দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে মাইক্রোবাসের ধাক্কা, নিহত ১
Published: 25th, February 2025 GMT
ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে বেপরোয়া গতির মাইক্রোবাসের ধাক্কায় এক বরযাত্রী নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মির্জাপুর উপজেলার নাটিয়াপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এসময় আহত হয়েছেন আরো তিন জন। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। নিহত ওই ব্যক্তির নাম সিরাজ মিয়া (৫৫)। তিনি ঢাকা উত্তরা এলাকার বাসীন্দা।
বরযাত্রীদের কয়েকজন জানান, ঢাকা থেকে বরযাত্রী নিয়ে ১২টি গাড়ি টাঙ্গাইল শহরে যাচ্ছিল। এসময় বেপোয়ারা গতির একটি মাইক্রোবাস মির্জাপুর উপজেলার নাটিয়াপড়া এলাকায় পৌঁছালে দাঁড়িয়ে থাকা ইট ভর্তি একটি ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেয়। এসময় মাইক্রোবাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়।
পরে আহত চার জনকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে কর্মরত চিকিৎসক একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষ না করেই মরদেহ নিহতের স্বজনেরা নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে গোড়াই হাইওয়ে থানা ও টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল পুলিশ বক্সের সদস্যদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের পাওয়া যায়নি।
টাঙ্গাইল পুলিশ বক্সের এএসআই আলমগীর হোসেন বলেন, “তারা হাসপাতালে গেলেও কোন এন্ট্রি করেনি। পুলিশকেও কিছু না জানিয়ে চলে গেছে।”
ঢাকা/কাওছার/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে সীতা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে বিগত এক মাস ধরে অবস্থান করছেন একদল বন্যহাতি। ১৭ (সতের) দলের এই বন্যহাতির তাণ্ডবে এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগান শ্রমিকদের ঘরবাড়ি, গাছপালা এবং বাগানের অভ্যন্তরে অবস্থিত কাঁচা সড়ক।
এদের তাণ্ডবে বাগানের ২নং সেকশনে বসবাসকারী চা শ্রমিকরা এরইমধ্যে নিজ নিজ বসতবাড়ি ছেড়ে কর্ণফুলি নদীর উত্তর পাড়ে অবস্থান নিয়েছে। এই সেকশনে থাকা বহু ঘর হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ওয়াগ্গা টি লিমিটেডের পরিচালক খোরশেদুল আলম কাদেরী বলেন, “হাতির তাণ্ডবে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগানের নিজস্ব বোট চালক সানাউল্লাহর বসতবাড়ি। এসময় তিনিসহ তার স্ত্রী-সন্তানেরা ঘর হতে বের হয়ে কোনরকমে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।”
বোট চালক সানাউল্লাহ বলেন, “সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আমি হাতির গর্জন শুনতে পাই। এসময় একটি বড় হাতি আমার ঘর ভাঙার চেষ্টা চালায়। আমি হতবিহ্বল হয়ে যাই। সেসময় স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে ঘরের পেছন দিয়ে কোন রকমে পালিয়ে বোটে করে এপারে চলে আসি।”
চা বাগানের টিলা বাবু চাথোয়াই অং মারমা বলেন, “বিগত এক মাস ধরে ১৭টি হাতির একটি দল বাগানে অবস্থান করছে। মাঝে মাঝে দলটি সীতা পাহাড়ে চলে গেলেও হঠাৎ বাগানে চলে এসে আসে এবং বাগানের গাছপালা, বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমাদের চা শ্রমিকরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।”
ওয়াগ্গা চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরী বলেন, “বিগত এক মাস ধরে হাতির একটি দল ওয়াগ্গা চা বাগানে অবস্থান নিয়েছে। তাদের দলে সদস্য সংখ্যা সতেরো ১৭টি। সম্প্রতি দুটি নতুন শিশু জন্ম নিয়েছে। শিশু হস্তী শাবককে আশীর্বাদ করার জন্য সীতা পাহাড়ের গভীর অরণ্য থেকে আরো একদল হাতি যোগদান করেছে।”
হাতি খুবই শান্তিপ্রিয় জীব। নিরিবিলি পরিবেশ পছন্দ করে। অনেকে বলে থাকেন, মামারা বেরসিক বাদ্য বাজনা, বাঁশির সুর, গলাফাটা গান, গোলা বারুদ, ড্রামের শব্দ পছন্দ করে না। তারা কোলাহল এড়িয়ে চলে।
গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্বচক্ষে দেখা হলো। আমাদের টিলা বাবু চাই থোয়াই অং মারমা শ্রমিকদের নিয়ে পাহাড়ের উপর বাঁশির সুর তুলেছে। সুর ও বাদ্য বাজনা এড়িয়ে মামারা (হাতি) চা বাগান পেরিয়ে সদলবলে বাঁশবনের গভীর থেকে গভীরে হারিয়ে গেলো। হয়তো আবার ফিরে আসবে।
কাপ্তাই বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ অফিসার ওমর ফারুক স্বাধীন বলেন, “দিন দিন হাতির আবাসস্থল ধ্বংস হওয়ার ফলে হাতি খাবারের সন্ধানে প্রায়ই লোকালয়ে এসে হানা দিচ্ছে। আমাদের উচিত হাতির আবাসস্থল ধ্বংস না করা।”
ঢাকা/রাঙামাটি/এস