নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) জাপান ফাউন্ডেশন ইন্দো-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ প্রোগ্রাম (জেএফআইপিপি) ফেলোশিপ নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) নোবিপ্রবি ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) ও ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন অ্যান্ড কোলাবরেশন সেন্টার এর আয়োজন করে।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড.

মুহাম্মদ ইসমাইল। চিফ প্যাট্রন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাপান ফাউন্ডেশন ডিরেক্টর জেনারেল (সাউথ এশিয়া) কোজি সাতো।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, “উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে অত্যন্ত উচুমানে একটি ফেলোশিপ হলো জাপানের জেএফআইপিপি ফেলোশিপ। নোবিপ্রবি সামাজিক বিজ্ঞান ও মানবিক অনুষদের শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের জন্য আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র জাপানের এ সুযোগ কাজে লাগানোর এখনই উত্তম সময়। কারণ এ ফেলোশিপ যাবতীয় ফান্ড বহন করবে। ফলে আর্থিক জটিলতা নেই।”

তিনি বলেন, “এ বৃত্তি জাপান এবং বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নে আরো গভীর ভূমিকা রাখবে। নোবিপ্রবি ও জাপানের মধ্যে এ ধরনের ফেলোশিপ যোগসূত্র স্থাপন করার সুযোগ নিয়ে এসেছে, যা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের এগিয়ে যাওয়াকে সহজতর করবে। শিক্ষা-গবেষণা, টেকনিক্যাল কোলাবরেশন ও দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টিতে এ বৃত্তি অত্যন্ত সহায়ক হবে।”

চিফ প্যাট্রন কোজি সাতো বলেন, “জাপান ফাউন্ডেশন ইন্দো-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ প্রোগ্রাম (জেএফআইপিপি) ফেলোশিপ দক্ষিণ এশিয়ায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নে ভূমিকা রেখে আসছে। সমাজ বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানের নানা ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ অর্থায়নে এ ফেলোশিপ দিয়ে থাকে জাপান। যাতে করে জাপান ও বৃত্তিপ্রাপ্ত দেশের গবেষকদের যৌথ গবেষণা, ক্রস কালচার ও একাডেমিক এক্সিলেন্সের সুযোগ তরান্বিত হয়।”

আইকিউএসি পরিচালক অধ্যাপক ড. আসাদুন নবীর সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ হানিফ।

সেমিনারে কি-নোট স্পিকার ছিলেন টোকিওর প্যান এশিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি মেম্বার ড. আব্দুল্লাহ-আল-মামুন।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৬: সূচি ও ভেন্যু ঘোষণা

নারী ক্রিকেটের বৈশ্বিক মঞ্চে আবারও আলো ছড়াতে প্রস্তুত হচ্ছে ইংল্যান্ড। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) এবং ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) যৌথভাবে ঘোষণা করেছে ২০২৬ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময়সূচি ও ভেন্যুর তালিকা। ১২ জুন শুরু হয়ে এই ক্রিকেট উৎসব চলবে ৫ জুলাই পর্যন্ত, যার সমাপ্তি ঘটবে ঐতিহ্যবাহী লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে জমকালো ফাইনালের মাধ্যমে।

এই আসরে প্রথমবারের মতো ১২টি দল অংশ নিচ্ছে, যারা দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে মোট ৩৩টি ম্যাচে। ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য ২৪ দিনের রোমাঞ্চকর এক প্রতিযোগিতা অপেক্ষা করছে।

টুর্নামেন্টের সূচি উন্মোচনের অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয় লর্ডসে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ, ইসিবি প্রধান রিচার্ড গুল্ড, ইংল্যান্ড নারী দলের কোচ চার্লট এডওয়ার্ডস এবং বেশ কয়েকজন তারকা ক্রিকেটার।  
 
বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে সাতটি ঐতিহাসিক ও আধুনিক ভেন্যুতে— লর্ডস (লন্ডন), ওল্ড ট্রাফোর্ড (ম্যানচেস্টার), হেডিংলি (লিডস), এজবাস্টন (বার্মিংহাম), হ্যাম্পশায়ার বোল (সাউদাম্পটন), দ্য ওভাল (লন্ডন) এবং ব্রিস্টল।

আরো পড়ুন:

স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপের সুপার সিক্স অনুর্ধ্ব-১৯ মেয়েরা 

অস্ট্রেলিয়াকে নাড়িয়ে দিয়েও বাংলাদেশের হৃদয় ভাঙা হার 

আগামী আসরে সরাসরি জায়গা করে নিয়েছে আইসিসি র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ আট দল: স্বাগতিক ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। বাকি চারটি দল আসবে কোয়ালিফায়ার পর্ব পেরিয়ে, যেখানে বাংলাদেশসহ আরও বেশ কিছু দলকে লড়াই করতে হবে মূলপর্বে জায়গা পাওয়ার জন্য।

আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ এক বার্তায় জানান, “২০১৭ সালে নারী ক্রিকেট ইতিহাসে যে অধ্যায় লর্ডসে রচিত হয়েছিল, এবার আমরা সেই আবহে ফিরে যেতে চাই। ২০২৮ সালের অলিম্পিকে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্তির দিকেও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”

ইসিবি প্রধান রিচার্ড গুল্ড বলেন, “আমরা গর্বিত যে বিশ্বের সেরা কয়েকটি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পারছি। নারী ক্রিকেটকে আরও সামনে এগিয়ে নিতে এই আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আর লর্ডসে ফাইনাল আয়োজন—এটা প্রতিটি ক্রিকেটারের স্বপ্নপূরণের এক সম্ভাবনা।”

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ