সাইবার হামলা চালিয়ে ১৫০ কোটি ডলারের ডিজিটাল মুদ্রা চুরি
Published: 24th, February 2025 GMT
সাইবার হামলা চালিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইভিত্তিক ডিজিটাল মুদ্রা এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠান ‘বাইবিট’ থেকে ১৫০ কোটি ডলারের ক্রিপ্টো মুদ্রা চুরি করেছে এক হ্যাকার। বিপুল পরিমাণ ডিজিটাল মুদ্রা চুরির এ ঘটনাকে সর্বকালের সবচেয়ে বড় অনলাইন চুরির ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করছেন বিশ্লেষকেরা।
ক্ষতিগ্রস্ত ডিজিটাল মুদ্রা লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠান বাইবিট নিজেই অর্থ চুরি যাওয়ার ঘটনা প্রকাশ করে জানিয়েছে, ডিজিটাল মুদ্রার মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় মুদ্রা হচ্ছে ইথেরিয়াম। সেই মুদ্রা রুটিন ট্রান্সফারের সময় একজন হ্যাকার অত্যাধুনিক উপায়ে অজ্ঞাত এক ঠিকানায় স্থানান্তর করে নেন। তবে গ্রাহকদের ডিজিটাল মুদ্রা নিরাপদ রয়েছে। এ বিষয়ে বাইবিটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বেন ঝু বলেন, ‘হ্যাকড হওয়া ডিজিটাল মুদ্রা উদ্ধার না হলেও প্রতিষ্ঠান সচল রয়েছে। ক্ষতিপূরণ দিতে পারি আমরা।’
বাইবিট ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও প্রাক্তন পেপ্যাল উদ্যোক্তা পিটার থিয়েল এই ডিজিটাল মুদ্রা প্রতিষ্ঠানের প্রাথমিক বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ছিলেন বলে জানা গেছে। চুরির পর ইথেরিয়ামের বাজার মূল্য প্রায় ৪ শতাংশ কমে গেছে। শুধু তা–ই নয়, অনেকেই ডিজিটাল মুদ্রা সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করছেন।
এই চুরির ঘটনা আগের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। ২০২২ সালে রনিন নেটওয়ার্ক থেকে ৬২ কোটি ডলারের ইথেরিয়াম ও ইউএসডি কয়েন চুরি হয়।
সূত্র: বিবিসি
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বাগেরহাটে চার আসন বহালের দাবিতে নতুন কর্মসূচি
বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখার দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। আগামী শুক্র ও শনিবার (১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর) গণস্বাক্ষর সংগ্রহ এবং রবি ও সোমবার (২১ ও ২২ সেপ্টেম্বর) জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে অর্ধদিবস অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতা এম এ সালাম নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এম এ সালাম বলেছেন, “বাগেরহাটের চারটি আসন অক্ষুণ্ন রাখার দাবিতে আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। আদালতের প্রতি আমাদের আস্থা আছে, তবে জনগণের দাবি প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।”
এর আগে আসন কমানোর প্রতিবাদে জেলা জুড়ে হরতাল, বিক্ষোভ ও মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। পাশাপাশি উচ্চ আদালতে রিট করা হয়েছে।
ঢাকা/শহিদুল/রফিক