ভোক্তা ভোগালেই ব্যবস্থা নেবে যৌথ বাহিনী
Published: 2nd, March 2025 GMT
পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে নিত্যপণ্যের বাজারে ভোক্তাদের ভোগান্তি দিলেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনটাই জানান দিয়েছেন চুনারুঘাটে যৌথ বাহিনীর অভিযানিক দল।
রোববার বাজার নিয়ন্ত্রণ এবং ভোক্তাদের মানসম্মত প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে রোববার উপজেলার বিভিন্ন বাজার মনিটর করে যৌথ বাহিনী। শহরের কাঁচাবাজার ও বাল্লা রোডসহ বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনীর শাহজীবাজার ক্যাম্পের লেফটেন্যান্ট শাহরিয়ার হাসান খান এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম মাহবুবের উপস্থিতিতে যৌথ বাহিনীর এ অভিযান পরিচালিত হয়।
এ সময় দোকানে মূল্যতালিকা না থাকা, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ও সয়াবিন তেল বিক্রি এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘন করায় তিন ব্যবসায়ীকে ৬১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুব আলম জানান, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ও অতিরিক্ত মূল্যে সয়াবিন তেল বিক্রির দায়ে আমকান্দি স্টোরের মালিক মোহাম্মদ আলীকে ৫০ হাজার, সয়াবিন তেলের গায়ে লেখা মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত দামে তেল বিক্রির অভিযোগে মনু মিয়াকে এক হাজার এবং মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য মজুত রাখায় লিটন পালকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে আদায় করা হয়েছে। এদিকে ম্যাজিস্ট্রেট ও সেনাবাহিনীর উপস্থিতির খবর পেয়েই এসব বাজারের অনেক দোকানদার পালিয়ে যান। অভিযানে সেনাবাহিনী ছাড়াও চুনারুঘাট থানার পুলিশ এবং কৃষি কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযানকালে যৌথ বাহিনী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে বাজারের একাধিক গোডাউনে তল্লাশি চালায়। চুনারুঘাট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম জানান, রমজান উপলক্ষে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরির অপচেষ্টা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ও অতিরিক্ত দামে সয়াবিন তেল বিক্রির দায়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ব্যবসায়ীদের জরিমানা করা হয়।
শাহজীবাজার আর্মি ক্যাম্পের লেফটেন্যান্ট শাহরিয়ার হাসান খান জানান, অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আরও অভিযান পরিচালনা করা হবে। জনগণের সহযোগিতার মাধ্যমে প্রতারণা বন্ধের চেষ্টা চালিয়ে যাবেন তারা।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঢাবি শিবিরের ৩ দিনব্যাপী কর্মসূচি
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা।
বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন শাখা সভাপতি এসএম ফরহাদ।
আগামী ৫, ৬ ও ৭ আগস্ট এই কর্মসূচিগুলো অনুষ্ঠিত হবে। আয়োজনে থাকছে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, বিপ্লবী নাটক, গান, কবিতা, আলোচনা সভা ও বিশেষ চিত্র প্রদর্শনী। কর্মসূচির সূচনা হবে ৫ আগস্ট (মঙ্গলবার) ভোর ৫টায় প্রতীকী সাইকেল র্যালির মাধ্যমে, যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয়ে গণভবন পর্যন্ত যাবে।
আরো পড়ুন:
মেয়াদোত্তীর্ণ অগ্নিনির্বাপকে চলছে বেরোবি
তাহলে তো স্পন্সর নিয়ে প্রোগ্রাম করলেই চাঁদাবাজি: সালাউদ্দিন
সকাল ৯টায় টিএসসিতে থাকবে সাধারণ নাস্তার আয়োজন। এর পরপরই প্রদর্শিত হবে ‘জুলাই বিপ্লব’ ভিত্তিক একটি প্রামাণ্যচিত্র। একইসঙ্গে বিপ্লবী গান ও কবিতা পরিবেশিত হবে । সকাল ১০টা থেকে শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের মুখে অভ্যুত্থানের অভিজ্ঞতা শোনার আয়োজন থাকবে।
দুপুর ২টায় একটি মাইম পরিবেশনা ও নাটক মঞ্চস্থ হবে। এরপর বিকেল সাড়ে ৩টা ও সাড়ে ৫টায় পরপর আরো দুটি নাটক প্রদর্শিত হবে। সন্ধ্যা ৬টায় ব্যতিক্রমী আয়োজন ‘প্ল্যানচ্যাট বিতর্ক’ অনুষ্ঠিত হবে। এটি একটি প্রতীকী বিতর্ক, যেখানে গণআন্দোলনে নিহতদের উত্তরাধিকার ও আত্মিক উপস্থিতিকে ঘিরে আলাপ-প্রতিআলাপের একটি রূপক পরিসর গড়ে উঠবে ।
৬ আগস্ট দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচির শুরুতেই থাকবে রাজনৈতিক ও দার্শনিক আলোচনা সভা। সকাল ১০টার দিকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও ফ্যাসিবাদ পলায়নের ১ বছর: প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বিকেল ৩টার দিকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী ছাত্ররাজনীতি ও ডাকসু নির্বাচন’ বিষয়ে আলোচনা হবে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ‘নয়া রাজনৈতিক বন্দোবস্তে ইসলাম প্রসঙ্গ’ শীর্ষক মতবিনিময়ের মাধ্যমে পর্দা নামবে দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচির।
কর্মসূচির তৃতীয় দিন ৭ আগস্ট দিনব্যাপী চলবে বিশেষ চিত্র প্রদর্শনী ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন। সেখানে ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ ও গণআন্দোলন সংশ্লিষ্ট নানা দলিল, ছবি ও ভিডিও উপস্থাপন করা হবে।
সার্বিক বিষয়ে ঢাবি শাখা ছাত্রশিবির সভাপতি এসএম ফরহাদ বলেন, “২০২৪ সালের জুলাই মাসে ঘটে যাওয়া গণজাগরণ ও ছাত্র প্রতিরোধ ছিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক অনন্য মাইলফলক। সেই ঘটনার স্মরণে এবং তা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের পথরেখা নির্ধারণের প্রয়াসে ঢাবির টিএসসি প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাবি শাখা আয়োজন করতে যাচ্ছে তিন দিনব্যাপী ‘আমরাই ৩৬ জুলাই: আমরা থামবো না’ শীর্ষক অনুষ্ঠান।”
তিনি বলেন, “এ আয়োজন হবে শিল্প, সংস্কৃতি, স্মৃতি ও রাজনৈতিক ভাবনার এক সংমিশ্রণ। জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের অভিজ্ঞতা আমাদের অনুপ্রেরণা। আর সংস্কৃতির মাধ্যমে আমরা সেই প্রতিরোধ চেতনাকে নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাই।”
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী