গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে গাছের সঙ্গে বাসের ধাক্কায় দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কাশিয়ানী উপজেলার হিরণ্যকান্দি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত দুজন হলেন টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস বাসের চালক মন্টু শেখ (৫৫) ও সুপারভাইজার আরিফ হোসেন (৪০)। মন্টু শেখের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া এলাকায়। আর আরিফের বাড়ি বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায়।

ভাঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সাহদৎ হোসেন বলেন, খুলনা থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেসের যাত্রীবাহী বাস। বাসটি কাশিয়ানীর হিরণ্যকান্দি এলাকায় সাম্পান রেস্টুরেন্টে প্রবেশের সময় সোহান পরিবহনের একটি বাসকে প্রথমে পেছনে ধাক্কা দেয়। পরে সজোরে গাছের সঙ্গে গিয়ে ধাক্কা খায়। এতে বাসের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চালক ও সুপারভাইজারকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পর কিছু সময়ের জন্য ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ ছিল।

কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক সুব্রত সাহা বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ১২ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাঁদের মধ্যে দুজন মৃত ছিলেন। বাকিদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ