বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ২০২৪ সালে বিসিবির চুক্তিভুক্ত ক্রিকেটার ছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী, তার বেতন পাওনা থাকলেও এখনো প্রায় ৪৮ লাখ টাকা পাননি তিনি। সাকিবের ব্যাংক হিসাব জব্দ থাকায় ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসের বেতন পেতে সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিসিবির এক কর্মকর্তা। কর কর্তনের পর এই চার মাসের বেতন দাঁড়ায় প্রায় ৪৮ লাখ টাকা।
রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরে যাওয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারেননি সাকিব। তবে বাস্তবতা হলো, তিনি বিসিবির চুক্তির আওতাভুক্ত ছিলেন এবং সেই অনুযায়ী বেতন পাওয়ার অধিকারী। বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম এ প্রসঙ্গে ‘ক্রিকবাজ’কে বলেন, ‘চুক্তি অনুযায়ী সাকিব তার বেতনের টাকা পাবে। খেলুন বা না খেলুন, চুক্তি অনুযায়ী বিসিবি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে কাজ করবে।’
সোমবার বিসিবির ১৮তম বোর্ড সভায় নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। চুক্তিভুক্ত ক্রিকেটারদের বেতন ও ম্যাচ ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড। বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেটারদের বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানান নাজমুল আবেদীন, ‘পারিশ্রমিক ও ম্যাচ ফি দুটোই বেড়েছে। তবে টেস্ট ক্রিকেটারদের বেতন তুলনামূলক বেশি বৃদ্ধি করা হয়েছে, যাতে তারা এই ফরম্যাটে আরও মনোযোগী হয়।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ক ব আল হ স ন
এছাড়াও পড়ুন:
সেঞ্চুরির অপেক্ষায় মুশফিকুর, তিন দিনেই জয় রাজশাহীর
জাতীয় ক্রিকেট লিগে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে তিনদিনেই জয় পেয়েছে রাজশাহী বিভাগ। ৭ উইকেটে তারা হারিয়েছে খুলনা বিভাগকে। এদিকে সিলেটে সেঞ্চুরির অপেক্ষায় জাতীয় দলের ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম। ডানহাতি ব্যাটসম্যান ৯৩ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন।
তার ব্যাটে ভর করে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে লড়ছে সিলেট। ঢাকার করা ৩১০ রানের জবাবে সিলেটের ৭ উইকেটে রান ২৬০। ৫০ রানে পিছিয়ে তারা। ১৭০ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৯৩ রান করে অপরাজিত আছেন মুশফিকুর। তার সঙ্গে ৫ রানে অপরাজিত আছেন ইবাদত হোসেন। এছাড়া শাহানুর ৩০ ও তোফায়েল ২৭ রান করেন।
আরো পড়ুন:
মাহিদুল-মজিদের সেঞ্চুরির দিনে মুমিনুলের ৮ রানের আক্ষেপ
স্বীকৃতির ১০ বছর পর জাতীয় ক্রিকেট লিগে ময়মনসিংহ
মিরপুরে খুলনার দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিংও যুৎসই হয়নি। এবার ২৫৫ রানে থেমে যায় তাদের ইনিংস। ১ উইকেটে ৬৮ রানে দিন শুরু করে তারা। এনামুলের ইনিংস থেমে যায় ৩৪ রানে। মোহাম্মদ মিথুন খুলতে পারেননি রানের খাতা। মিরাজ ৪৮ ও জিয়াউর এবং ইয়াসির মুনতাসির ৩২ রানের দুটি ইনিংস খেলে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাতেও তাদের স্কোর বড় হয়নি।
১৪৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে ২৫৫ রানের বেশি করতে পারেনি। তাতে ১০৯ রানের লক্ষ্য পায় রাজশাহী। ৭ উইকেট হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
হাবিবুর রহমান সোহান ৬৮ বলে ৬২ রান করেন ৪ চার ও ৩ ছক্কায়। ২৫ রান আসে সাব্বির হোসেনের ব্যাট থেকে। সাব্বির রহমান ১২ ও মেহরব ৪ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিয়ে ফেরেন। প্রথম ম্যাচ হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ে ফিরল তারা।
কক্সবাজারে ময়মনসিংহ বিভাগ ও রংপুর বিভাগের ম্যাচ বাজে আউটফিল্ডের কারণে ভেস্তে যায়। একটি বলও মাঠে গড়ায়নি। ২ উইকেট হারিয়ে রংপুরের রান ১৮। এখনও তারা ৫৩৭ রানে পিছিয়ে। ময়মনসিংহ প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটে ৫৫৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করে।
পাশের মাঠে ঘণ্টাখানেকের বেশি সময় খেলা হয়েছে। আগের দিনের ২ উইকেটে ১১৫ রানের সঙ্গে ৫১ রান যোগ করেন বরিশাল বিভাগ। খেলা হয়েছে কেবল ১৫ ওভার। জাহিদুজ্জামান খান ৩২ ও সালমান হোসেন ইমন ৭৫ রানে অপরাজিত আছেন। প্রথম ইনিংসে এখনও তারা ১৯২ রানে পিছিয়ে।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল