সড়ক দুর্ঘটনায় ২ মৃত্যুতে বিয়ের আনন্দ পরিণত হলো বিষাদে। এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জে বিয়ের বাজার করতে গিয়ে ফেরার পথে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় চাচাতো ভাইয়ের পর পাত্র নিজেও প্রাণ হারিয়েছেন। 

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে মো. শাহ আলম ওরফে সামায়ন চাচাতো ভাই মো. তানভীর সোহেবকে নিয়ে মোটরসাইকেলে বিয়ের বাজার করতে যান। বাজার শেষে ফেরার পথে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নূরপুর এলাকার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অজ্ঞাত গাড়ির ধাক্কায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে সোহেব ঘটনাস্থলেই মারা যান। 

পরে গুরুতর আহত অবস্থায় সামায়নকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনিও মারা যান।

নিহত সোহেব শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ব্রাহ্মণডোরা ইউনিয়নের পুরাইকলার মো.

বেনু মিয়ার ছেলে ও সামায়ন একই এলাকার ছাবেদ মিয়ার ছেলে।

শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম মাহমুদুল হক বলেন, “সামায়ন বিয়ের বাজার করে তার চাচাত ভাই সোহেবকে নিয়ে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। নূরপুর এলাকায় অজ্ঞাত গাড়ি চাপা দিলে মোটরসাইকেল দুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলে সোহেব মারা যায়। আহত অবস্থায় সামায়নকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেও মারা যায়।” 

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সামায়নের বিয়ে ছিল। এই বিয়ের বাজার করে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনায় সোহেবের পর তিনিও মারা গেলেন। বিয়ের আনন্দঘন এমন একটি সময়ে বিয়ের পাত্রসহ দুইজনের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

ঢাকা/মামুন/টিপু

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব য় র ব জ র কর দ র ঘটন য় অবস থ য়

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকায় ফেরার পথে পন্টুন থেকে নদীতে পড়ে যাত্রী নিখোঁজ

মুন্সিগঞ্জে লঞ্চঘাটের পন্টুন থেকে ধলেশ্বরী নদীতে পড়ে এক যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সাড়ে তিনটার দিকে জেলার লঞ্চঘাটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিখোঁজ যাত্রীর নাম লোকমান হোসেন (৩৭)। তিনি ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার দেওয়ানপুর এলাকার বাসিন্দা এবং রাজধানী ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে রাজমিস্ত্রি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গতকাল রাতে সপরিবার ফারহান-৩ নামের একটি লঞ্চে ঢাকায় ফিরছিলেন তিনি।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গ্রামের বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদ্‌যাপন শেষে গতকাল রাতে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে লোকমান ঢাকার কর্মস্থলে ফিরছিলেন। রাত সোয়া তিনটার দিকে লঞ্চটি মুন্সিগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনালে গিয়ে থামে। ওই সময় লোকমান লঞ্চঘাটের পন্টুনে নেমে ঘোরাঘুরি করেন। পরে পন্টুন থেকে লঞ্চে ওঠার সময় অসাবধানতাবশত তিনি নদীতে পড়ে যান। তাঁকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে নৌপুলিশকে খবর দেওয়া হয়। আজ সকাল ৯টা থেকে সেখানে উদ্ধার কার্যক্রম চালান জেলার ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএর যৌথ ডুবুরি দলের সদস্যরা। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত তাঁর কোনো খোঁজ মেলেনি।

এ বিষয়ে মুক্তারপুর নৌপুলিশের পরিদর্শক আতাউর রহমান আজ বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর থেকেই আমরা নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধানে কাজ শুরু করি। তবে নদীতে প্রবল স্রোতের কারণে তাঁর সন্ধানে পাওয়া যায়নি। তবে ওই ব্যক্তির সন্ধান চলছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ