ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় খলনায়ক ভারত কল। ব্যক্তিগত জীবনে নানারকম চড়াই-উতরাই পেরিয়েছেন। তার প্রথম স্ত্রী অনুশ্রী দাসের সঙ্গে অনেক আগেই বিচ্ছেদ হয়েছে। এরপর মুম্বাইয়ে বসবাসকারী বাঙালি অভিনেত্রী সায়ন্তনী ঘোষের প্রেমে পড়েন ভারত। দীর্ঘদিন লিভ-ইন করেছেন তারা। তবে সে প্রেমও ভেঙে যায়।

সায়ন্তনীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ভাঙার অনেক বছর পর অভিনেত্রী জয়শ্রী মুখার্জিকে বিয়ে করেন ভারত কল। এ অভিনেতার চেয়ে ১৮ বছরের ছোট এই অভিনেত্রী। এ সংসারে তাদের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। তার নাম আরিয়া।

ভারত ক্যানসারে আক্রান্ত। এ তথ্য জেনেও ভারতকে বিয়ে করেন জয়শ্রী। ফলে অনেকে ভারতকে স্বার্থপর বলেছেন। আবার অনেকে জয়শ্রীকে ‘লোভী’ তকমাও দিয়েছেন। কারণ ভারতের অর্থের লোভে তাকে বিয়ে করেছেন। এ নিয়ে এখনো সমালোচনা বিদ্যমান টলিপাড়ায়।

আরো পড়ুন:

সাবুদিকে প্রথম দেখেই প্রেমে পড়ে যাই: পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়

নব্বইয়ের শেষে যারা জন্মেছে, তারা ‘খিচুড়ি’ ভাষার মধ্যে বড় হয়েছে: পরমব্রত

মানুষের এমন ভাবনা-চিন্তায় ভীষণ বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ জয়শ্রী। দ্য ওয়ালকে এ অভিনেত্রী বলেন, “ভারতকে যখন বিয়ে করার কথা জানাই, তখন আত্মীয়দের অনেকেই বলেছিল— আমি নাকি টাকার জন্য বিয়ে করছি! আরে আমার বাবা-মা কি ভিখারি ছিল? হ্যাঁ, হয়তো ভারতের মতো এতটাও সচ্ছলতা ছিল না। তবে আমাদেরও নিজস্ব গাড়ি, ফ্ল্যাট ছিল।”

ভারত এখন ক্যানসার মুক্ত। তবে হার্টের অসুখেও ভুগছেন, তার হৃদযন্ত্রে দুটো রিং পরানো হয়েছে। মানুষের এসব মন্তব্য ভারতকেও আহত করে।

তবে সবকিছু ছাপিয়ে কন্যা আরিয়াকে নিয়েই বেশি চিন্তা ভারতের। কারণ স্ত্রী জয়শ্রীকে ‘ফাইটার’ হিসেবে বিশ্বাস করেন। ভারত বলেন, “আমার দুরারোগ্য ক্যানসার হয়েছিল। ফলে নিজের জীবন নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নই। হয়ত আরিয়ার বড়বেলাটা দেখে যেতে পারব না। ওর জীবনে যাতে কোনোকিছুর অভাব না থাকে, সে বিষয়টি নিশ্চিত করে যাব।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র ভ রতক

এছাড়াও পড়ুন:

‘ক্যারিয়ারে সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত’ নিয়ে টটেনহাম ছাড়ার ঘোষণা সনের

টটেনহাম হটস্পার ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন ক্লাবটির অধিনায়ক সন হিউং-মিন। এই গ্রীষ্মেই অর্থাৎ ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের নতুন মৌসুম শুরুর আগেই উত্তর লন্ডনের ক্লাবটি ছাড়েন তিনি। দীর্ঘ এক দশক পর টটেনহাম ছাড়বেন দক্ষিণ কোরিয়ান এ ফরোয়ার্ড।

বায়ার লেভারকুসেন থেকে ২০১৫ সালে টটেনহামে যোগ দেন ৩৩ বছর বয়সী সন। ইংল্যান্ডের ক্লাবটির হয়ে ৪৫৪ ম্যাচ খেলার পথে ইউরোপা লিগ জিতেছেন। ২০১৯ সালে উঠেছিলেন চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালেও। সিউলে প্রাক্‌–মৌসুম ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে টটেনহাম ছাড়ার ঘোষণা দেন সন।

আরও পড়ুনধর্ষণের অভিযোগে হাকিমির বিচার দাবি ফরাসি কৌঁসুলিদের১ ঘণ্টা আগে

সন বলেন, ‘সংবাদ সম্মেলন শুরুর আগে বলতে চাই, এই গ্রীষ্মেই আমি ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই সিদ্ধান্তে ক্লাবও আমাকে সম্মানের সঙ্গে সহায়তা করছে।’
টটেনহামের ইতিহাসেই অন্যতম সেরাদের একজন সন। ক্লাবটির হয়ে ১৭৩ গোল করা সন গত মে মাসে ইউরোপা লিগ জিতলেও মৌসুমটা তাঁর ভালো কাটেনি। চোটে পড়েছেন কয়েকবার এবং ফর্মও খুব একটা ভালো ছিল না।

সংবাদ সম্মেলনে আবেগাক্রান্ত হয়ে পড়েন সন

সম্পর্কিত নিবন্ধ