গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে গাছ কেটে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ওপর ফেলে প্রতিবন্ধকতা ও যানবাহন চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি করার অভিযোগে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এতে ৫০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ৫৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

গত শনিবার কাশিয়ানী থানার রামদিয়া তদন্তকেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

শফিউদ্দিন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার আসামির মধ্যে রয়েছেন- ঢাকা মহানগর (উত্তর) মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের সভাপতি লেবু মোল্যা, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আজাদ হোসেন মৃধা, সাধারণ সম্পাদক মাসুম শেখ, মহেশপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান লুথু, কাশিয়ানী সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. মশিউর রহমান খানসহ আরও অনেকে। 

মামলার এজাহারে উল্লেখ্য করা হয়েছে, গত গেল ১৮ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের ঘোষিত হরতাল কর্মসূচিতে কাশিয়ানী থানার রামদিয়া পুলিশ ফাঁড়ির একদল পুলিশ উপজেলার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের তিলছড়া এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন। ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে রাতইল হর্টিকালচার সেন্টার এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ওপর গাছ কেটে ফেলে ধারালো দা, করাত, লাঠিসোটা এবং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে যানবাহন চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি করে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। জনমনে ভীতি সৃষ্টি করতে যানবাহন চলাচলে বাঁধা দেয় তারা। পরে খবর পেয়ে দায়িত্বরত পুলিশের ওই দল ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পালিয়ে যায় আসামিরা। 

ওসি মো. শফিউদ্দিন খান জানান, গাছ কেটে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ওপর ফেলে প্রতিবন্ধকতা ও যানবাহন চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি করায় ৫০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ৫৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের ধরতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ প লগঞ জ ত কর ম

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ