সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এ দেশের ছাত্র-শ্রমিক-জনতা জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের সুযোগ করে দিয়েছে। এ দেশকে এখন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উপযোগী করে তুলতে হবে। আর যেন দেশের মাটিতে স্বৈরাচারের পুনরাবৃত্তি না ঘটে এ ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর পাড় হার্ড পয়েন্ট এলাকায় বাংলাদেশ স্কাউটসের সাত দিনব্যাপী সপ্তম জাতীয় কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট ক্যাম্পের (কমডেকা) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।

ড.

মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ স্কাউটে ১৯৯৪ সাল থেকে মেয়েদের অন্তর্ভুক্তি অনুমোদন পেয়েছে। কিন্তু এরপরও তাদের অংশগ্রহণ ১৩ পার্সেন্টেরও কম। এই সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, আমি আশা করি স্কাউটিংয়ে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে কার্যকরী উদ্যোগ নেওয়া হবে।

নিজের স্কাউটিংয়ের স্মৃতিচারণ করে এ সময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমি নিজে একজন স্কাউট ছিলাম, আমারও ছোটবেলা কেটেছে তোমাদের মতো স্কাউট করে। তোমাদের মতো স্কাউট পোশাক পরে, স্কার্ফ ঝুলিয়ে আমার শৈশব কেটেছে। তোমাদের দেখে আমার সেসব কথা মনে পড়ে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ স্কাউটস আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে যথেষ্ট শক্তিশালী, আমাদের এ অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করতে হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব ও সপ্তম জাতীয় কমডেকার সাংগঠনিক কমিটির সভাপতি এম. সিরাজ উদ্দিন মিয়া।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম ও বাংলাদেশ স্কাউটসের এডহক কমিটির সদস্য ফরিদা ইয়াসমিন।

কমডেকা চিফ ও সদস্য সচিব মীর মাহবুবুর স্নিগ্ধের স্বাগত বক্তব্যে এ সময় সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং সারা দেশ থেকে আগত স্কাউট সদস্য ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিএইচ

উৎস: SunBD 24

এছাড়াও পড়ুন:

শনি গ্রহের একাধিক চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের সন্ধান

জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহের আটটি মাঝারি আকারের চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মিমাস, এনসেলাডাস, ডায়োন, টেথিস, রিয়া, হাইপেরিয়ন, লাপেটাস ও ফিবি নামের চাঁদগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের তথ্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চাঁদগুলোর ওপরে নিয়মিত নজরও রাখছেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডায়োন ও রিয়া চাঁদে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড শনির প্রধান বলয়ের বরফের অনুরূপ। ফিবি চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড জৈব পদার্থের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়ে থাকে। লাপেটাস ও হাইপেরিয়নের অন্ধকার অঞ্চলে কার্বন ডাই–অক্সাইড দেখা যায়। বরফযুক্ত এসব চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।

ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন ও তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, কঠিন কার্বন ডাই–অক্সাইড সৌরজগতের প্রান্তসীমার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। যদিও সেই অবস্থানে কার্বন ডাই–অক্সাইড স্থিতিশীল নয়। আমরা শনির উপগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থান জানার মাধ্যমে ভিন্ন পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড কীভাবে আটকে আছে, তা জানার সুযোগ আছে এখানে।

বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শনির চাঁদে আটকে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড থেকে আদর্শ ল্যাবের মতো তথ্য পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, শনি গ্রহের বিভিন্ন চাঁদে কমপক্ষে দুটি পৃথক উৎস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়েছে।

সূত্র: এনডিটিভি

সম্পর্কিত নিবন্ধ