মূল্যায়ন না পেলে কাজ করব না: ইয়াশ রোহান
Published: 22nd, February 2025 GMT
ইয়াশ রোহান। অভিনেতা ও মডেল। বছরব্যাপী নাটকের শুটিং নিয়ে ব্যস্ত থাকেন তিনি। সম্প্রতি উত্তরার একটি শুটিং সেটে দেখা হয় তাঁর সঙ্গে। সেখানেই কাজের ব্যস্ততা ও নানা প্রসঙ্গ নিয়ে তিনি কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে।
কোন নাটকের শুটিং করছেন, এর গল্পটা কেমন?
আশির দশক থেকে শুরু করে টেলিভিশনে হুমায়ূন আহমেদের পারিবারিক গল্পের নাটক দেখতে সবাই পছন্দ করেন। সেখানে ট্র্যাজেডি, কমেডিসহ অনেক কিছুই থাকত। তেমন একটি নাটকে অভিনয় করছি। নাম ‘হৃদয়ে রেখেছি গোপনে’। এটি নির্মাণ করছেন মাহমুদ মাহিন। এখানে আমার বিপরীতে অভিনয় করছেন তানজিম সাইয়ারা তটিনী।
ভালোবাসা দিবসের নাটকে কেমন সাড়া পেলেন?
এবার ‘তোমায় পাবো কি’ ও ‘ভালোবাসা সোল্ড আউট’ নামে দুটি নাটকে অভিনয় করেছি। গল্প দুটি নিয়ে খুবই আশাবাদী ছিলাম। দুটি নাটকই দর্শক ভালোভাবে গ্রহণ করেছেন।
একটি সিনেমার কাজ শেষ করেছেন.
..
হ্যাঁ। শুটিং, ডাবিংসহ সিনেমাটির সব কাজ শেষ। এটা নিয়ে আপাতত কথা বলার অনুমতি নেই। তাই বিস্তারিত বলতে পারছি না।
তানজিম সাইয়ারা তটিনীর সঙ্গে আপনার প্রেমের গুঞ্জন শোনা যায়, সত্যি কী প্রেম করছেন?
এর আগেও আমি এই ধরনের প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছি। তবে আপনি জানেন, আমি কাজের বাইরে ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে বলতে চাই না। মানুষের অনেক কিছু বলার ও মনে করার বিষয় আছে। তারা যা খুশি তা মনে করতে পারে। আমি তো নিজের সম্পর্কে জানি। সুতরাং আমার জায়গায় আমি ঠিক থাকলেই হলো। তবে হ্যাঁ, তটিনী আমরা কাজের জায়গায় ভালো বন্ধু। যে গুঞ্জনের কথা বলছেন, যেটা শুধুই গুঞ্জন। গুজবে কান দিবেন না।
আপনি তো অনেকের সঙ্গে কাজ করেছেন, জুটি প্রথা বিশ্বাস করেন?
এখানে বিশ্বাস-অবিশ্বাসের কিছু নেই। দর্শক একসঙ্গে দেখতে পছন্দ করার মানে তারা ভালো কিছু করছে। আমিও অনেকের সঙ্গে টানা অভিনয় করেছি। দর্শক সেটা গ্রহণও করেছেন। তবে সেটা যেন দর্শকের বিরক্তির কারণ না হয়।
কাজের মূল্যায়ন কীভাবে দেখেন?
আমি ভালো কাজ করে যেতে চাই। সেই কাজের মূল্যায়ন পেলে আমি আরও ভালো কাজ করব। মূল্যায়ন না পেলে কাজ করব না। যেহেতু আমার দর্শকের কাছে সেই মূল্যায়ন পাচ্ছি, তাই আরও ভালো কাজ করে যেতে চাই।
একসঙ্গে অনেক নাটকের গল্পে কাজ করতে হয়। সেক্ষেত্রে চরিত্র বদল করতে কতটা সময় নেন?
আমাদের দেশের নাটক ইন্ডাস্ট্রি অনেক ছোট। কষ্ট করেই আমাদের টানা কাজ করতে হয়। সময়ও কম পাওয়া যায়। তবে আমি একটি থেকে আরেকটি নাটকে যাওয়ার আগে সময় নিই। এমনও হয় একটি কাজ ভালো করার জন্য আরেকটি ছেড়ে দিয়েছি। সময় নিয়ে কাজ করলে ফল ভালো পাওয়া যায়।
সিনেমা নিয়ে ভাবনা?
বাংলাদেশে বছরে কয়টি সিনেমা হয়। বড়জোড় ৫০টি। এর মধ্যে কাজের চেষ্টা করে যাচ্ছি। বর্তমানে আমি সিনেমা করছি না মানে মনের মতো গল্প পাচ্ছি না। যদি পেতাম অবশ্যই করতাম।
সিনেমায় কোন ধরনের গল্প চান?
এটা আসলে বলা যায় না। কারণ, আমি অনেক ধরনের সিনেমা দেখতে পছন্দ করি। অনেক ধরনের চরিত্র নিয়ে ভাবি। আমাকে দেখতে হবে কোন ধরনের গল্প আমার কাছে আসছে। সেগুলোর মধ্যে পছন্দ হলে করবো।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন টক ক জ কর কর ছ ন করছ ন পছন দ ধরন র
এছাড়াও পড়ুন:
বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শন করলেন দুই বিদেশি পর্যটক
‘এটি খুবই আনন্দায়ক খবর যে এই স্কুলে আদিবাসী ও বাঙালি শিক্ষার্থীরা একসঙ্গেই বসে শান্তিপূর্ণভাবে পাঠ গ্রহণ করে। যেখানে ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরাও একই আসনে বসে পাঠ নিচ্ছে। সম্প্রীতি-ভালোবাসার এ দৃশ্য আমাদের বিমোহিত করেছে।’
আজ সোমবার দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শনে এসে জার্মান নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক মাথিয়াস রিচার্ড এ মন্তব্য করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সুইজারল্যান্ডের নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত রসায়নবিদ সিলভিয়া মাউরিজিও। ‘দেশ ঘুরি’ নামের একটি ট্যুরিস্ট সংস্থার মাধ্যমে তাঁরা এ বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন।
বেলা সাড়ে ১১টায় তাঁরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপস্থিত হলে ফুলের তোড়া ও মালা দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁদের বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষ ঘুরিয়ে দেখান প্রধান শিক্ষক আলী উজ্জামান নূর। তাঁরা শ্রেণিকক্ষগুলোতে গিয়ে পাঠ উপস্থাপন দেখেন। কথা বলেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। শিক্ষার্থীরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাঁদের সঙ্গে ভাববিনিময় করে।
এ সময় দুই পর্যটক জানতে পারেন, এ বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও বাঙালি শিশুরা একসঙ্গে পড়াশোনা করে। ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ না করে একবেঞ্চে বসে পাঠ গ্রহণ করে। বিষয়টি জানতে পেরে তাঁরা খুবই খুশি হন।
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাসুমা খাতুন দুজনকে একটি গান গেয়ে শোনায়। বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক দলের শিক্ষার্থীরা তাঁদের সামনে ঐতিহ্যবাহী নাচ-গান প্রদর্শন করে। সিলভিয়াও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নাচে অংশ নেন। সৃষ্টি হয় একটি আনন্দদায়ক পরিবেশের। এ সময় বাঙালি ও কোল ক্ষুদ্র জাতিসত্তার শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্প্রীতি-ভালোবাসা ও বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ দেখে খুশি হন।
বিদেশি দুই পর্যটকের সামনে আলোর স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা