলাই তাদের আদালতে হাজির করে গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। পরে ২১ জুলাই তাদের যশোরের পুলেরহাট শিশু-কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়।

আদালতের নথি অনুযায়ী, গ্রেপ্তার হওয়া শিশুদের বয়স, ঠিকানা পরিষ্কারভাবে উল্লেখ নেই। তবে গতকাল পর্যন্ত ১২ শিশুর নাম ও পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। প্রথম আলোর পক্ষ থেকে চার পরিবারের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। অভিভাবকদের অভিযোগ, তাদের সন্তানদের কোনো ধরনের তদন্ত ছাড়াই আটক করা হয়েছে।

আরও পড়ুনগ্রেপ্তার হওয়া শিশুদের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ২৭ জুলাই ২০২৫

একজন শিশুর বাবা বলেন, ‘সংসারে অভাব–অনটন, নিজেরাই সংসার চালাইতে পারি না। আমার কষ্ট দেখে ছেলে রাজমিস্ত্রির কাজে যোগ দেয়। সে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার রমজান শেখ নামের একটা রাজমিস্ত্রির সহকারী হিসেবে কাজ করে। কাজের সময় পুলিশ তাদের ধরে নিয়ে যায়।’

আরেক শিশুর ভ্যানচালক বাবা বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ, কোথাও কোনো কাইজের মধ্যে নেই। তিনডা ছেলে, বড়টা একটা মাদ্রাসার শিক্ষক। ছোট দুইডা এখনো পড়ে। যারে ধরছে, সে সবার ছোট। ওই দিন সকালে আমার মাদ্রাসায় গেছে, পরীক্ষা ছিল। পরে দুপুরের আগে আমি নিজে যাইয়ে নিয়ে আসছি। সেদিন বাড়িতেই ছিল। পরের দিনও সারা দিন বাড়ি ছিল, সেদিন তো কারফিউ ছিল। আসরের নামাজের পর আমার কাছ থেকে ২০ টাকা নিয়ে গেছে চটপটি খাইতে। পাশে মাদ্রাসার সামনেই চটপটির দোকান বসে। সেই হান দে ওরে ধইরে নিছে।’

ওই ব্যক্তি আরও বলেন, ‘ধরার ঘণ্টাখানেক পর থানা থেইকা ফোন দিছে, কয় ছেলে ধরা হইছে। আমরা থানায় গিয়া অনেক কইছি, ও তো কোথাও যায় না, কোনো গ্যাঞ্জামের ছেলে না। মাদ্রাসায় পড়ে। কিন্তু কেউ কিছুই শুনল না। ছেলেরে ছাড়ায় আনতে অনেক জায়গায় দৌড়াইছি।’ তিনি জানান, এ ঘটনার পর থেকে তাঁদের প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।

এ ছাড়া জামিনের আশ্বাস দিয়ে কয়েকজন লোক তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন একজন অভিভাবক।

আরও পড়ুনগোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলার ঘটনায় আরও একটি মামলা, আসামি ৪৭৭ জন৩১ জুলাই ২০২৫

গ্রেপ্তার এক শিশুর আইনজীবী ফিরোজা বেগম বলেন, ১৬ জুলাই সহিংসতার ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় এই শিশুকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধির ১৭৩ ধারায় দ্রুত তদন্ত করে নির্দোষ প্রমাণিত হলে তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে সরকারি কৌঁসুলি তৌফিকুল ইসলাম বলেন, শিশুরা অল্প সময় আগে গ্রেপ্তার হয়েছে, এখনো তদন্ত চলছে। তাই হয়তো বিচারক জামিন নামঞ্জুর করেছেন। এ মামলায় এখনো কারও জামিন হয়নি।

আরও পড়ুনগোপালগঞ্জে সংঘাতের ইঙ্গিত ছিল স্পষ্ট, নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্ন ১৮ জুলাই ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ