নোবিপ্রবিতে জাপানি ফেলোশিপবিষয়ক সেমিনার
Published: 22nd, February 2025 GMT
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) জাপান ফাউন্ডেশন ইন্দো-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ প্রোগ্রাম (জেএফআইপিপি) ফেলোশিপ নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) নোবিপ্রবি ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) ও ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন অ্যান্ড কোলাবরেশন সেন্টার এর আয়োজন করে।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড.
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, “উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে অত্যন্ত উচুমানে একটি ফেলোশিপ হলো জাপানের জেএফআইপিপি ফেলোশিপ। নোবিপ্রবি সামাজিক বিজ্ঞান ও মানবিক অনুষদের শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের জন্য আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র জাপানের এ সুযোগ কাজে লাগানোর এখনই উত্তম সময়। কারণ এ ফেলোশিপ যাবতীয় ফান্ড বহন করবে। ফলে আর্থিক জটিলতা নেই।”
তিনি বলেন, “এ বৃত্তি জাপান এবং বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নে আরো গভীর ভূমিকা রাখবে। নোবিপ্রবি ও জাপানের মধ্যে এ ধরনের ফেলোশিপ যোগসূত্র স্থাপন করার সুযোগ নিয়ে এসেছে, যা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের এগিয়ে যাওয়াকে সহজতর করবে। শিক্ষা-গবেষণা, টেকনিক্যাল কোলাবরেশন ও দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টিতে এ বৃত্তি অত্যন্ত সহায়ক হবে।”
চিফ প্যাট্রন কোজি সাতো বলেন, “জাপান ফাউন্ডেশন ইন্দো-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ প্রোগ্রাম (জেএফআইপিপি) ফেলোশিপ দক্ষিণ এশিয়ায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নে ভূমিকা রেখে আসছে। সমাজ বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানের নানা ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ অর্থায়নে এ ফেলোশিপ দিয়ে থাকে জাপান। যাতে করে জাপান ও বৃত্তিপ্রাপ্ত দেশের গবেষকদের যৌথ গবেষণা, ক্রস কালচার ও একাডেমিক এক্সিলেন্সের সুযোগ তরান্বিত হয়।”
আইকিউএসি পরিচালক অধ্যাপক ড. আসাদুন নবীর সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ হানিফ।
সেমিনারে কি-নোট স্পিকার ছিলেন টোকিওর প্যান এশিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি মেম্বার ড. আব্দুল্লাহ-আল-মামুন।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিস্ফোরক মামলায় চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ
চট্টগ্রামে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন এ আদেশ দেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কারাগারে থাকা চিন্ময় দাসকে কোতোয়ালি থানার বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।
গত বছরের ২৬ নভেম্বর সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ৬টি মামলায় গ্রেপ্তার হন ৫১ জন। তাঁদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ২১ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, সাইফুল হত্যার আসামিদের মধ্যে চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে উল্লেখ করা হয়, আইনজীবীর ঘাড়ে বঁটি দিয়ে দুটি কোপ দেন রিপন দাস। আর কিরিচ দিয়ে কোপান চন্দন দাস। পরে রাস্তায় পড়ে থাকা সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা এই আইনজীবীকে লাঠি, বাটাম, ইট, কিরিচ ও বঁটি দিয়ে তাঁরা ১৫ থেকে ২০ জন পিটিয়ে হত্যা করেন।
গত বছরের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন। পরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ মামলায় চিন্ময় দাসকে ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।