চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক পাকিস্তান হলেও সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাচ্ছে ভারত। পাকিস্তানকে ম্যাচ খেলতে যেতে হয়েছে দুবাই, আবার দেশের মাটিতেও খেলতে হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন ভেন্যুতে। বিপরীতে, পুরো টুর্নামেন্টের ম্যাচগুলো এক ভেন্যুতেই খেলছে ভারত। এতে সুবিধা কার বেশি, সেটি বোঝার জন্য রকেট বিজ্ঞানী হওয়ার দরকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার রাসি ফন ডের ডুসেন।

ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক নাসের হুসেইনের মতো ফন ডের ডুসেনও মনে করেন, এবারের টুর্নামেন্টে ভারত বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে। পাকিস্তানে আয়োজক হয়েও যেই সুবিধা পায়নি, রোহিত শর্মারা সেটাই পাচ্ছেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে যেতে হয়েছে দুবাই, কারণ ভারত পাকিস্তানে গিয়ে খেলতে রাজি হয়নি।

হাইব্রিড মডেলের এই টুর্নামেন্টে ভারত ফাইনালে উঠলে শিরোপার লড়াইটাও হবে দুবাইতে। অর্থাৎ, গ্রুপ পর্ব থেকে ফাইনাল পর্যন্ত সব ম্যাচই তারা খেলবে একই ভেন্যুতে। ভারতের এই সুবিধা নিয়ে ফন ডের ডুসেন বলেন, ‘এটা নিশ্চিতভাবেই বাড়তি সুবিধা। আপনি যদি একই জায়গায় থাকেন, একই হোটেলে অবস্থান করেন, একই অনুশীলন সুবিধা পান, একই উইকেটে খেলেন—তাহলে স্বাভাবিকভাবেই সেটা সুবিধার। এটা বোঝার জন্য রকেট বিজ্ঞানী হওয়ার দরকার নেই।’

তবে সুবিধার পাশাপাশি ভারতের ওপর বাড়তি চাপও থাকবে বলে মনে করেন প্রোটিয়া ব্যাটার। তিনি বলেন, ‘যারা সেমিফাইনাল বা ফাইনাল খেলবে, তাদের দুবাইয়ে গিয়ে নতুন কন্ডিশনে মানিয়ে নিতে হবে। কিন্তু ভারত পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে এখানে খেলছে, ফলে তারা এই কন্ডিশনের সঙ্গে পরিচিত। এতে তাদের ওপর প্রত্যাশার চাপও থাকবে।’

ফন ডের ডুসেনের মতে, এই সুবিধা ভারতের জন্য আশীর্বাদ যেমন, তেমনি চ্যালেঞ্জও। তিনি বলেন, ‘সব ঠিকঠাক করার দায়িত্বও তাদের, কারণ তারা এই কন্ডিশন সম্পর্কে জানে। এটা যেমন সুবিধা, তেমনি পারফরম্যান্সের বাড়তি চাপও তৈরি করবে।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ ইন ল

এছাড়াও পড়ুন:

সিদ্ধিরগঞ্জে ইয়াবাসহ চিহ্নিত মাদক কারবারি গ্রেপ্তার

সিদ্ধিরগঞ্জে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১০০ পিস ইয়াবাসহ রিয়াজ (২৯) নামে এক চিহ্নিত মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার (২ নভেম্বর) গভীর রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি কান্দাপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত রিয়াজ কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানার মোকশাইল গ্রামের আব্দুল ছাত্তার মিয়ার ছেলে। সে বর্তমানে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি কান্দাপাড়া এলাকায় মিজানের বাড়ির ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছিল।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জহুরুল ইসলাম জানান, থানা এলাকায় মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও বিশেষ অভিযান চলাকালীন সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারি যে, মিজমিজি কান্দাপাড়া এলাকায় মিজানের বাসার সামনের পাকা রাস্তার ওপর রিয়াজ নামে ওই ব্যক্তি ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে।

এমন তথ্যের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছালে রিয়াজ পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশ সদস্যরা তাকে ধাওয়া করে আটক করতে সক্ষম হন। পরে তার দেহ তল্লাশি করে লুঙ্গির ভাঁজ থেকে সাদা পলিথিনে মোড়ানো ১০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত মাদকের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৩০ হাজার টাকা।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহীনূর আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেপ্তারকৃত রিয়াজ একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে দীর্ঘদিন ধরে সিদ্ধিরগঞ্জসহ আশপাশের এলাকায় মাদকদ্রব্য ইয়াবা বিক্রি করে আসছিল বলে স্বীকার করেছে।

এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ