সড়কের মাটি খোঁড়ার সময় পাওয়া গেল সাতটি কঙ্কাল
Published: 23rd, February 2025 GMT
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় সড়কের জন্য অধিগ্রহণ করা জমির মাটি খোঁড়ার সময় একে একে সাতটি মরদেহের কঙ্কাল বের হয়ে এসেছে। উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের বনগাঁও এলাকায় শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঘটনাটি ঘটে।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে নবীগঞ্জ থানার ওসি মো. কামাল হোসেন এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ওসি কামাল হোসেন বলেন, “মহাসড়কের জন্য অধিগ্রহণ করা জমিতে কবরস্থানের কিছুটা জায়গা পড়েছে। মাটি খোঁড়ার সময় সাতটি মরদেহের মাংস ঝরে যাওয়া কঙ্কাল বের হয়ে আসে। পরে ধর্মীয় রীতি অনুসরণ করে সেগুলো অন্যত্র নিয়ে দাফন করা হয়।”
এলাকাবাসী জানান, ওই এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ককে ছয় লেনে উন্নীতকরণের কাজ চলছে। সেখানে কাজ করা শ্রমিকরা মহাসড়কের জন্য অধিগ্রহণ করা জমির মাটি খোঁড়ার সময় একে একে সাতটি মরদেহ দেখতে পান। পরে সেগুলো উত্তোলন করে অন্যত্র নিয়ে কবরস্থ করা হয়। সাতটি মরদেহ বের হয়ে আসার ঘটনা দেখতে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ভিড় করেন।
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড় র সময় মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
গৌরনদী থানার ওসি-এসআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা
এক লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগে গৌরনদী মডেল থানার ওসি ইউনুস মিয়া ও উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী এক নারী। বরিশাল সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে আজ মঙ্গলবার মামলাটি দায়ের করেন গৌরনদীর বাটাজোর ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আজাদ সরদারের স্ত্রী সুমা বেগম।
অভিযোগকারীর আইনজীবী নাজিম উদ্দীন আহমেদ পান্না এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলাটি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী নারী মামলায় অভিযোগ করেছেন, গত ১১ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয় কতিপয় দুর্বৃত্তরা তার (সুমা) শ্বশুরবাড়ির পাকা কবরস্থান ভাঙচুর করে ও দখলের চেষ্টা করে। এ ঘটনায় বাদী জরুরি সেবা ৯৯৯- এ কল করলে থানার এসআই নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে যান। তবে নজরুল ইসলাম ভুক্তভোগী সুমা বেগমসহ মামলার তিনজন সাক্ষীকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। ওসি এবং এসআই আটককৃতদের ছেড়ে দিতে সুমা বেগমের কাছে এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। টাকা দিকে অপরাগতা প্রকাশ করায় মামলায় জড়ানোর হুমকি দেন ওসি এবং এসআই। ওইদিন রাত নয়টার পর থানা হেফাজত থেকে বাদী ও মামলার তিনজন সাক্ষীকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ওসি এবং এসআই মামলার বাদী ও তিন সাক্ষীকে দীর্ঘসময় থানায় আটকে রাখার সুযোগে দুর্বৃত্তরা কবরস্থান ভাঙচুর করে দখল করতে পেরেছে। বাদীর দায়ের করা এজাহার থানায় মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়নি। এ ঘটনায় বাদী সুমা বেগম গত ১৩ এপ্রিল দুর্নীতি দমন কমিশনের বরিশাল কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিলে কার্যকরী কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া বলেন, ‘ঘুষ দাবির কোনো ঘটনা সেদিন ঘটেনি। একটি কু-চক্রী মহলের প্ররোচনায় এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।