হবিগঞ্জের লাখাইয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার (টমটম) চালক ও যাত্রীর মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষ। এ ঘটনায় অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। 

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুপুরে উপজেলার সিংহগ্রামের মাইজহাটি ও দাইরল এলাকাবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

এলাকাবাসী জানান, গতকাল সোমবার ইফতারের আগে বুল্লা বাজারে যাত্রী ওঠানো নিয়ে দাইরল এলাকার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক মিলন মিয়ার সঙ্গে যাত্রী মাইজহাটির তৌহিদ তালুকদারের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। এসময় বাজারে থাকা উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে কমপক্ষে ১০ জন আহত হন।

আরো পড়ুন:

মাগুরায় বিএনপির সদস্য ফরম সংগ্রহ নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ২০

পাওনা টাকা নিয়ে ২ পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০

আজ মঙ্গলবার উভয়পক্ষের লোকজন মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আবারো সংঘর্ষে জড়ায়। থেমে থেমে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলা সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

লাখাই থানার ওসি বন্দে আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‍“ইটপাটকেলের আঘাতে ২০-৩০ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন আছে।”

ঢাকা/মামুন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ আহত জন আহত স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে সীতা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে বিগত এক মাস ধরে অবস্থান করছেন একদল বন্যহাতি। ১৭ (সতের) দলের এই বন্যহাতির তাণ্ডবে এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগান শ্রমিকদের ঘরবাড়ি, গাছপালা এবং বাগানের অভ্যন্তরে অবস্থিত কাঁচা সড়ক। 

 এদের তাণ্ডবে বাগানের ২নং সেকশনে বসবাসকারী চা শ্রমিকরা এরইমধ্যে নিজ নিজ বসতবাড়ি ছেড়ে কর্ণফুলি নদীর উত্তর পাড়ে অবস্থান নিয়েছে। এই সেকশনে থাকা বহু ঘর হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ওয়াগ্গা টি লিমিটেডের পরিচালক খোরশেদুল আলম কাদেরী বলেন, “হাতির তাণ্ডবে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগানের নিজস্ব বোট চালক সানাউল্লাহর বসতবাড়ি। এসময় তিনিসহ তার স্ত্রী-সন্তানেরা ঘর হতে বের হয়ে কোনরকমে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।”

বোট চালক সানাউল্লাহ বলেন, “সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আমি হাতির গর্জন শুনতে পাই। এসময় একটি বড় হাতি আমার ঘর ভাঙার চেষ্টা চালায়। আমি হতবিহ্বল হয়ে যাই। সেসময় স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে ঘরের পেছন দিয়ে কোন রকমে পালিয়ে বোটে করে এপারে চলে আসি।” 

চা বাগানের টিলা বাবু চাথোয়াই অং মারমা বলেন, “বিগত এক মাস ধরে ১৭টি হাতির একটি দল বাগানে অবস্থান করছে। মাঝে মাঝে দলটি সীতা পাহাড়ে চলে গেলেও হঠাৎ বাগানে চলে এসে আসে এবং বাগানের গাছপালা, বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমাদের চা শ্রমিকরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।”

ওয়াগ্গা চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরী বলেন, “বিগত এক মাস ধরে হাতির একটি দল ওয়াগ্গা চা বাগানে অবস্থান নিয়েছে। তাদের দলে সদস্য সংখ্যা সতেরো ১৭টি। সম্প্রতি দুটি নতুন শিশু জন্ম নিয়েছে। শিশু হস্তী শাবককে আশীর্বাদ করার জন্য সীতা পাহাড়ের গভীর অরণ্য থেকে আরো একদল হাতি যোগদান করেছে।” 

হাতি খুবই শান্তিপ্রিয় জীব। নিরিবিলি পরিবেশ পছন্দ করে। অনেকে বলে থাকেন, মামারা বেরসিক বাদ্য বাজনা, বাঁশির সুর, গলাফাটা গান, গোলা বারুদ, ড্রামের শব্দ পছন্দ করে না। তারা কোলাহল এড়িয়ে চলে। 

গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্বচক্ষে দেখা হলো। আমাদের টিলা বাবু চাই থোয়াই অং মারমা শ্রমিকদের নিয়ে পাহাড়ের উপর বাঁশির সুর তুলেছে। সুর ও বাদ্য বাজনা এড়িয়ে মামারা (হাতি) চা বাগান পেরিয়ে সদলবলে বাঁশবনের গভীর থেকে গভীরে হারিয়ে গেলো। হয়তো আবার ফিরে আসবে।

কাপ্তাই বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ অফিসার ওমর ফারুক স্বাধীন বলেন, “দিন দিন হাতির আবাসস্থল ধ্বংস হওয়ার ফলে হাতি খাবারের সন্ধানে প্রায়ই লোকালয়ে এসে হানা দিচ্ছে। আমাদের উচিত হাতির আবাসস্থল ধ্বংস না করা।”

ঢাকা/রাঙামাটি/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ১৩ ঘণ্টা পর রংপুরের রেল যোগাযোগ সচল
  • ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব
  • হেরোইন বিক্রির অভিযোগে ধামরাইয়ে গ্রেপ্তার ৩