ঝোপে পড়ে ছিল গলায় দড়ি প্যাঁচানো বৃদ্ধার লাশ
Published: 1st, March 2025 GMT
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ঝোপের ভেতর থেকে এক বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর নাম সবুরা খাতুন (৭২)। তিনি উপজেলার পূর্ব খৈয়াছড়া গ্রামের মৃত মাওলা বক্সের স্ত্রী। আজ শনিবার সকালে ওই গ্রামের চেয়ারম্যান বাংলো এলাকা থেকে গলায় দড়ি প্যাঁচানো অবস্থায় লাশটি উদ্ধার হয়।
পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, ওই বৃদ্ধাকে তাঁর জামাতা খুন করেছেন। খুনের পর ওই বৃদ্ধার কান ও গলায় থাকা সোনার গয়নাও নিয়ে গেছেন জামাতা। তিনি ঘটনার পর থেকে পলাতক।
নিহত বৃদ্ধার ছেলে মো.
মো. ওবায়দুল হক আরও বলেন, ‘গতকাল বিকেলে আমার মাকে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে হত্যার পর লাশ ঝোপে ফেলে চলে গেছেন মোবারক। রাত ১০টার দিকে মোবারক এক প্রতিবেশীকে ফোন করে হত্যার বিষয়টি জানান। এরপর রাতভর আমার মায়ের লাশ খোঁজাখুঁজি করেছি। সকালে ঝোপের ভেতর লাশটি পেয়ে পুলিশকে জানাই।’ এ ঘটনায় বোনের স্বামীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করবেন বলেও জানান ওবায়দুল হক।
জানতে চাইলে মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করেছে। গলায় দড়ি পেঁচিয়ে ওই বৃদ্ধাকে খুন করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান চলমান।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে রহস্যময় মেঘের সন্ধান, অনুসন্ধানে নাসা
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের আয়নোস্ফিয়ারের নিচের অংশে মেঘের মতো অদ্ভুত কাঠামোর সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। স্পোরাডিক–ই লেয়ার স্তরে থাকা উচ্চ উচ্চতার এই মেঘের মতো কাঠামোর তথ্য জানতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ থেকে রকেট উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
নাসার তথ্যমতে, স্পোরাডিক–ই লেয়ার স্তরের রহস্য জানার চেষ্টা চলছে। স্পোরাডিক-ই ইলেক্ট্রোডাইনামিকস বা সিড নামের এই মিশনের মাধ্যমে তিন সপ্তাহের মধ্যে মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের কোয়াজালিন অ্যাটল থেকে বৈজ্ঞানিক যন্ত্র বহনকারী সাবঅরবিটাল মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করা হবে। বিজ্ঞানীরা আয়নোস্ফিয়ারের নিচের অংশে তৈরি স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছেন। এই কাঠামোর কারণে আয়নোস্ফিয়ারের উচ্চ স্তরে পৌঁছানোর আগে রেডিও সংকেত পৃথিবীতে প্রতিফলিত হচ্ছে। এর ফলে এলোমেলো সংকেত গ্রহণ করছে রেডিও রিসিভার।
নাসার তথ্যমতে, স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর ক্রমাগত তৈরি হচ্ছে। এই স্তর চলমান ও এই অঞ্চলের কারণে বিভিন্ন ব্যাঘাত অনুমান করা কঠিন হয়ে পড়ে। নাসার মিশন কর্মকর্তা আরোহ বরজাতিয়া বলেন, স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর খালি চোখে দেখা যায় না। শুধু রাডারের মাধ্যমে প্যাঁচানো ও ফোলা মেঘের মতো দেখা যায়। আবার কিছু স্তর মেঘলা আকাশের মতো ছড়িয়ে পড়ে, যাকে আমরা কম্বলটিং স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর বলি। এই স্তর যোগাযোগে হস্তক্ষেপ করে।
আয়নোস্ফিয়ার পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের একটি স্তর। এটি প্রায় ৬০ থেকে ১ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। এই এলাকা চার্জযুক্ত কণা বা আয়ন দ্বারা গঠিত। এই আয়নের মধ্যে কিছু আসে উল্কা থেকে। আয়নিত লোহা, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের চিহ্ন আছে এই স্তরে। এসব ভারী ধাতু আয়নোস্ফিয়ারের সাধারণ কণার তুলনায় বেশি থাকে। মাঝে মাঝে এসব কণা একসঙ্গে জমাট বেঁধে ঘন গুচ্ছ তৈরি করে, যা স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর নামে পরিচিত। বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর মধ্য অক্ষাংশের স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর তৈরির কারণ ব্যাখ্যা করতে পারেন। তবে পৃথিবীর বিষুবরেখার কাছাকাছি থাকা স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
সূত্র: এনডিটিভি